আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধাঁধা নয়, মেমোরি টেস্ট: কবি ও কবিতা

এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। ... ব্লগে মনোযোগ দিতে পারছি না; লিখবার ধৈর্য্য নেই, পড়তে বিরক্ত লাগে।

নিচের এই পঙ্‌ক্তিগুলো জীবনে বহুবার পড়েছেন। আজ চেষ্টা করে দেখুন, মনে পড়ে কিনা এগুলো কোন্‌ কবির কোন্‌ কবিতা থেকে নেয়া হয়েছে।

প্রতিটি ধাঁধার জন্য আলাদা আলাদা নম্বর বরাদ্দ করা হয়েছে। ধাঁধাগুলোর উত্তর দেয়া হলো নিচে ৩২ নম্বর মন্তব্যে। উত্তরগুলো দেখার আগে ঝালিয়ে নিতে পারেন আপনার স্মৃতিশক্তির 'দৌড়' ১=১ এইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে, তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে। ২=২ এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভূরি ভূরি, রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙালের ধন চুরি। ৩=৩ সফদার ডাক্তার মাথা ভরা টাক তার খিদে পেলে পানি খায় চিবিয়ে, চেয়ারেতে রাতদিন বসে গোনে দুই-তিন পড়ে বই আলোটারে নিবিয়ে।

৪=৪ আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি, আঠারো বছর বয়সেই অহরহ বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি। ৫=১ আসমানিদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও রহিমুদ্দির ছোট্ট বাড়ি রসুলপুরে যাও। ৬=৪ কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায় তাই বলে কি কুকুরে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়? ৭=২ সুরঞ্জনা, ওইখানে যেয়ো নাকো তুমি, বলো নাকো কথা ওই যুবকের সাথে; ফিরে এসো সুরঞ্জনা : নক্ষত্রের রূপালি আগুন ভরা রাতে; ৮=৪ আমরা দুজন একটি গাঁয়ে থাকি, সেই আমাদের একটিমাত্র সুখ। তাদের গাছে গায় যে দোয়েল পাখি তাহার গানে আমার নাচে বুক। ৯=৫ কী ভালো আমার লাগলো আজ এই সকালবেলায় কেমন করে বলি? কী নির্মল নীল এই আকাশ, কী অসহ্য সুন্দর, যেন গুণীর কণ্ঠের অবাধ উন্মুক্ত তান দিগন্ত থেকে দিগন্তে; ১০=৪ চলে যাব- তবু আজ যতক্ষণ দেহে আছে প্রাণ প্রাণপণে পৃথিবীর সরাব জঞ্জাল, এ বিশ্বকে এ-শিশুর বাসযোগ্য ক'রে যাব আমি- নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।

১১=৫ সবচেয়ে যে শেষে এসেছিল সেই গিয়েছে সবার আগে সরে। ছোট্ট যে জন ছিল রে সবচেয়ে, সেই দিয়েছে সকল শূন্য করে। ১২=৭ কষিত-কনককান্তি কমনীয় কায়। গালভরা গোঁফ-দাড়ি তপস্বীর প্রায়॥ মানুষের দৃশ্য নও বাস কর নীরে। মোহন মণির প্রভা ননীর শরীরে॥ ১৩=৭ হে রাজকন্যে তোমার জন্যে এ জনারণ্যে নেইকো ঠাঁই- জানাই তাই।

১৪=২ আজি এ প্রভাতে রবির কর কেমনে পশিল প্রাণের 'পর, কেমনে পশিল গুহার আঁধারে প্রভাতপাখির গান! না জানি কেন রে এতদিন পরে জাগিয়া উঠিল প্রাণ। ১৫=১০ সংসার-মাঝে কয়েকটি সুর রেখে দিয়ে যাব করিয়া মধুর, দু-একটি কাঁটা করি দিব দূর- তার পরে ছুটি নিব। ১৬=৪ তোরা সব জয়ধ্বনি কর্‌ ! তোরা সব জয়ধ্বনি কর্‌ !! ঐ নূতনের কেতন ওড়ে কাল্-বোশেখীর ঝড়। তোরা সব জয়ধ্বনি কর্‌ ! তোরা সব জয়ধ্বনি কর্‌ !! ১৭=২ সমস্ত দিনের শেষে শিশিরের শব্দের মতন সন্ধ্যা আসে; ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে চিল; পৃথিবীর সব রঙ নিভে গেলে পাণ্ডুলিপি করে আয়োজন তখন গল্পের তরে জোনাকির রঙে ঝিলমিল; ১৮=৪ আগে ওকে বারবার দেখেছি লাল রঙের শাড়িতে- ডালিম ফুলের মতো রাঙা, আজ পরেছে কালো রেশমের কাপড়। ১৯=৪ প্রয়োজন নেই, কবিতার স্নিগ্ধতা- কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি, ক্ষুদার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় : পূর্ণিমা-চাঁদ যেন ঝল্‌সানো রুটি।

। ২০=২ বুকের মধ্যে সুগন্ধি রুমাল রেখে বরুণা বলেছিল, যেদিন আমায় সত্যিকারের ভালবাসবে সেদিন আমার বুকেও এরকম আতরের গন্ধ হবে ! ভালবাসার জন্য আমি হাতের মুঠোয় প্রাণ নিয়েছি দুরন্ত ষাঁড়ের চোখে বেঁধেছি লাল কাপড় বিশ্ব সংসার তন্ন তন্ন করে খুঁজে এনেছি ১০৮টা নীলপদ্ম তবু কথা রাখে নি বরুণা, এখন তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ এখনো সে যে কোন নারী! ২১=৪ জিহ্বায় উচ্চারিত প্রতিটি সত্য শব্দ কবিতা, কর্ষিত জমির প্রতিটি শস্যদানা কবিতা। যে কবিতা শুনতে জানে না সে ঝড়ের আর্তনাদ শুনবে। যে কবিতা শুনতে জানে না সে দিগন্তের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। যে কবিতা শুনতে জানে না সে আজন্ম ক্রীতদাস থেকে যাবে।

২২=২ আমাদের দুর্বলতা, ভীরুতা কলুষ আর লজ্জা সমস্ত দিয়েছে ঢেকে একখণ্ড বস্ত্র মানবিক; আসাদের শার্ট আজ আমাদের প্রাণের পতাকা। ২৩=৩ যদি কেউ ভালোবেসে খুনী হতে চান তাই হয়ে যান উৎকৃষ্ট সময় কিন্তু আজ বয়ে যায় । এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময় এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। ২৪=৭ হাত বাড়িয়ে ছুঁই না তোকে মন বাড়িয়ে ছুঁই, দুইকে আমি এক করি না এক কে করি দুই। ২৫=৭ যেদিন আমি হারিয়ে যাব, বুঝবে সেদিন বুঝবে, অস্তপারের সন্ধ্যাতারায় আমার খবর পুছবে- বুঝবে সেদিন বুঝবে! ছবি আমার বুকে বেঁধে পাগল হয়ে কেঁদে কেঁদে ফিরবে মরু কানন গিরি, সাগর আকাশ বাতাস চিরি' যেদিন আমায় খুঁজবে - বুঝবে সেদিন বুঝবে!


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।