আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পবিএ কোরআনের সুরার গুরুত



পবিএ কোরআনের প্রতিটি সুরার গুরুত্ব অপরিসীম। তন্মধ্যে নিচে কয়েকটি সুরার গুরুত্ব তুলে ধরলাম অতি সংক্ষেপে- সুরাআলফাতেহা:এটি কোরআনের সর্বপ্রথম পুর্ণাংগ সুরা। রাসুল(সবলেছেন,মহান আল্লাহ এরশাদ করেছেন-নামাজ(সুরাতুল ফাতিহা)আমার ও আমার বান্দার মধ্যে ২ ভাগে বিভক্ত। অর্ধেক আমার জন্য আর অর্ধেক আমার বান্দাদের জন্য। আমার বান্দাগণ যা চায়,তা তাদেরকে দেয়া হবে।

এই সুরাকে প্রতেক রোগের ঔষধবিশেষও বলা হয়। সুরা ফাতেহা না পড়লে নামাজই হবে না। রাসুল(সআরো বলেছেন:যখন ইমাম আমীন বলে তখন তোমরাও আমীন বল। কেননা ঐ সময় ফেরেশতারাও আমীন বলে থাকে। যে ব্যক্তির আমীন বলা ফেরেশতাদের আমীন বলার সাথে মিলে যায় তার পুর্বকার গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়।

(বুখরী হাদীস নং ৪৪৭৫) সুরাআলবাকারাহ:এটি অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ সুরা। হযরত ইবনে মাসউদ(রাবলেছেন,এ সুরায় এমন ১০টি আয়াত রয়েছে,কোন ব্যক্তি যদি সে আয়াতগুলো রাতে নিয়মিত পড়ে,তবে শয়তান সে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না ও সে রাতের মত সকল বালা মসীবত,রোগ দুশ্চিন্তা থেকে নিরাপদে থাকবে। তিনি আরও বলেছেন,যদি বিকৃতমস্তিষ্ক লোকের উপর এ ১০টি আয়াত পাঠ করে দম করা হয়,তবে সে ব্যক্তি সুস্হতা লাভ করবে। আয়াত ১০টি:সুরার প্রথম ৪ আয়াত,মধ্যের ৩টি(আয়াতুল কুরসী) ও তার পরের ২টি আয়াত ও শেষের ৩ আয়াত। এই সুরায় এক হাজার আদেশ,এক হাজার নিষেধ,এক হাজার হেকমত ও এক হাজার সংবাদ ও কাহিনী রয়েছে।

সুরাআলইমরান: এই সুরায় হযরত ঈসা(আসম্পর্কে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে-সে আমার নেয়ামতপ্রাপ্ত বান্দা ছাড়া অন্য কেউ নয়। আল্লাহর কাছে ঈসার উদাহরণ হচ্ছে আদমের অনুরুপ। আল্লাহ তাকে মাটি থেকে সৃষ্টি করেছেন। আবু হুরাইরা(রাথকে নেয়া,রাসুল(সবলেছেন:নবজাত শিশু দোলনায় ৩জনই মাএ কথা বলেছিলেন,হযরত ঈসা(আ,বনী ইসরাঈলের একজন তার নাম জুরাইজ। সে নামাজ পড়েছিল।

এমন সময় তার মা তার কাছে আসল ও ডাকল। সে মনে মনে বলল,আমি জবাব দেব নাকি নামাজ পড়ব। সাড়া না পেয়ে তার মা বদদোয়া দিল যে,হে আল্লাহ!যেনাকারিনীদের চেহারা না দেখা পর্যন্ত যেন তার মরণ না হয়। জুরাইজ নিজের ইবাদত খানায় থাকত। একদিন এক মহিলা তার কাছে আসল ও তার সাথে কিছু কথাবার্তা বলল।

কিন্ত সে(মহিলার সাথে মিলতে) অস্বীকার করল। অতপর মহিলাটি একজন রাখালের নিকট গেল ও তাকে দিয়ে আপন মনোবাসনা পূরণ করল। পরে সে একটি পুএ সন্তান প্রসব করল। সে অপবাদ দিয়ে বলল,এটি জুরাইজের সন্তান। লোকজন জুরাইজের ইবাদতখনা ভেংগে দিল ও তাকে অকথ্যভাষায় গালাগালি করল।

তখন জুরাইজ উযু ও নামাজ পড়ল। তারপর নবজাত শিশুটির নিকট এলো ও তাকে প্রশ্ন করল,হে শিশু!তোমার পিতা কে?সে জবাব দিল,সেই রাখলটি। জনগন নিজেদের ভুল বুঝল। অবশেষে জুরাইজের ইচ্ছানুয়ায়ী তারা মাটি দিয়ে তার ইবাদতখনা পুণনির্মাণ করল। তৃতীয় ঘটনা:বনী ইসরাইলের এক মহিলা।

সে তার শিশুকে দুধ পান করাচ্ছিল। তার কাছ দিয়ে আরোহী এক সুপুরুষ চলে গেল। সে দোয়া করল,হে আল্লাহ! আমার ছেলেকে তার মত বানিয়ে দাও। শিশুটি তখনি মায়ের স্তন ছেড়ে দিল ও বলল,হে আল্লাহ!আমাকে এর ন্যায় বানিও না। পুনরায় সেই মহিলার পাশ দিয়ে একটি দাসীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

তার মালিক তাকে মারছিল। আমার ছেলেকে তার মত বানিও না। শিশুটি তখনি মায়ের স্তন ছেড়ে দিল ও বলল,হে আল্লাহ!আমাকে এর ন্যায় বানিও। মা প্রশ্ন করল,তা কেন?শিশুটি জবাব দিল,সেই আরোহী ছল জালিমদের অন্যতম আর এ দাসীটিকে লোকেরা বলছে,তুমি চুরি করেছ,যেনা করেছ। অথচ সে তা করেনি।

(বুখারী,হাদীস নং৩৪৩৬) যাথোক,এই সুরার শেষ ১০ আয়াত অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে। সুরাআনআম:হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস(রাবলেন: এই সুরার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল,কয়েকখানি আয়াত বাদে গোটা সুরাটিই একযোগে মক্কায় নাজিল হয়। ৭০ হাজার ফেরেস্তা তসবীহ পাঠ করতে করতে এই সুরার অবতরণ করান। সুরাআরাফ: সুরাটির গুরুত্ব অসাধারণ। সুরাটির শেষ আয়াতটি হল সেজদার আয়াত।

সহীহ মুসলিমে হযরত আবু হোরাইরা (রাএর রেওয়াতএমে বলা হয়েছে যে,কোন আদম সন্তান যখন কোনসেজদার আয়াত পাঠ করে অতপর সেজদাহ সম্পন্ন করে,তখন শয়তান কাদতে কাদতে পালিয়ে যায় ও বলে যে,আফসোস,মানুষের প্রতি সেজদার হুকুম হলো আর মানুষ তা আদায় করল,ফলে তার ঠিকানা হল জান্নাত,আর আমার প্রতিও সেজদার হুকুম হয়েছিল,কিন্ত আমি নাফরমানী করায় আমার ঠিকানা হল জাহান্নাম। সুরাতাওবা:এই সুরার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল,কোরআন মজীদে এর শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখা হয় না,অথচ অন্যান্য সকল সুরার শুরুতে বিসমিল্লাহ লেখা হয়। এই সুরার শেষ ২টি আয়াত অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণ। হযরত উবাই বিন কাআব(রা এর মতে এ ২টি আয়াত হলো কোরআনের সর্বশেষ আয়াত। এরপর আর কোন আয়াত অবতীর্ণ হয়নি।

এ অবস্হায় নবী করীম(সএর ইনতেকাল হয়। হযরত ইবনে আব্বাস(রাও এ মতই পোষণ করেন। -(কুরতবী) সুরা ইউনুস: এ সুরার আসমান জমীন সৃ্ষ্টি,দিনরাতের পরিবর্তন,আখেরাত,জান্নাত-দোযখ,মুসা(আ)এর মুজেযা,ফেরআউনের মৃত্যু ও হযরত ইউনুস(আ)এর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।