আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পরির্বতনের ভাইরাসে আক্রান্ত সরকার

পঙ্খিরাজে চাদেঁর দেশে

সরকার জিয়া বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তন করে সর্বজন শ্রদ্ধেয় হজরত শাহজালালের নামে নামকরণ করতে যাচ্ছে। নাম বদলের রাজনীতি ছেড়ে দেশের জনগনের কল্যানের রাজনীতি করুন! জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পাল্টে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পিছন ফিরে তাকালে দেখা যায় ১৯৯৭ সালেও তারা উদ্যোগ নিয়েছিল জিয়ার নাম পরিবর্তন করে শুধু ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর নামকরন করতে। কিন্তু শেষ সম্ভব হয়নি। এবারে নতুন নাম হবে ঢাকা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

আমরা এর উপকারিতা সম্পর্কে কিছু বলতে পারিনা। যদি সরকার মহোদয় নিজগুনে ব্যক্ত করেন, জানতে পারব। নতুবা কেন এই পরিবর্তন? হতে পারে হজরত শাহজালাল (র.)কে সম্মানিত করার উদ্দেশ্যে এ পরিবর্তন! তাতে কিছু হবেনা। একটি বিমানবন্দর দিয়ে তার সম্মান বাড়ানো যাবেনা। যদি দেশের নাম তার নামে জালালাবাদ রাখেন তবে কিছুটা বিবেচ্য।

কিন্তু এরকম একটি বিতর্কিত পরিবর্তনে সত্যিকার অর্থে তাকে কি সম্মানিত করা হচ্ছে নাকি অযথা তার পবিত্র নামকে বিতর্কিত করা হচ্ছে, রাজনৈতিক স্বার্থলোভীদের ফায়দার জন্য। এবার আমরা যদি ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি তাহলে দেখা যায় আর সব জটিলতা বাদ দিয়ে নয়া নামকরণে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরের কাগজপত্রসহ আনুষঙ্গিক অনেক কিছুই বদলাতে হবে। যেখানে রয়েছে জনগণের বিপুল পরিমাণ ট্যাক্সের পয়সা খরচের বিষয়। কিন্তু কেন এ অপচয়? যেখানে দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। শীতে কষ্ট পাচ্ছে, মারা যাচ্ছে গরিব মানুষ।

তবে দৈনিক সমকাল পত্রিকা নাম পরিবর্তনের বিষয়ে লিখেছে ‘বিএনপি তাদের জাতীয় কাউন্সিলস্থল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের নাম বিকৃত করে সাবেক বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র হিসেবে উলে¬খ করায় সরকার জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নাম পরিবর্তনে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। ’ আবারও আশ্চর্য হওয়ার পালা, দেশের মানুষের কল্যাণ বা অকল্যাণের কথা না ভেবে কেবল রাজনৈতিকভাবে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে একটি গণতান্ত্রিক সরকার কিভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেয়! কিংবদন্তীর ওলীর নামকে বিতর্কে ফেলে অসম্মানিত করাকে কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। সরকারের যদি হজরত শাহজালাল (র.)-কে সম্মানিত করার সত্যিকারের সদিচ্ছাই থেকে থাকে তাহলে ত্রিশালে যে নতুন একটি বিমানবন্দর করার আলোচনা চলছে সেটির নাম তার নামে রাখতে পারেন। এভাবে নাম বহাল আর পুনর্বহালের খেলা আর কতদিন চলবে? কেন জনগণের জন্য একটি অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে এভাবে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে? সরকার পরিবর্তন করে যাচ্ছেন আগামীতে যদি বিএনপি ক্ষমতায় আসে তখন তারাও আবার পরিবর্তন করবে। আবারও সময় নষ্ট হবে, অর্থের অপচয় হবে কিন্তু দেশের মানুষের কোন কল্যাণ হবে না।

তাই বর্তমান সরকারের কাছে অনুরোধ, দেশ ও দেশের মানুষ অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত, দয়া করে তাদের যাতে প্রকৃত কল্যাণ হয় সেই কাজ করুন। অযথা সময় নষ্ট করবেন না। নাম বদলের রাজনীতি ছেড়ে দেশের জনগনের কল্যানের রাজনীতি করুন!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।