জলে না নামিলে কেহ শিখে না সাঁতার, গালি না খাইলে কেহ না হয় ব্লগার
এক মহল্লায় বেশ কিছু বদ লোক ছিল। মহল্লার সব পিচ্চি পোলাপাইন ঠিক করল বদ লোকগুলা যখন রাস্তা দিয়া হাঁইটা যাইব, উপরে বারান্দা থেকা তাগো মাথায় পানি ফালাইব। যেমন কথা তেমন কাজ। বদ লোকেরা পড়ল মহা মুসিবতে। উপর থেকা ঝপ কইরা পানি পড়ে, বাড়িতে গিয়া আবার কাপড় বদলায়া আইতে হয়।
উপরে তাকায়া বুঝাও যায় না কে পানি ফালাইল। কারণ পিচ্চিরা পানি ফালায়া লগে লগে দৌড়। আবার পিচ্চিরা নিজের বাড়ি থেকা পানি ফালায় না। তাই কাউরে নালিশও দেওন যায় না।
তো, সব বদ লোকেরা মিলা সিদ্ধান্ত নিল, এখন থেকা ছাতা মাথায় চলব।
এদিকে পিচ্চিরা ছাতা দেইখা ডজ খাইলেও পরে ট্যাকটিক বদলাইল। এবার তারা ময়লা পানি ঢালে। ময়লা ছাতা তো আর লগে রাখন যায় না। বদ লোকেরা আবার মুসিবতে।
বদ লোকেরা তারপর ভাবতে লাগল কী করন যায়।
মহল্লায় দুই জন সম্মানি ব্যক্তি ছিল। একজন মসজিদের ইমাম সাহেব। আরেক জন এক মুক্তিযোদ্ধা। তারা বুড়া মানুষ। রোদ সহ্য হয় না তাই শীতকাল বাদে মোটামুটি সব সিজনেই লগে ছাতা থাকে।
ইমাম সাহেবেরটা গাঢ় সবুজ রঙের। মুক্তিযোদ্ধারটা লাল-সবুজ। বদ লোকেরা ঠিক করল তাগো মত ছাতা কিনব। সব বদ লোক তাই করল। যে যার ভাও বুইঝা কেউ সবুজ ছাতা, কেউ লাল-সবুজ লয়া বাইর হয়।
এইবার পোলাপাইন প্যাঁচে। তারা আর মাথায় পানি ঢালতে পারে না। বদ লোকরাও হ্যাপীলি লিভড এভার আফটার।
নটে গাছটি মুড়োল।
আমার গল্প ফুরোল।
গল্প পড়ে কেউ যদি এটার কোন মানে বের করতে চায় বা বাস্তবের সাথে মিল খুঁজে তবে তা পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা বলে গণ্য করা হবে। লেখক দায় নিবেন না। ;-)
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।