আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিডোর কথা সালাউদ্দিনের মুখে... এখন কি উনারও অপসারণ চাইবে রজনী - বাদল রায় গং

ছাগু তোষণ নীতি নির্ভর মডারেশন প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই. ব্লগের এক কোনায় জেনোসাইড বাংলাদেশের লোগো ঝুলিয়ে ছাগু তোষণ নীতির নামে ভন্ডামি বন্ধ করুন... নইলে এই মডারেশন নীতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার নাটক বন্ধ করুন.. ব্লগ পর্যবেক্ষনে, আপাতত শুধু কমেন্টাই..
আমাগো ফুটবল ফেডারেশনের তামশার কথা নতুন কইরা কওনের কিছু নাই। কোচ আর ফুটবলের মাঝে যে একটা পার্থক্য আছে এইডা উনাদের মোটা মাথায় ঢুকেই না, উনাগো ধারণা বলরে যেমন লাত্থি মাইরা খেলা চলে, কোচদেরও তেমনই লাত্থির উপরে রাখতে হয়। নতুন বিল্ডিং এ আইসা উনাগো ভাব আরও বাড়ছে, নিজেগো সৌদি সৌদি মনে করতাছেন। যাই হোক আইজকা পেপার খুইলা দেখলাম আমগো ফুটবল সম্রাট সালাউদ্দিন সাবে পরশুদিন নাকি রাইতে ঘুমাইতে পারেন নাই। কেনো ঘুমাইতে পারলেন না - আমগো ভরাডুবি নাকি দেখতে উনার ভালো লাগে নাই।

আহারে চুক চুক -- এরকম শব্দ কইরা পরের লাইন গুলা পড়তে থাকলাম, ওরে বেটা কয় কি? এই টিমে নাকি পাঁচ সাত জন প্লেয়ার একদম অচল। তাগো নাকি টাইম শ্যাষ আর সইরা যাওনই ভালা... Click This Link আহারে সেই নভেম্বরের নয় তারিখের কথা মনে পইড়া গেলো... ডিডো নামে আমগো একখান কোচ আছিলো। লোকটা সাফ ফুটবলের জন্য একখান দল ঘোষনা করছিলো। ডিডোর দল নিয়া নিউজ পড়েন.. Click This Link "চৌকস, দ্রুত এবং প্রান্ত বদল করে খেলতে পারবে এমন দলই আমি বেছে নিয়েছি। আমার লক্ষ্য থাকবে সাফে চ্যাম্পিয়ন হওয়া।

’ ডিডো এই কথাডা কইছিলো... আমিনুলরে কেনো নিলো আর বিপ্লব রে (উনার নামের সার্থকতা প্রমানে রজনীগো বিদ্রোহে উনারও ইন্ধন আছিলো বইলা শোনা যায়) কেনো বাদ দিলো এমন প্রশ্নও আছিলো। কেন নিছে এইডা আমিনুলে মনে হয় এক ভারত এর লগেই দেখায় দিছে, পিছে আর তাকাইলাম না। তয় আমগো বাদল রায়গো মাথায় এইগুলান ঢুকে নাই। কোচ হইলো ফুটবলের লাহান, লাত্থি মারবো আর চলবে, সেই কোচের এতো সাহস আমগো নিজেগো টিম (আবাহনি আর মোহামেডান) এর নামকরা বুইড়া গো বাদ দিয়া কোথাকার কোন পোলাপাইন ধইরা আনছে। অথএব খেদাও কোচ রে... Click This Link বাফুফে ভবনে বসে থাকা মাথা মোটা কিছু লোক আর বাদ পড়া কিছু জোর করে মাঠ আঁকড়ে থাকা খেলোয়াড় বাদে সবাই ই মনে হয় এই ঘটনার প্রতিবাদে মূখর আছিলো... এমনকি বাংলাদেশের খেলার অঙ্গনে সর্বাধিক তৈল প্রদান কারী উৎপল শুভ্র গং দের খেলার পাতাতেও ছিলো প্রতিবাদের ঝড়... তবে সেই বিদ্রোহী আটজনের মুখে ছিলো স্বস্তির ছাপ (!!!) দেখুন আলু পত্রিকার আরেকটি রিপোর্ট... Click This Link রজনী দাদা বলছেন --"আগের চেয়ে এবার অনেক শক্তিশালী দল হবে।

ডিডোর দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের অভাব ছিল, সেটা এখন নেই। আমরা এখন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য ফাইট দিতে পারব। ’ ---- আহা কি ফাইটটাই না দিলেন... এই যে এতো বিতর্ক, এতো কথা এর মাঝেও তবে কেনো যেতে হলো ডিডো কে? উত্তর পড়ুন... Click This Link বাঁদর থুক্কু বাদল রায় সাহেব বিজ্ঞ লোক... উনার সুচিন্তিত মতামত হইলো এমন -- "আমরা কোচকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছি। তিনি এটার অপব্যবহার করেছেন। পরিস্থিতির দাবি অনুযায়ী আমরা তাঁকে বিদায় দিতে বাধ্য হয়েছি।

" ‘সব স্বাধীনতা দেওয়ার পরও কোচ অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করেছেন। তাঁর সততার অভাব আর জেদ মিলেই এই পরিণতি। ’ "আর কোচই সর্বেসর্বা, এটা মানতে পারব না। সবাইকে নিয়েই তাঁকে চলতে হবে। আমরা এখন একটা চ্যালেঞ্জ নিয়েছি এবং আমাদের পরিতৃপ্তির জায়গা হলো, আমরা সেরা দল নিয়ে সাফে নিজের মাটিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করতে পারব।

" শেখ মোহাম্মদ আসলাম এটাকে বর্ণনা করলেন ‘জাতীয় সংকট’ বলে। ‘কোচ অথবা দল, দুটোর একটা বেছে নিতে গিয়ে দলটাকেই বাছতে হলো জাতীয় স্বার্থে’—বললেন তিনি। ফজলুর রহমান বাবুলের কথা, ‘জাতীয় মান-মর্যাদা নিয়ে পরীক্ষা করার সময় এটা নয় বলে কোচকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্তে সমর্থন দিয়েছি। ’ সিরাজুল ইসলাম বাচ্চুরও অভিন্ন প্রতিক্রিয়া, ‘দেশের সম্মানটাই আগে। ’ হাসানুজ্জামান খান বাবলু বললেন, ‘আর কোনো বিকল্প ছিল না।

’ আহারে কে বলে আমাদের দেশে ফুটবল বোদ্ধার অভাব..... আফসোস একটাই এইবার সালাউদ্দিন সাবে কইছে -- "এখন আমি কোয়ালিটি কোচ নেব। কোয়ালিটি কোচিং স্টাফ নেব। সেটা করতে গিয়ে প্রয়োজনে ফেডারেশনের কয়েকটি রুম বন্ধ থাকবে। কিছু কাজ না হয় হবে না। কিন্তু কোয়ালিটি কোচ আনবই।

" কোয়ালিটি কোচ আইনা কি লাভ, যদি কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ই না থাকে???? যেই কয়টা রুম বন্ধ করার কথা বলছেন তার মাঝে কি বাদল রায়, হেলাল কিংবা আসলামের রুম থাকবে???? সালাউদ্দিন কি পারবেন এই সব অতি বিজ্ঞ মাথা মোটা কর্তাব্যাক্তি দের ফুটবল থেকে দূরে সরাতে.... পারবেন না...কখনোই পারবেন না.... ‘এটা একটা রিটায়ার্ড টিম মনে হয়েছে আমার কাছে। ৫-৭ জন তো চলেই না। তাদের সময় শেষ এবং নিজেদেরই সরে যাওয়া উচিত। ’ বরং সালাউদ্দিনের এই কমেন্টের পরে বাদল রায়ের কমিটি উনাকেই অপসারণের দাবীতে রজনীদের আবার বিদ্রোহে নামায় দেন কিনা সেইটাই এখন দেখা বিষয়... সালাউদ্দিনের টাইম এইবার শ্যাষ... বুইড়া খেলোয়ারগো চইলা যাইতে কইছে এত্ত বড় সাহস..... আফসোস....
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।