আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুপ্তকেশ আনলিমিটেড..............

বারবার শুধু ছিটকে পড়ি অশ্লীল কারাগারে সরকার মহাশয়ের কর্ণকুহরে দুর্ঘটনার সংবাদটি যথাসময়ে অবহিত করা সত্ত্বেও গা করিতে দেখা যাইলনা, নাকি গুপ্তকেশাঞ্চলে ক্রমাগত ঘষর ঘষর আওয়াজে ঠিকমত শ্রুত হননি। তাহাও হইতে পারে। সেপই যখন জমিনে দুইবার পদ ঠুকিলো, তখন বুঝিলন রঙ্গমঞ্চ প্রস্তুত হইয়াছে, এইবার কলার সর্বোতস্ফুরণ ঘটাইয়া, নাসিকা, চক্ষুর জল আনুপাতিক হারে মিশাইয়া বলিতে হইবে, এই বিচার হবেই.... সেপই পুনরায় জমিনে পদ ঠুকিয়া কহিল, আজ্ঞে, আপনার বিচারের আশ্বাসের কথা শুনিয়া ৫০০ গজের মধ্যে কেহ যদি ফিক করিয়া হাস্য না করে তাহার জন্য জমাট যন্ত্র স্থাপন করা হইয়াছে। সেপইয়ের এরুপ প্রত্যুতপন্নিমতায় সরকার মহাশয় খুশিতে তাহার বৃহত পশ্চাদদ্বয় দুইবার চুলকাইয়া লইলেন। মাখনাকে যে তাহার উপযুক্ত কাজটাই দেয়া হইয়াছে তাহা ইতিমধ্যেই ফলিতে শুরু করিয়াছে।

বাল অপরিপক্ক ছোকড়ার যেইভাবে ক্ষেপিয়া উঠিতেছিল, ভাবিয়াছিলেন এ যাত্রা বুঝি অঙ্গ সামলানোটাই প্রস্তরসম হইয়া যাইবে, বস্ত্র সামলানোতো ঢেড়। রক্ষাতো এক প্রকার হইয়াছেই, তবে নাস্তিক না ফাস্তিক ছোকড়াটা মরিয়া আবার ক্ষেপাইয়া তুলিল। হে...হে...বিচার...... হাসিতে চাহিলেও জমাট যন্ত্র কাজ শুরু করায় হাসি ঠিক বাহির হইলনা। সরকার মহাশয় বৃহত পশ্চাতদেশে ঘষর ঘষর আওয়াজ তুলিতে তুলিতে হাক পাড়িলেন ’হানু” ’খুক,খুক’ হানুর পরিচিত রিংটোন কর্ণগোচর হইবা মাত্র গর্ধভটাকে নিয়া একটু মজা করিবার খায়েস করিলেন ’একটা শিল্লুক ভাঙোতে দেখি’ 'আজ্ঞে, ’৩৪৪ টা খুনের বিচার যদি হয় ২৩ বছর, তাহলে এই ছোকড়ার খুনের কি বিচার হইতে পারে?’ ’আজ্ঞে, নাস্তিকটারেতো উল্টো জরিমানা দিতে হয়, উহাকে কবর হইতে তুলিয়া আরো সহস্রবার খুন হইবার সুযোগ দেওয়া হউক, অথবা বসত বাড়ি বেচিয়া জরিমানা আদায় করিয়া খুনীদের শ্রমের উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হউক...’ বলদটার উপস্থিত বুদ্ধিতে সরকার মহাশয় বড় প্রীত হইলেন ’ গাবতলীর খুল্লা মিয়া সওদাগর আবার জল ঘোল করিতেছেনাতো!’ ’আজ্ঞে, তেনারা সাময়িক বিরহে ক্রন্দন করিয়াই কুল পাইতেছেননা, আমি জোর গলায় তাহাদিগকে অবস্থান পরিষ্কার করিতে বলিয়া দিয়াছি’ হানুর মস্তিকের উত্তরোত্তর উর্বরতায় সরকার মহাশয় আরামে চক্ষু মুদিলেন। ওইদিকে সুর্য পড়িতে পড়িতে যখন গাবতলীর হাটে উপস্থিত হইল তৎক্ষণাৎ খুল্ল্যা মিয়ার কোষাধ্যাক্ষ হানুর এহেন মন্তব্যে চেতনের চুড়ান্তে উপনীত হইল।

অবশ্য মজমার এ ফাকে স্বীয় দন্ডডিম্ব ও ততসংলগ্ন এলাকা উত্তমরুপে হাতাইয়া নিশ্চিত হইলেন যে তাহার অবস্থান পরিষ্কারই আছে। তাহালে কিসের ভিত্তিতে হানু ওইরূপ মন্তব্য করিল। একদিন জনতাই উহাদের বস্ত্রহরণপূর্বক লোকসমক্ষে প্রমান করিবে উহারা নিজেরাই পরিষ্কার থাকা আবশ্যক মনে করেনা ইত্যাদি...ইত্যাদি। বাল অপরিপক্ক ছেলে ছোকড়ারাও যখন বৈষয়িক বিষয় লইয়া চরম মনোযোগী হইতেছে তখনও দন্ডমুন্ডের কর্তারা পরস্পরের অবস্থান পরিস্কার নিয়া মাতিয়া আছে। উহারা বুঝিতেছেনা সেদিন বেশি দুরে নয়, যেদিন এই ছেলে ছোকরারাই উহাদের গুপ্তকেশ উতপাটন করিয়া বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করিবে............... ততদিন তাহারা নিশ্চিন্তে পরস্পরের গুপ্তকেশের ত্রুটি বিচ্যুতি নিয়া ব্যস্ত থাকুক।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।