আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্যালাড অব অ্যা সোলজার

!!!

সময়কাল ২য় বিশ্বযুদ্ধ। যুদ্ধক্ষেত্রে জার্মান ট্যাংক ধ্বংস করার জন্য মাকে দেখতে এবং তাদের বাড়ির ছাদ সারাইয়ের জন্য রাশান সৈনিক আলেক্সি (Alyosha) ৬ দিনের ছুটি পায়। যাত্রাপথে নানা অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে আলেক্সি যখন বাড়ি পৌঁছায় তখন তার হাতে আর সময় থাকে না। অল্প সময়ের জন্য মা’কে দেখে ফেরত আসতে হয়। মা তাকে বলেন, আলেক্সির পিতার জন্য তিনি অপেক্ষা করেননি কিন্তু ছেলের জন্য তিনি অপেক্ষা করবেন।

পরিচালক Grigori Chukhrai যুদ্ধের ভয়াবহ পটভূমিতে মূলত তৈরি করেছেন ভালবাসার গল্প। তিনি চমৎকারভাবে দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেন পঙ্গু স্বামীর প্রতি স্ত্রীর ভালবাসার সাথে। যুদ্ধক্ষেত্রে চলে যাওয়া স্বামীকে ভুলে গিয়ে স্ত্রীর বিশ্বাসঘাতকতার সাথে, তরুণ যুগলের স্বাপ্নিক ভালবাসার সাথে এবং সন্তানের প্রতি মায়ের চিরন্তন ভালবাসার সাথে। পুরো ছবিটি ফ্ল্যাশব্যাকে দেখানো হয়েছে। দর্শকদের প্রথমেই জানিয়ে দেয়া হয় মূল চরিত্র আলেক্সি’র পরিণতির কথা।

পুরো ছবিটাই তখন দর্শক দেখেন প্রচন্ড আবেগ নিয়ে। প্রথম থেকেই দর্শকদের ছবির সাথে একাত্ম করে ফেলার ক্ষেত্রে পরিচালক দারুন মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। নায়িকা শূরা’র (Shura)সাথে আলেক্সির ট্রেন যাত্রার অংশও দর্শকদের ভাল লাগবে। বিশেষতঃ নির্জন স্টেশনে শূরাকে ফেলে রেখে আলেক্সির সামনে এগিয়ে যাওয়ার দৃশ্যায়ন অসম্ভব বেদনার আবহ তৈরি করবে। ছবি শুরু হয় সন্তানের জন্য মায়ের অপেক্ষা করার মাধ্যমে এবং শেষও হয় একই দৃশ্য দিয়ে।

যেহেতু দর্শকমাত্র জানেন যে আলেক্সি আর তার মায়ের কাছে ফিরে আসবে না ফলে মায়ের প্রতি দর্শকদের মন হয়ে উঠে আর্দ্র। দর্শকরা সন্তানের জন্য মায়ের অপেক্ষার সাথে একই কাতারে দাড়িয়ে যান। আর এই মা তখন হয়ে উঠেন সার্বজনীন। পরিচালক তার গল্প বলাতে স্বার্থক- এ কথা বলতেই হয়। রাশান সাদা- কালো এই ছবিটি ১৯৫৯ সালে নির্মিত।

মৌলিক চিত্রনাট্যের জন্য অস্কারের মনোনয়ন পেয়েছিল। কান চলচ্চিত্র উৎসবে পেয়েছে স্পেশাল জুরি পুরস্কার। ছবিটি ডিভিডি’তে পাওয়া যায়। যারা ইউটিউভ থেকে দেখতে চান তারা ক্লিক করুন এখানে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে যারা সিনেমা দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি একটি ‘মাস্ট সি মুভি’।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।