আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গ্যালওয়ে বলেছেন, টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে সুরমা নদীর অববাহিকা নদ-নদীর মারাত্মক সমস্যা হবে। সরকার তা মনে করেন না কেন? !!!



ভারতের টিপাইমুখ এলাকায় বরাক নদীর ওপর বাঁধ নির্মাণের প্রভাব নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সফররত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট সদস্য জর্জ গ্যালাওয়ে। টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী মিছিল করার পর সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরে বুধবার দুপুরে রিপোর্টার্স ইউনিটির সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। গ্যালাওয়ে বলেন, "টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের একাংশের মানুষের পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে কিনা তা খতিয়ে দেখতে আমি আন্তর্জাতিক তদন্ত দাবি করছি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে এ তদন্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে। " তিনি বলেন, "টিপাইমুখ বাঁধ কেবল বাংলাদেশ ও ভারতের বিষয় নয়।

বাঁধটির সঙ্গে জলবায়ু ও পরিবেশের সম্পর্ক থাকায় তা কোনো দুটি দেশের বিষয় নয় আর্ন্তজাতিক বিষয়। " গ্যালওয়ে মনে করছেন, ভারতে টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে এ অঞ্চলের পরিবেশের ক্ষতি হতে পারে। বিশেষ করে, সিলেটের সুরমা নদীর অববাহিকায় নদ-নদীর ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এটা সিলেটের বিশাল এলাকার মানুষের জন্য দুশ্চিন্তার বিষয়। কারণ ওই বাঁধের ফলে সিলেটে বন্যা দীর্ঘতর হবে।

ফলে আর্থিক-সামাজিক-পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখি হবে সিলেটের মানুষ। গ্যালওয়ের নেতৃত্বে ব্রিটেন থেকে আসা ১৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি টিপাইমুখে প্রস্তাবিত বাঁধের বিরোধিতা করে গত রোববার সকাল ১০টার দিকে সিলেট শহর থেকে মিছিল শুরু করে। জেলার জকিগঞ্জ উপজেলার অমলসিধ সীমান্তে পৌঁছালে বিডিআর দলটিকে আটকে দেয়। সুরমা ও কুশিয়ারার উৎস বরাক নদীর ওপর বাঁধ নির্মিত হলে সিলেটসহ দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এর সম্ভাব্য 'ক্ষতিকর' প্রভাবের বিষয়টি বিশ্ববাসীর নজরে আনার জন্য এই লংমার্চের আয়োজন করা হয়। গ্যালাওয়ে দীর্ঘদিন ব্রিটেনের লেবার পার্টির এমপি ছিলেন।

ইরাক যুদ্ধের ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকার প্রতিবাদে তিনি ওই দল ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে তিনি রেসপেক্ট পার্টি থেকে এমপি নির্বাচিত হন। সংবাদ সম্মেলনে গ্যালাওয়ে বাংলাদেশ সফরের কারণ তুলে ধরে জানান, একটি প্রচারণার অংশ হিসেবে তাদের এ সফর। বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচন, মানবাধিকার রক্ষা, পরিবেশ সংরক্ষণ, ফিলিস্তিনিদের সমর্থন এবং লন্ডনে ২০১২ সালের অলিম্পিক প্রভৃতি বিষয়ও এর সঙ্গে যুক্ত। এসব বিষয় নিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া, আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ এবং জামায়াতে ইসলামী ও সুফি পিস কনফারেন্স এর নেতাদের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে বলে তিনি জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "ভারত একটি বৃহৎ শক্তিশালী দেশ। বাংলাদেশ সেরকম নয়। আমি জানি, লন্ডনে টিপাইমুখ বাঁধ ইসু্যুতে ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে ভারতীয় প্রবাসীরাও বিক্ষোভ করেছেন। এটা কেবল বাংলাদেশের মানুষের নয়, ভারতের একাংশের মানুষের জন্যও সমস্যা হবে। সেজন্য এটাকে আন্তর্জাতিকভাবে দেখতে হবে।

" Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।