আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরবানীতে প্রেস্টিজ? মানুষের কাছে নয়, আল্লাহর কাছে...

কোন একদিন.. এদেশের আকাশে... কালেমার পতাকা দুলবে, সেদিন সবাই ... খোদায়ী বিধান পেয়ে দু:খ বেদনা ভুলবে..

কোরবানী নিয়া একদল লোক প্রেস্টিজ চর্চা করে। ক্যামনে: ১. তারা সমাজের লোকেদের সামনে লজ্জিত হবার ভয়ে কোরবানী দেয়। ২. সবচে দামী গরু কিনে মিডিয়া কভারেজ আদায় করে। ৩. প্রতিবেশিদের সাথে কোরবানী নিয়ে প্রতিযোগিতা করে, প্রতিযোগীতাটা ঈমানের নয়, কোরবানীর পশুর দামের। ইত্যাদি ইত্যাদি।

এ হতে বিরত থাকা উচিত। আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত, প্রেস্টিজ রক্ষাটা যেন প্রতিবেশিদের সাথে না হয়, বরং আল্লাহর সাথে হয়। অনেকের কাছে রমজান হল সেমাই খাওয়ার ঈদ আর কোরবানী হল গরু-ছাগলের মাংস খাওয়ার ঈদ। আসলে কোরবানীর ঈদ গরু-ছাগলের মাংস খাওয়ার ঈদ নয়। বরং ত্যাগ প্রশিক্ষনের ঈদ।

ইব্রাহীম আল্লাহর নির্দেশে তাঁর সবচে প্রিয় বস্তুকে (বৃদ্ধ বয়সে পাওয়া তাঁর একমাত্র সন্তানকে) কোরবানী দিতে গিয়েছিলেন। আল্লাহ তাঁর কোরবানী কবুল করেছিলেন। এজন্যে ইসমাঈল (আ)কে কিন্তু রক্তাক্ত হতে হয়নি। আল্লাহর কাছে গরু ছাগলের রক্ত-মাংসের তুলনায় কোরবানীকারীর আল্লাহর নির্দেশ পালনের নিয়তের পরিমান কতটুকু তা পরীক্ষা করাটা জরুরি। আমরা কেউ নিশ্চয়ই নিজের ও আল্লাহর সাথে প্রবঞ্চনাকারীতে পরিণত হবনা।

শুধুমাত্র আল্লাহর নির্দেশ পালনের ইচ্ছাতেই ক্ষমতার ভেতরে সবচেয়ে ভাল এবং সুন্দর একটি জায়েজ পশুকে আগামী কাল আল্লাহর নামে কোরবানী করব। কোরবানীকৃত পশুর মাংস সঠিকভাবে হকদারদের নিকট পৌছিয়ে দেব, ইনশাআল্লাহ। এরপরও যদি আমাদের হৃদয়ে কোন দুর্বলতা থেকে থাকে তার গুনাহ হতে মাফ পাওয়ার জন্য আল্লাহর দরবারে হাত পেতে বসব। নিশ্চয় আমাদের সকলের কোরবানী আল্লাহ পুরোপুরি কবুল করবেন, আমীন

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।