আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইহাও একটি ম্যাচিউরড গল্প, সুতরাং ১৮ বয়স না হলে পড়বেন না প্লিজ। উপযুক্ত পাত্রের যোগ্যতা যাচাই

কিছু নিজের লেখা আর কিছু নেট থেকে ঘষামাজ়া করা, কেউ অন্য কোথাও লিখতে চাইলে প্লিজ জানাবেন ©

অপরুপা সুন্দরী, কমনিয়,মোহনিয় লাবন্যের অধিকারী ,মনোহারিনী,কামনায় ভরপর মায়াবিনী মিস লায়লা বয়স ত্রিশের কোটায় যখন পা রাখলেন,তখন মনস্থির করলেন, আর পায়রা হয়ে উড়োউড়ি নয়,এবার সময় এসেছে স্থায়ি হয়ে ঘর বাঁধার। কিন্তু বাদর পোলাপানের বাদরামি ,হ্যাংলামি,লুলামি এবং বিশ্বাস অবিশ্বাসের দোলাচলে মিস লায়লা ও আপন পুরুষের সন্ধানে একটু বিচলিত। ঘটক পাখী ভাইয়ের সুরেলা সুরকেও অসুর মনে হয়। তাই বলে বয়সতো আর এক জায়গায় বসে থাকেনা। তাই মনে মনে মিস লায়লা সব কিছু যাচাই বাছাই সাপেক্ষে মোটামুটি নিজেকে স্বয়ংবরা হিসাবেই মনস্থির করলেন।

আর এ উদ্দেশ্যে সম্পাদনে ,বিবিধ দাম্পত্য সংসারের উপর একটি নাতিদীর্ঘ জরিপ চালিয়ে ঠিক করলেন, নিজেই পাত্র পক্ষের সাক্ষাৎকার নিয়ে স্বীয় বিবাহ কার্য শেষ করিবেন। এবং যোগ্য পাত্র যথাযথ প্রমাণ তার সামনেই পেশ করবেন। মিস লায়লার বিগ্গাপন পরদিন সব পত্রিকায় এভাবে প্রকাশিত হলো--- এমন একজন পাত্র চাই না থাকুক তার ঐশ্বর্য, না থাকুক তার বংশ প্রতিপত্তি, হোক না হয় তার কম শিক্ষা ,দেখতে অসুন্দর হলেও নাই কোনো সমস্যা তবে তিনটি জিনিস চাই শুধু সুন্দর এক সংসারের জন্য। ১। পাত্র যেন আমাকে ভালোবাসে মনে প্রাণে যাকে বলে অন্ধ ভালোবাসা, ২।

আমার কোনো ভুল ভ্রান্তিতে আমাকে বোঝাবে,কিন্তু কোনো শারীরিক নির্যাতন বা প্রহার করতে পারবেনা, ৩। মানসিক তৃপ্তির সাথে সাথে আমার শারীরিক চাহিদাও মিটাবে একজন সুপুরুষের মতো। কিন্তু কোনো উপযুক্ত পাত্র আসেনা, মিস লায়লা ও খুব বিচলিত। অবশেষে একদিন বর্ষণমুখর সন্ধ্যায় মিস লায়লায় গৃহ দরজায় রিং বেজে ওঠে। লায়লা দেখেন, একজন বেটে খাটো লোক দরজায় দাঁড়িয়ে।

স্বহাস্যে জানালো সে উপযুক্ত পাত্র হিসাবে মিস লায়লাকে বিয়ে করতে এসেছে। লায়লা লোকটিকে ড্রয়িং রুমে নিয়ে এসে প্রশ্নগুলো জানিয়ে দিয়ে একে একে প্রমাণ করতে বললো-- লোকটি চোখের চশমাটা খুলে টেবিলের ওপর রেখে বললো, দেখো আমি অন্ধ। তাই তোমার প্রতি আমার সব ভালোবাসা হবে একেবারে অন্ধ ভালোবাসা। এবার শার্ট খুলে একপাশে রাখলো, দেখো আমার দুটি হাতই নেই, তাই তোমাকে প্রহার করার কিংবা নির্যাতন করার কোনো প্রশ্নই ওঠেনা। আর তিন নম্বর মানে একজন সুপুরুষের যোগ্যতার প্রমাণতো তুমি অলরেডি পেয়েই গেছো।

মনে হয় আর চাক্ষুষ কোনো প্রমাণের দরকার নেই। তুমিইতো নিজেই দেখলে, আমার দুটি হাত না থাকা অবস্থায়ও আমি তোমার দরজায় একেবারে ঠিকমতো রিং বাজিয়েছি, যা এ বর্ষণমুখর রাত্রেও তুমি ঘরের ভিতর থেকে শুনতে পেরেছো। সবাইকে ঈদ মোবারক। ব্যন করার আগে জানাবেন, যাতে পোস্টগুলো সরিয়ে নিতে পারি। আর স্বতস্ফূর্ত ভাবে না লিখার পীড়া অনেক কষ্টের।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।