আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাথা ন্যাড়া করে ফেললে কেমন হয়



আমার সাথে একজন বিশিষ্ট ভদ্রলোক এবং বিদ্বান ব্যক্তি নানা গল্প করতে করতে কথা প্রসঙ্গে ধর্মীয় কথা বার্তা নিয়ে আলাপ চলছিল। পারত পক্ষে এ বিষয়ে আলোচনায় আমি যাই না, তর্কে তো একদম না। কারণ আমার বিদ্যা বুদ্ধি কম, কম বুদ্ধি নিয়ে তর্ক করার কোন মানে হয় না। উনাকে অনেক ধার্মিক মনে হল, কারণ কথায় কথায় কোরান হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিচ্ছিলেন। যেমন তিনি দুপুরে খাবার পর একটু ঘুমান.............এটার উপকারিতা নাকি হাদিসে বলা ছিল, এখন বিজ্ঞান এত বছর পর এর সত্যতা বের করেছে।

উন্নত বিশ্বে অফিস গুলাতে এখন দুপুরে লাঞ্চ এর পর হালকা ঘুমের ব্যবস্থা থাকে.........এতে কর্মীদের প্রোডাক্টিভিটি বাড়ে। আমি আদার ব্যপারী, কাজ করি দেশে একখান সরকারী অফিসে.........উন্নত বিশ্বের অফিসে এখন কি হয় আমার জানার কথা না। তবে আমি উনার সাথে একমত হলাম কারণ দুপুরে হালকা একটা ঘুম দিতে আমার বড়ই ভাল লাগে। কোরান হাদিস সমর্থন না করলেও হয়তো এইটা আমার ভালই লাগতো। আমার সমর্থনে উজ্জীবিত হয়েই কিনা উনি আরো গভীর আলোচনায় মগ্ন হলেন...........আমার ও খানিক জানার আগ্রহ ছিল উনার লেভেল টা কোন দিকে বেশী ভারি! কাজেই মনোযোগী শ্রোতা হয়ে হু, হা করে তাঁর কথা আমি শুনছিলাম।

শুনতে শুনতে বিব্রত ও বোধ করছিলাম কারণ আমি উন্নত ধরনের ধার্মিক না...........সুবিধাবাদী টাইপ ধার্মিক। যখন মন চায় তখন ধর্মাচার করি.....সবসময় করি না। মাঝে মাঝেই শযতানের প্ররোচনায় পতিত হই। উনি বললেন একটা সুসংবাদ আছে দোজখে যারা যাবে তার বেশীর ভাগই নারী। আমি বললাম এইটারে আপনি সুসঙবাদ বললেন! এটা তো আমার জন্য রীতমিতন আতংকের সংবাদ! উনি বললেন না মানে আমার জন্য ভাল সংবাদ...............আপনের চেয়ে আমি সুবিধাজনক অবস্থানে আছি ।

আমি বললাম "ও"! এরপর আরো অনেক বয়ান শেষে উনি দেখলেন আমি মোটামুটি নিরব বললেন ...............হে হে এইবার তো এক্কেবারে সাইলেন্স! আমি বললাম......সে আর বলতে, আমি ভয় পেয়েছি.........ভয়ে হাত পা কাঁপাকাঁপি অবস্থা..............সে জন্য সাইলেন্স। তিনি বড়ই প্রীত হলেন, বললেন ভয় পাওয়া ভাল.........। খানিক পরে স্মরণ করিয়ে দিলেন, এই যে হিজাব ছাড়া ঘুরে বেড়াই এত, স্বর্গের সব দরজায় সাইন বোর্ড থাকবে হিজাব ছাড়া নারীর এই বেহেশতে প্রবেশ নিষেধ । আরো স্মরণ করিয়ে দিলেন মাথায় যতগুলো চুল আছে যা আমরা মানুষ (পুরুষ) কে দেখিয়ে বেড়াচ্ছি সেগুলো এক একটা বিষধর সাপ হয়ে ছোবল দিবে। এতক্ষন চুপ ছিলাম, এবার বললাম -কঠিন সমস্যা তো! এক কাজ করলে কেমন হয়? উনি বললেন -কি কাজ? কি কাজ? -মাথার চুলগুলো ন্যাড়া করে ফেলি, তাহলে আর চুল ও থাকলো না, সাপ ও থাকলো না *********************** পোস্ট কমেন্ট করতে করতে নতুন আইডিয়া মাথায় এসেছে..........পরচুলা পরে থাকবো, ঐটা তো আর আমার নিজের চুল না! কাজেই ঐ চুলের সাপ আমারে কামড়াবে না।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.