আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দর্জি বাবার পদ্মভূষণ পুরস্কার মনে করিয়ে দিলো ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার!

ধর্ম ব্যবসায়ীদের কাছে ধর্ম নিরাপদ না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ীদের কাছে দেশ নিরাপদ না। নাস্তিকেরা মৌলবাদীদের থেকে উন্নত মানুষ না।

আইজকা হাসিনা আপা তথা জাতির খুশির দিন। বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের সদস্যদের হত্যাকান্ডের রায় হয়েছে।

যাই হোক জাতির জন্য আরো একটা খুশির সংবাদ হইলো হাসিনা আপা "ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার" পেয়েছেন। কি কি শান্তি প্রচেষ্টায় উনি জড়িত ছিলেন তা জানি না। তবে ১.ট্রানজিটের নামে করিডোর, ২. টিফাইমুখ বাঁধ এবং ৩.বিএসএফকৃত সীমান্তে বাংলাদেশীদের হত্যা সহ সব ভারতীয় নীতির মন্দিরে পূজা দেয়ার বিনিময়ে বহুত্ববাদের নানা কর্ম উনি গত এক বছর নিষ্টার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। যেটা শুধু মাত্র এই উপমহাদেশে একমাত্র লেনদুপ দর্জি-ই করে ছিলো। ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার লেনদুপ দর্জির কথা মনে করিয়ে দিলো! গো বেচারা দর্জি সিকিম ( Click This Link ) ভারতের হাতে তুলে দেয়ার ২৭ বছর পর পদ্মভূষণে ভূষিত হয়।

কাজী লেনদুপ এক সাক্ষাৎকারে সুধীর শর্মাকে বলেন, আমি ভারতের জন্য এত করলাম, এমনকি দেশটিও দিয়ে দিলাম, তার প্রতিদানে তারা আমায় এত অবহেলা করল। যাক আমাদের আপা মনে হয় একটু আগে ভাগে-ই পাইয়া গেলো। ভারত সফরের আগে আপা কে আধুনিক ঘুষ(পুরস্কার) দিয়া স্বার্থ আদায়ের চেষ্টার অগ্রগতি অনেকটাই .. এগিয়ে গেলো মনমোহন সোনিয়া। গত কয়েক বছর ভারতীয় রাষ্টদূত বাঙালী পিনাকের ফিকির পন্ধি দেইখাই বুঝা যায় যে আমাদের উপর জননেত্রী নামে দর্জি ভূত সোয়ার হয়েছে। জাতির কপালে কি আছে জানি না! তবে নেপাল ভূটানের সাথে শুধুমাত্র রেল ট্রানজিটের বিনিময়ে জাতির কন্যা মনে হয় ভারত কে সড়ক পথের নৌ পথের মানে সকল পথের ট্রানজিট দিতে তৈয়ার হয়ে আছেন।

যোগাযোগ মন্ত্রী আবুল হোসেনের টোল বাণিজ্যের কথা সবার মনে আছে? আমার কথা বিশ্বাস না হলে দিন মজুর ভাইয়ের মন্তব্যটা পড়ুন ও হাঁ পোষ্টা ও পড়ে দেইখেন... ৫. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৩:২৩ দিনমজুর বলেছেন: লেখাটা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। লেখক খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রসংগ উত্থাপন করেছেন যে রাজধানীর সাথে রাজধানী কিংবা বন্দর থেকে বন্দর পর্যন্ত যোগাযোগ ও ব্যাবসা-বাণিজ্যই এশিয়ান হাইওয়ের মূল উদ্দেশ্য হয় তাহলে কোন যুক্তিতে আমরা মায়ানমারের মধ্যদিয়ে যুক্ত হওয়ার বদলে মূলত ভারতকে করিডোর দিয়ে ভারতের মধ্যদিয়ে এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হতে যাব। টোল প্রসংগে লেখক সঠিক ভাবেই বলেছেন: "অনেকে হয়তো বলবেন ভারতীয় যানবাহন বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে যাতায়াত করতে দিলে সেখান থেকে বাংলাদেশ টোল আদায়ের মাধ্যমে কিছু অর্থ উপার্জন করতে পারবে। কিন্ত সঠিকভাবে হিসাব করলে সহজেই বোঝা যায় যে কিছু টোলের টাকা আদায় করতে গিয়ে আমরা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে যেটুকু পন্য রপ্তানী করে থাকি সেটা একেবারেই হারিয়ে ফেলবো। " পাশাপাশি আমরা এখানে প্রাসংগিক একটা তথ্য যুক্ত করছি------ তত্ত্বাবধায়ক সরকাররে সময় ২০০৮ সালের জুলাই মাসের দুই তারিখে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ভারতের প্রস্তাবিত "Draft Agreement on Regulation of Passenger and Vehicular Traffic between Bangladesh and India" বা "বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্য দিয়ে যানবাহন এবং কার্গো পরিবহনে নিয়মনীতির খসড়া" সংক্রান্ত একটি চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের বরাবরে প্রেরণ করা হয়।

কি আছে ভারতের খসড়া প্রস্তাবে? গত ১ অক্টোবর ২০০৯ তারিখে The Financial Express পত্রিকা থেকে জানা যায়, প্রস্তাবিত এই খসড়া চুক্তিটি মূলত বাংলাদেশ ভারতের মধ্যকার ট্রানজিট চুক্তির আগের ধাপ। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ ও ভারত পরস্পরকে কার্গো ও যাত্রী পরিবহনের সুযোগ দেবে। খসড়া অনুযায়ী কার্গো যানবাহন মানে হলো ট্রাক, ট্রেইলার ইত্যাদি যেগুলো বিভ্নিন কন্টেইনারের মাধ্যমে কার্গো বা মালামাল এক দেশ থেকে আরেক দেশে বা তৃতীয় কোন দেশে পরিবহন করতে পারবে। মালামাল পরিবহনের কার্গো যানবাহনকে দেশের ভেতরে থাকার জন্য ৭ দিন করে অনুমতি দেয়া হবে। আর যাত্রী পরিবহনকারী যানবাহনগুলোকে (যার মধ্যে প্রাইভেট কার, জিপ, ভ্যান ইত্যাদিও থাকবে) দেয়া হবে ৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত অনুমতি।

আর যানবাহনের কর্মীদেরকে মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দেয়া হবে ১ বছরের জন্য। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো ট্রানজিটের পেছনে এতদিন সবচেয়ে বড় যে খোয়াব দেখানো হয়েছে এতদিন যে ট্রানজিট এর ফলে পণ্য ও যানবাহন পরিবহনের সুযোগ দিয়ে আমরা বছরে ভারতের কাছ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন শুল্ক, লেভি বা অন্যান্য চার্জের মাধ্যমে হাতিয়ে নিতে পারবো, প্রস্তাবনায় তাতে একেবারে পানি ঢেলে দেয়া হয়েছে। ফাইনান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানাচ্ছে: The Indian proposal, however, is against the imposition of extra levy, local taxes or octoroi on each other's vehicles using the land routes of both the countries.(২) অর্থাত,” অবশ্য ভারতীয় প্রস্তাবটিতে উভয় দেশের স্থল পথ ব্যাবহারের জন্য পরস্পরের যানবাহনের উপর অতিরিক্ত কর বা লেভি আরোপের বিরোধীতা করা হয়েছে। ” কাজেই এত দিন ঘটা করে যে বলা হতো শুল্ক বা বিভিন্ন ধরনের লেভি/চার্জ ইত্যাদির বিনিময়ে বাংলাদেশ রাতারাতি বড়লোক হয়ে যাবে, খসড়া প্রস্তাবে এসব দিতে অস্বীকার করার কথা বলে তো ভারতে সেই গুড়েও বালি মেরে দিয়েছে!! এই খানে( Click This Link ) দর্জি বাবার আকুতি মনে হয় এখন আর তেমন ভালোবাসা জাগায় না সিকিমবাসীর অন্তরে। মীর জাফর মীর মদনের মতো সিকিমবাসীর অন্তরে দর্জি অনন্ত জীবন বেঁচে থাকবেন।

আমাদের আপাও যেন আমাদের অন্তরে অনন্ত জীবন বাইচা থাকেন সবাই সেই দোয়া করেন........, আমীন..... আমীন...... বিঃদ্র-----সঠিক কথা মাগার টাইমিং এ গলদ হয়ে গেলো........

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.