আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টোকাইঃ মানুষের অগোচরে জন্ম নিচ্ছে আশঙ্কাজনক বিপথগামী এক সম্প্রদায়



"টোকাই" শব্দটির উদ্ভাবক বাংলাদেশের প্রখ্যাত কার্টুনিস্ট মোঃ রফিকুন্নবি ওরফে রনবি। টোকাই বলতে আমরা সাধারনত তাদেরকেই বুঝি, শিশু বা কিশোর বয়সী ছেলে-মেয়ে যারা একটা বস্তা নিয়ে রাস্তা ঘাটে, পার্কে বা বিভিন্ন পাবলিক প্লেসের থেকে মানুষের ফেলে দেওয়া প্ল্যাস্টিক বা কাগজের সামগ্রী সংগ্রহ করে... অন্তত ৬-৭ বছর আগে হলেও টোকাই বলতে তাই বোঝা যেত... কিন্তু বর্তমানে টোকাইদের কাজ কি শুধু এতেই থেমে আছে??? খেয়াল করলে দেখা যায়, বেশিরভাগ টোকাই ই নেশাগ্রস্থ! অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, তাদের পরিবার বলতে কেউ নেই.. হয় জন্মের পর বাবা-মা তাদের ফেলে চলে গিয়েছে, বা সৎ ম্যায়ের অত্যাচারে এক বিকৃত মানসিকতা নিয়ে বড় হয় তারা... দুঃখ ও ক্ষুধার জ্বালা ভুলতে বেছে নেয় মাদককে!! বেশিরভাগ টোকাই সিগারেট, গাঁজা বা নতুন এক নেশাদ্রব্য, ড্যান্ডির নেশায় আক্রান্ত.. কিন্তু তাদের যা উপার্জন, টা দিয়ে তাদের নেশার খরচ চালানো সম্ভব না... তাই তারা বেছে নিচ্ছে চুরি, ছিনতাই, মাদক সাপ্লাই সহ নানা অপকর্মের পন্থা! মাদক ব্যাবসায়ীরা তাদের মাধ্যম হিসাবে কাজে লাগাচ্ছে... অনেক সময় তারা চুরি করে ধরা খাচ্ছে, ছিনতাই করছে... এইত, ঈদের আগের দিন রাতে আমার মোবাইল এক টোকাই বাসের জানালা দিয়ে টান দিল... যেভাবে টান দিয়েছিল, তাতে অন্য বাসের তলায় পরে তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারত! কিন্তু, তার যে নেশার টাকা জোগাড় করতে হবে!! এমন করে চলতে থাকলে দেশে এক বিপথগামী সম্প্রদায়ের বিস্তার ঘটবে, বেড়ে যাবে মাদকের সহজলভ্যতা! আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে.. আমাদের কি ওদের জন্য কিছুই করার নেই?? তবে সাধারন মানুষের পক্ষে তেমন কিছু করা হয়তবা সম্ভব না, কিন্তু সরকার তো পারে পুনর্বাসনের ব্যাবস্থা করে ওদের নতুন জীবন দিতে! এতে তো উভয় পক্ষেরই লাভ! দেশের পরিস্থিতিও বদলে যাবে, আবার অনেক গুলো অবুঝ শিশু বিপথে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে!! কিন্তু আমাদের দেশে কি আদৌ এমন কিছু হবে??????? এতাই এখন প্রশ্ন!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।