আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চাচার বাসর ঘরের পাশে নিশিযাপন

জীবন বুনে স্বপ্ন বানাই মানবজমিনে অনেক চাষ চাই

চাচা চাকুরির সুবাদে একটা কোয়াটার পেয়েছিলেন। কোয়াটার পাওয়ার পরই তার বিয়ের ঝোঁক বেড়ে যায়। শহরের মেয়ে ছাড়া বিয়ে করবেন না ঘোষণা করলে সম্ভবত তার আর তড় সইছিল না বলে তাড়াহুড়ো করে গ্রামের মেয়েই বিয়ে করে ফেললেন। বিয়ের উৎসবে যোগ দেয়ার জন্য আমরা গেলাম গ্রামে। খুব মজা হল।

কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি আনন্দ হল। চাচীকে আমার খুব পছন্দ হল। চাচা ও চাচীকে খুব মানানসই বলে মনে হল। গ্রামে বিয়ে পর্ব সেরে চাচা চাচীকে নিয়ে তার শহরের কোয়ার্টারে ফিরবেন। সব গুছিয়ে রওয়ানা হলাম আমরা - চাচা, চাচী, চাচীর ছোট বোন, আমার মা ও আমার ছোট ভাই।

চাচার কোয়ার্টারে পৌছে দেখি এলাহী কারবার। তার কলিগরা খুব সুন্দর করে ফ্লাটটি সাজিয়েছে। বাসর ঘরের সাজ তো অপূর্ব। চাচা আর তার কলিগরা মিলে অনেক আনন্দ করলেন। রাতে সবাই বিদায় নিল।

আমার মা ও ছোট ভাইও চলে গেল। কিন্তু চাচা আমাকে আদর করে রেখে দিলেন। ৩ রুমের ফ্লাট। একটি রুম ড্রইং রুম। অপর ২টি রুমে খাট।

একটি বাসর ঘর। অপর রুমে একটি মাত্র খাট। আমি টেনশনে পড়ে গেলাম আমি কোথায় ঘুমাব আর আমার চাচীর ছোট বোন কোথায় ঘুমাবে। চাচীর ছোট বোন আবার একটু বেশি ঢঙ্গী। রাতের খাবার শেষে চাচা আমাকে পাশের ঘর দেখিয়ে ঘুমাতে যেতে বললেন।

ভদ্র ছেলের মতো আমি খাটে উঠে শুয়ে পড়লাম। দেয়ালের দিকে মাথা ঘুরিয়ে নিজেকে গুটিয়ে রাখলাম। চাচীর ছোট বোন পাশের বাসর ঘরে তার বোনের সঙ্গে কথা বলছে। আমি খাটে শুয়ে শুয়ে ভাবছি ও কি আমার সঙ্গে ঘুমাতে আসবে নাকি ? কিছুক্ষণ পর তা-ই ঘটল। চাচা তার শালীকে বের করে দিয়ে দরজা লাগিয়ে দিলেন।

আমি দরজা লাগানোর শব্দ পেলাম। তারপর সব সুনসান। ভাবলাম, ঘাড় ঘুরিয়ে দেখব। কিন্তু ভয় করতে করতে লাগল যদি ঘাড় ঘোরালে ও ধমক দেয়। কিছুক্ষণ পর বুঝলাম ও খাটে বসল।

বালিশ ঠিক করে শুয়ে পড়ল। আমি সংকোচে ও ভয়ে পারলে দেয়ালের ভিতরে ঢুকে যাই আর কি । হঠাৎ করেই চাচীর ছোট বোন বলল, তুমি কি ঘুমের মধ্যে পা গায়ের উপর তুলে দাও ? আমার শীত করতে লাগল। কাঁপতে কাঁপতে আমি বললাম, না। ও বলল, শোন, আমার গায়ের উপর পা তুললে কিন্তু আমি চিৎকার করব।

লজ্জায় ও সংকোচে আমি দেয়ালের সঙ্গে মিশে গেলাম। কিন্তু সকালে উঠে দেখি আমরা দু জনে দু জনকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে আছি এবং ও আমার গায়ের উপর পা তুলে দিয়েছে। অফটপিক : ইহা একটি বাল্যকালের সরল কাহিনী। আমি তখন মাত্র ক্লাস থ্রিতে পড়ি। চাচীর ছোট বোনও আমার মতো ক্লাস থ্রিতে পড়ে।

তাই ১৮+ দিলাম না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ৪৬ বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।