আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঐশীর সঙ্গে চাচার সাক্ষাৎ

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে থাকার ঐশীর সঙ্গে বুধবার সকালে দেখা করতে যান তার চাচা মো. সায়মন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কারাগারের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চাচা-ভাতিজি প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন।
গত ১৭ অগাস্ট গ্রেপ্তার হওয়ার পর এই প্রথম কোনো স্বজন ঐশীর সঙ্গে দেখা করল।
গ্রেপ্তারের পর অপ্রাপ্তবয়স্ক বিবেচনা করে ঐশীকে প্রথমে সংশোধনাগারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু জন্ম সনদ অনুযায়ী তার বয়স ১৮ বছরের বেশি দেখার পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।


গত ১৬ অগাস্ট চামেলীবাগে নিজেদের ফ্ল্যাট থেকে ঐশীর বাবা মাহফুজুর রহমান ও মা স্বপ্না বেগমের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্ত্রী, দুই ছেলে-মেয়ে এবং শিশু গৃহকর্মী খাদিজা খাতুন সুমীকে নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন এসবি পরিদর্শক মাহফুজ।
ফাইল ছবি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মাহফুজের ভাই মশিউর রহমান রুবেল মামলা করেন। ওই মামলায় ঐশীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশ জানিয়েছে, বাবা-মাকে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে এই কিশোরী।
ফাইল ছবি
শনিবার সকালে কোনাবাড়ি কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্র থেকে ঐশী ও সুমীকে ঢাকায় নেয়া হয়।

ওই দিন সন্ধ্যায়ই ঐশীকে কাশিমপুর কারাগারে আনা হয়। অন্যদিকে সুমীকে পুনরায় কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার এশিয়ায় নারীদের জন্য বৃহত্তম কারাগার। এই কারাগারে ১০ জন ফাঁসির ও ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে।
দু’শ’ ধারণ ক্ষমতার এ কারাগারে বর্তমানে ২৩৯ জন নারী বন্দি ছাড়াও ১১টি শিশু রয়েছে।

তাদের জন্য এখানে আলাদা ডে-কেয়ার সেন্টারও রয়েছে।
শিশুদের প্রতিদিন ডিম, দুধ ও কলা দেয়া ছাড়াও আলাদা যত্ন নেয়া হয়। শিশুদের পড়াশুনা করানোর জন্য কারাশিক্ষকও রয়েছেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।