এ উপন্যাসটা প্রথমে পড়ার পর সত্যি আমার মনে হয়েছে যে এটাই সম্ভবত জগতের শেষ জীবিত বই। আসলে মাঝে মাঝে মনে হয় যে পৃথিবীর সমস্ত দর্শন সমস্ত সভ্যতা মানুষকে নিয়ত অন্ধত্ব থেকে অন্ধত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সবই মিছা মনে হয় মাঝে মাঝে। মানুষ যা আবিস্কার করেছে তা সবিই মিছা । তা না হলে এত কিছু আবিস্কার করার পরও কেন পৃথিবীতে এত যুদ্ধ এত হিংসা।
সারা মাগো তার উপন্যাসে একটা অদ্ভুদ অন্ধত্বের কথা বলছেন সেটা হচ্ছে শ্বেত অন্ধত্ব। এটা হচ্ছে একটা ছোয়াচে রোগ। এমনিতে স্বাভাবিক অন্ধত্ব কোন সমস্যা নয়। কিন্তু সাদা অন্ধত্ব মারাত্মক এক রোগ। এরা যাকেই ছুয়ে দেয় সেই পরিণত হয় সাদা অন্ধে।
সে সব কিছু শাদা দেখে। একটা শহরে সবাই এভাবে অন্ধ হতে থাকে। আর সেখানে সবাই মেতে উঠে লুটতরাজে, ধর্ষনে, হানাহানিতে। উপন্যাসের শুরুতে এরকম। রেড সিগনালে আটকা পড়া কয়েকটি গাড়ি।
গ্রীন সিগনাল পড়ার সাথে না চলতে পারা এক চালক যে চিৎকার করে বলে আমি অন্ধ হয়ে গেছি। আমি সব শাদা দেখছি। তাকে বাড়ী পৌছে দেয় একজন লোক যে কিনা তার অন্ধত্বের সুযোগে গাড়ীটা চুরি করে নিয়ে যায় এবং সেও অন্ধ হয়ে যায় সবকিছু সাদা দেখতে থাকে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সবাই অন্ধ হতে থাকে। আমার মনে হয় এ উপন্যাসে বিশাল এক ইশারা আছে।
যা মানব জাতির ব্যর্থতারই এক মারাত্মক ইঙ্গিত বহ। আমি সবাইকে এ উপন্যাসটা পড়তে অনুরুধ জানাই আর আমার না বুঝা জিনিসটা বুঝিয়ে দিতে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।