দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে বরাবরই সুইজারল্যান্ডের নাম উঠে আসে। এক দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দেওয়ার কারণেই বিশ্বের সুখী ও সমৃদ্ধিশালী দেশগুলোর কাতারে নাম থাকে সুইজারল্যান্ডের। ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত এ দেশটি বেশ কয়েকবার বাসযোগ্য রাষ্ট্র হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। বৈশ্বিক রাজনীতির অনেকটা থেকেই সব সময় গা এড়িয়ে চলা এই দেশ এখনো ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। বেশ কয়েক বছর আগে দেখা গেছে, সুইজারল্যান্ডের বার্ষিক স্থূল দেশজ উৎপাদনের পরিমাণ ৫১২.১ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ, যা ক্রয়ক্ষমতা সমতার পরিমাপে ৩০৯.৮ মার্কিন ডলারের সমতুল্য।
তাই বোঝাই যাচ্ছে, এটি পৃথিবীর ধনী রাষ্ট্রগুলোরও একটি। প্রায় এক কোটি মানুষের এ দেশে মাথাপিছু বার্ষিক আয় ৬৮ হাজার সুইস ফ্রাঁ থেকেও বেশি। বার্ন শহরটি সুইজারল্যান্ডের রাজধানী। অন্যতম বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনিভা। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে রূপে ভূষিত করেছে।
বিশ্বের পর্যটকদের জন্য এটি বিশেষ আকর্ষণীয় একটি দেশ। সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকোলেটের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। অবশ্য সুইস ব্যাংকসমূহ কালো টাকা নিরাপদে সংরক্ষণের জন্য কুখ্যাত। অবাক করার বিষয়, দেশটির কোনো নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।