আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

***ইহুদী চক্রান্ত, হে মুসলিম ভাইয়েরা সাবধান!*** (দ্বিতীয় পর্ব)

"সকল বস্তু তার বিপরীত বস্তুর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়ে উঠে"

***ইহুদী চক্রান্ত, হে মুসলিম ভাইয়েরা সাবধান!*** (প্রথম পর্ব) বিশ্বব্যাপী ইহুদীবাদ তথা সারা বিশ্বকে ইহুদীদের পদতলে আনার জন্যে ইহুদীরা একটি গোপনীয় দলীল প্রণয়ন করে। তাদের এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের দলীল ১৯০৫ সালে সর্বপ্রথম জনসম্মুখে প্রকাশ পায়। প্রফেসর নাইলাস সর্বপ্রথম বইটি প্রকাশ করেন। মুসলামানদের ঈমান হরণ করার জন্য ইহুদীরা সুগভীর চক্রান্ত হাতে নিয়েছে। কেননা প্রকৃত ঈমানদারেরা একত্ববাদের মাধ্যমে পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকে।

মানব জাতির মধ্যে পারস্পারিক ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় থাকে। যেখানে সকলের সমানাধিকারই ছিল মূল কথা। ঈমানের জোরেই তারা সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী আল্লাহর কর্তৃত্ব মেনে নেয়, কাজেই তাদের ঈমানকে যদি দূর্বল করে দেওয়া যায় বা এমন একটা ব্যবস্থা করা যায় যাতে করে মুসলমানরা ‘ঈমান কি’ এই বিষয়টি নিয়ে ভাবার সময়ই যেন না পায়। এর ৪নং প্রটোকলে তারা এই দিকটি নিয়েই আলোচনা করেছে। মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আরেকটি তথ্য দিয়ে নিই যা আপনাদের বক্তব্য বুঝতে সাহায্য করবে।

Goyim: শব্দের অর্থ অনইহুদী, মানে যারা ইহুদী না তাদেরকে Goyim বলা হয়। মানুষ যাতে তাই ঈমান নিয়ে তৃপ্তি সহকারে জীবন অতিবাহিত করতে না পারে সেজন্য তারা ঈমানকে দূর্বল করার সুগভীল পরিকল্পনা হাতে নেয়। প্রোটকল থেকে ভাবানুবাদঃ Goyim জনগণের মধ্য থেকে খোদার অস্তিত্ব সম্পর্কিত বিশ্বাস ও আধ্যাত্মিকতার ধারণা মুছে ফেলতে হবে এবং সে স্থলে শুধু গণিতের হিসাব পত্র ও বস্তুতান্ত্রিক জরুরতের অনুভূতি প্রবল করে তুলতে হবে। গইম সমাজের লোকগণ যেন চিন্তা ও লক্ষ্য করার সুযোগই না পায় সে জন্য আমরা এদের মন-মগজকে শিল্প ও ব্যবসার দিকে ঝুকিয়ে দিব। এর ফলে স্বার্থের নেশা গইম জাতিগুলোকে গ্রাস করে ফেলবে এবং পারস্পরিক প্রতিযোগিতায় এরা এমনভাবে অন্ধ হয়ে যাবে যে, এদের সকলের একমাত্র শত্র“র দিকে চোখ তুলে তাকাবার ফুসরৎটুকু পাবে না।

পুনরায় আযাদীর মারফত জাতিগুলোকে চিরদিনের মত ধ্বংস ও বিক্ষিপ্ত করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফটকাবাজারের আবর্তে নিক্ষেপ করবো। এর ফলে শিল্প কারখানা দেশ থেকে যা কিছু সংগ্রহ করবে ফটকা বাজারের মাধ্যমে তা আমাদের হাতেই এসে পড়বে। পরস্পরের উপর প্রাধান্য বিস্তারের তীব্রতর দ্বন্দ্ব এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের বজ্র-আঘাত নিরসক্ত, উদাসীন ও হৃদয়হীন সম্প্রদায়ের জন্ম দিবে (বর্তমান জামানায় তাই হচ্ছে!)। এ সম্প্রদায়গুলো উচ্চতর রাজনীতি ও ধর্মের প্রতি চরম ঘৃণা পোষণ করবে। তাদের একমাত্র আদর্শ হবে স্বার্থ অর্থাৎ সোনা*।

পার্থিব সুখ ও আরাম-আয়েশের খাতিরে তারা সোনার পূজারী হয়ে যাবে। এস্তরে পৌছার পর গইম সমাজের নিম্ন শ্রেণীল লোকেরা আমাদের নেতৃত্বে তাদের সমাজের বুদ্ধিমান শ্রেণীকে আক্রমন করবে। এ শ্রেণীটিই প্রকৃতপক্ষে আমাদের দুশমন। গইম জনতা কোন কল্যাণের জন্য সকল সম্পদ হস্তগত করার উদ্দেশ্যে এ আক্রমন করবে না। আমাদের দ্বারা দীর্ঘকাল যাবত বুদ্বিমানদের বিরুদ্ধে একটানাভাবে প্রচারিত বিদ্বেষের ফলেই এরা নিজেরাই সমাজের উত্তম লোকদের আঘাত করতে এগিয়ে আসবে।

*সোনাটিকে অর্থরূপে পড়তে হবে। ***প্রটোকল পুস্তকের আরো কতগুলো বিষয়কে নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকাড়ে তুলে ধরছিঃ (১) ধর্মের প্রতি যুবসমাজকে বীতশ্রদ্ধ করে তোলা এবং ধর্ম নেতাদের বিদ্রুপের পাত্রে পরিণত করা। (২) শরাব, জুয়া, সিনেমা ইত্যাদির নেশায় যুবসমাজকে উন্মাদ করে তোলা এবং নাইটক্লাব ও সোসাইটি লেডীদের মাধ্যমে নৈতিক উচ্ছৃংখলতার উৎসাহ দান। (৩) পুঁজিবাদী অর্থনীতির মাধ্যমে অর্থনৈতিক বৈষম্য সৃষ্টি এবং শ্রমিক আন্দোলনের নামে সমাজের শান্তি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করা। (৪) এক নায়কবাদী শাসনের মাধ্যমে জনগন ও সরকারের মধ্যে পরস্পরের প্রতি ঘৃণ্য ও বিদ্বেষ সৃষ্টি।

(৫) মুসলিম রাষ্ট্র নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক সন্দেহ ও শত্র“তা সৃষ্টি করে তাদরে দ্বন্দ্ব ও সংঘর্ষে লিপ্ত করা। যারা মূল প্রোটকলটি পড়তে চানঃ এখানে ক্লিক করুন যারা শুধু এই অংশটুকুর মূল লেখাটি পড়তে চানঃ এখানে ক্লিক করুন উইকিপিডিয়া লিংক

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.