আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিজিটাল বাংলাদেশ : তত্ত্ব-তালাশ

অলসদের দিয়ে কী আর হয়। আলসেমি ছাড়া!

২০২১ সালের মধ্যে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন, ব্যবসা ও পরিবেশের উন্নয়ন, পরিবার প্রতি অন্তত একজনের কর্মসংস্থানের সুযোগ ঘটিয়ে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে উন্নত করে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতা গ্রহণের পরপরই উন্নতির জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং প্রয়োগ সহজ, সর্বব্যাপী ও সাশ্রয়ী করার জন্য সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিতে শুরু করে। পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ এবং সহায়ক আইনী ও বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে লক্ষ্যানুসারী উদ্যোগের মাধ্যমে অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনের জন্য সরকার চেষ্টা করবে বলে মনে হয়। কয়েকদিন ধরে ভাবছিলাম এই কাজের ট্র্যাকিং কেমন করে করা যায়।

সেই চিন্তা থেকে একটা লিস্ট বানানোর কাজ হাতে নিয়েছি। শুরু করেছি সরকারি কাজগুলোকে দিয়ে। এটিকে একটি বছরওয়ারি প্রগ্রেস রিপোর্ট বানানোর ইচ্ছে আমার। সবার মতামত নিয়ে এটিকে একটি সার্বজনীন ফরম্যাটে নিয়ে যাবো যাতে একটি মূল্যায়ন করা যায় নিয়মিত। এখানে যে লিস্টটি করা হয়েছে সেটি একেবারেই একটি ব্যক্তি চেষ্টা এবং সর্বোতোভাবে খন্ডিত।

আমি তথ্য সংগ্রহ ও মতামত সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছি। ফলে নিয়মিত ভাবে এটিকে এগিয়ে ওয়ার চেস্টা করবো। সহায়ক আইনীকাঠামো ও নীতি একটি ডিজিটাল সমাজ বাস্তবায়নের সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন আইনীকাঠামো ও নীতিমালা। জোট সরকার তাদের শাসনামলের একেবারে শেষ সময়ে দেশে ইলেকট্রনিক লেনদেন, কম্পিউটার অপরাধ সংক্রান্ত একটি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন‌-২০০৬ প্রনয়ন ও জারি করে। কিন্তু আইন প্রনয়নের তিন মাস পরেই আইনটি অকার্যকর হয়ে যায় কারণ সেখানে ৯০ দিনের মধ্যে একটি কাজের বাধ্যবাধকতা ছিল।

ফলে, দেশে ইলেকট্রনিক লেনদেন সহ কার্যকর ডিজিটাল ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই বর্তমান সরকার আইসিটি আইন ২০০৬-এর এই দূর্বলতা দূরীকরণের উদ্যোগ নেয় এবং অবশেষে ৯ জুলাই ২০০৯ তারিখে জাতীয় সংসদে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর মাধ্যমে আইনটিকে কার্যকরী করে। এই আইনের ফলে দেশে ইলেকট্রনিক লেনদেন, ডিজিটাল স্বাক্ষর ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত বিষয়ে কার্যকরী আইনের অভাব দূরিভুত হয়েছে। তারও আগে এপ্রিল ২০০৯ মাসে সরকার জাতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি নীতিমালা ২০০৯ গ্রহণ করে। এই নীতিমালার আওতায় ৩০৬টি কর্ম পরিকল্পনার মাধ্যমে রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে সুনির্দিষ্ট সময়সীমা নির্ধারিত হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য যে, ২০০২ সালে অনুরূপ নীতিমালা প্রনীত হলেও সেটি ছিল অসম্পূর্ণ, সেখানে নীতিমালায় উল্লেখিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে কোন কর্ম পরিকল্পনা ছিল না। ফলে, নীতিমালাটি অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনে সফল হতে পারেনি। এই কারণে এবারের নীতিমালাটিকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী কর্মপরিকল্পনার মাধ্যমে লক্ষ্য পূরণে কার্যকরী করা হয়েছে। এপ্রিল মাসে নীতিমালা গ্রহণের ৬মাসের মধ্যে বেশ কিছু স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনার বাস্তবায়ন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকারের উদ্যোগ ও আন্তরিকতারই বহি:প্রকাশ। এছাড়া ২০০৮ সালে গৃহীত সচিবালয় নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকারের সকল স্তরে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ই-মেইলসহ আধুনিক ব্যবস্থাদি ব্যবহারে প্রজাতন্ত্রের সকলকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

সম্প্রতি মন্ত্রণালয়ের ফাইলে আধুনিক পদ্ধতির নম্বর চালু করার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়/বিভাগের পাশাপাশি মাঠ প্রশাসনে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ই-মেইলের মাধ্যমে দাপ্তরিক যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ নিশ্চিত করার জন্য সকলকে ইন্টারনেট সংযোগ সহ ল্যাপটপ কম্পিউটার সরবরাহ করা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য চলতি বাজেটে ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ বরাদ্দও রাখা হয়েছে। টেলিযোগাযোগ ও অবকাঠামো দায়িত্ব প্রহণের কয়েকদিনের মধ্যে দেশে ফাইবার অপটিকের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার জন্য সরকার একটি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স প্রদান করে।

জনগণের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের সুবিধার্থে আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) প্রতিষ্টানসমূহে আইপি টেলিফোনি লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে, অপেক্ষাকৃত সাশ্রয়ী ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণ স্বল্পমূল্যে দেশে ও বিদেশে টেলিফোনে কথা বলার সুযোগ পাওয়ার কথা। দেশ ইন্টারনেট সেবার বিস্তৃতি ঘটানোর জন্য সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে প্রাপ্ত ইন্টারনেট ব্যান্ডউয়িডথ এর মূল্য ৩৩% হ্রাস করা হয়েছে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছয় মাসে ৩০% বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। দেশে বর্তমানে ৫০ লক্ষাধিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছেন যাদের মধ্যে ৪৬ লক্ষ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।

টেলিযোগাযোগ খাতের একটি বিশৃংখল ব্যবস্থা আন্তর্জাতিক দূর টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা । ২০০৭ সালে প্রণীত এই খাতের নীতিমালা (International Long Distance Telecommunication Services Policy 2007) তার অভীষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনে সফল হতে পারে নি। এ কারণে উক্ত নীতিমালা পুন:বিবেচনা, সংশোধন ও পরিমার্জনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত সচিবালয় ব্যাকবোন নেটওয়ার্ক সংস্থাপনের কাজে গতি সঞ্চার করে তা বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে আনা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি পর্যায়ে কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারি সংস্থা সমূহের মধ্যে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

কোরিয়ান সহযোগিতার এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায় আগামী ১/২ মাসের মধ্যে শুরু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। জনগণের দোড়গোড়ায় সেবা তথ্য প্রযুক্তি বাবহার করে সরকারি ও নাগরিক সেবা সমূহ জনগণের দোড়েগাড়ায় নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করা হয়েছে। ২০০৮ সালে কেবল চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎগ্রাহকগণ তাদের বিদ্যুৎবিল ঘরে বসে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বা মোবাইল অপারেটরের নির্ধারিত কেন্দ্রে গিয়ে প্রদান করতে পারতো। এই সরকার তার মেয়াদকালের মাত্র ৯ মাসের মধ্যে এই সেবাকে ঢাকা, সিলেট, পাবনা, রাজশাহীসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রসারিত করেছে। শুধু তাই নয়, বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাস ও টেলিফোন বিল পরিশোধের ক্ষেত্রে এই সেবাকে সম্প্রসারিত করা হয়েছে।

ফলে, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাড়িয়ে, হয়রানিমূলক ব্যবস্থায় পরিষেবা বিল পরিশোধের পরিবর্তে ভোক্তারা ঘরে বসে কিংবা নিকটস্থ যেকোন কেন্দ্রে বিল পরিশোধের সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন আন্তনগর ট্রেনের সময়সূচি, ভাড়া ও আসনপ্রাপ্যতার খবর এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পাওয়া যাচ্ছে। চলতি বছর থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেলের টিকেট রিজার্ভেশনের একটি পাইলট কর্মসূচিও চালু করা হয়েছে। পাইলট প্রকল্পটির সাফল্যের ভিত্তিতে আগামী এই ব্যবস্থটিকে আরো সম্প্রসারিত করা হবে বলে জানা গেছে। সিরাজগঞ্জ ও কক্সবাজারে মোবাইল সম্প্রচারের মাধ্যমে দুর্যোগের আগাম খবর প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

সরকারি তথ্য সেবা জোরদার করার জন্য বিভিন্ন সংস্থার ওয়েবসাইট প্রকাশ ও তা নিয়মিত হালনাগাদ করার বিষয়ে কর্মতৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৯টি জেলা প্রশাসনের ওয়েবসাইট চালু হয়েছে সে সবের মধ্যে পাসপোর্ট, ভূমি উন্নয়ন কর ইত্যাদি তথ্য প্রাপ্তি সহজ হয়েছে। ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ হিসাবে ডিজিটাল জরিপ কার্য শুরু করা হয়েছে। বৃহৎ করদাতা ইউনিটের করদাতারা যাতে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমাদিতে পারেন তার ব্যাস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আয়কর বিভাগের একটি অঞ্চলকে পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে কম্পিউটারায়নের আওতায় আনা হচ্ছে।

শিক্ষা একটি যুগোপযোগী শিক্ষানীতি প্রনয়নের কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। এর পাশাপাশি শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার, প্রয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। চলমান কার্যাবলীকে সম্প্রসারণ ও নতুন নতুন বিষয়ে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০০৯ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরিক্ষার ফলাফল প্রকাশে মোবাইল ও ওয়েবসাইটের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ই-মেইলে ফলাফল প্রেরণ করা হয়েছে। সকল সরকারি কলেজে ইন্টারনেট সংযোগ ও ই-মেইল চালু করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্কুল ও কলেজে ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সংযোগ প্রদানের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিক স্কুলে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটানোর জন্য স্কুলে বিনামূল্যে ইন্টারনেট সংযোগের বিধান করা হয়েছে। একটি প্রতিষ্ঠানের উপাত্ত যাতে অন্য প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারে সেজন্য সকল প্রতিষ্ঠানকে উৎসাহিত করা হচ্ছে। শিক্ষাবোর্ডের তথ্য ব্যবহার করে মোবাইল ফোনে ভর্তি পরিক্ষার রেজিষ্ট্রেশনের কার্যক্রম শুরু করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। আরো ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ও তাদের ভর্তি কার্যক্রমে আইসিটির ব্যবহার বাড়িয়েছে।

আশা করা যায়, আগামী বছরের মধ্যে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তি কার্যক্রমে আইসিটির সর্বোচ্চ ব্যবহার শিক্ষার্থীদের অহেতুক হয়রানি ও ভোগান্তির চির অবসান ঘটাতে সক্ষম হবে। এই প্রথমবারের মতো মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক (BdREN- Bangladesh Research and Education Network) গড়ে তোলার জন্য ৬৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে বিনামূল্যে ইন্টারনেট পৌঁছে দেওয়ার জন্য সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সীমিত পরিসরে ওয়াইফাই জোন স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কাছে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছানো নিশ্চিত করার জন্য আগামী বছর থেকে সকল পাঠ্যপুস্তক ইন্টারনেটে প্রকাশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে ইন্টারনেট থেকে পাঠ্যপুস্তক ডাউনলোড করে নিতে পারবে। স্বাস্থ্য ও কৃষি দেশের ৮০০ হেলথ সেন্টারে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ প্রদান করা হয়েছে। ফরিদপুরসহ একাধিক স্থানে টেলিমেডিসিন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। দেশে বর্তমানে একাধিক মোবাইল স্বাস্থ্য সেবা চালু হয়েছে। জনসাধারণ টেলিফোনে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।

কৃষকদের কাছে কৃষি তথ্য সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য গ্রাম পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র প্রতিষ্টা করা হয়েছে। সার্বজনীন প্রবেশাধিকার সার্বজনীন প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার জন্য এলাকা ভিত্তিতে কমিউনিটি ই-‌সেন্টার/টেলিসেন্টার গেড় তোলার কার্যক্রমে শরিক হয়েছে সরকার। চলতি বছরে ৫টি উপজেলা তথ্য কেন্দ্র, ৩০টি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্র, ২০টি মৎস তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র ও ১০টি কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদে তথ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে। তথ্য কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজে স্থানীয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

দেশে বর্মানে ২৩০০টির বেশি তথ্য কেন্দ্র গড়ে উঠেছে। ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পর ঢাকা কাস্টম হাউসে অনলাইন পদ্ধতি পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। পাশাপাশি রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে কোম্পানি নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনলাইন করা হয়েছে। ফলে, ব্যবসা চালুর প্রথম ধাপের কাজটি হয়রানি ছাড়া করার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অটোমেটেড ক্লিয়ারিং হাউস চালুর কার্যক্রম সমাপ্ত করেছে।

নভেম্বর মাস থেকে এটি চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স যাতে উপকারভোগী তাৎক্ষনিকভাবে পেতে পারে সেজন্য সরকার পরীক্ষামূলক ভাবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করার জন্য কয়েকিট বাণিজ্যিক ব্যাংককে অনুমতি প্রদান করেছে। এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রবাসীদের আয় তাদের পরিজনের কাছে পাঠানো সহজ হবে। একটি অসম্পূর্ণ তালিকা এটি একটি অসম্পূর্ণ তালিকা। আমি আমার চিন্তাটাকে ধরার চেষ্টা করছি, লিখে।

আশা যে, এটিকে সংহত করে, বেসরকারি, এনজিও ও ব্যক্তি উদ্যোগকে সমন্বিত করে এটিকে একটি পূর্নাঙ্গ রিপোর্ট বানাতে পারবো।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.