আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিএসইর ভবন ভাগ-বাঁটোয়ারা

সস্তায় জমি পেয়ে প্রায় নিজস্ব তহবিলেই বহুতল ভবন বানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। ১৩ তলা সেই ভবনের জায়গা নামমাত্র মূল্যে স্থায়ী বরাদ্দ নিচ্ছেন সদস্যরা। যে সদস্য যত বেশি প্রভাবশালী, তাঁর জায়গার আয়তনও তত বেশি।  ২০০৯ সালের শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির পর এখনো লাখ লাখ বিনিয়োগকারী বাজারে ফিরতে পারেননি। সব পুঁজি হারিয়েছেন তাঁরা।

বিচার হয়নি কোনো কারসাজিকারীর। শেয়ারবাজার-সংশ্লিষ্ট সব প্রভাবশালী বহাল তবিয়তে আছেন। নানাভাবে লাভবানও হচ্ছেন তাঁরা। সর্বশেষ উদাহরণ হচ্ছে ডিএসই ভবন নামমাত্র মূল্যে নিজেদের মধ্যে ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়া। মাত্র আট লাখ টাকায় সদস্যরা পেয়েছেন এক হাজার বর্গফুট থেকে দুই হাজার ৫০ বর্গফুট আয়তনের একটি জায়গা।

অথচ বর্তমান বাজারদরে এই পরিমাণ জায়গার মূল্য দুই কোটি থেকে চার কোটি টাকার বেশি। ১৩ তলা ভবনটি রাজধানীর খিলক্ষেত নিকুঞ্জ এলাকায় তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন নেই ডিএসইর এই কাজে। কারণ, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা পৃথক্করণের (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত স্টক এক্সচেঞ্জের কোনো স্থায়ী সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয় ও স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। গত ৬ জুন বিএসইসি এ-সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে।

এতে আরও বলা হয়েছে, যদি জরুরি প্রয়োজনে স্টক এক্সচেঞ্জের সম্পত্তি ক্রয়, বিক্রয় বা স্থানান্তরের প্রয়োজন হয়, সে ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রক সংস্থার পূর্বানুমতি নিতে হবে। এই নির্দেশনা অমান্য করে কোনো পূর্বানুমতি ছাড়াই ডিএসইর নিকুঞ্জ ভবনের জায়গা (অফিস স্পেস) সংস্থাটির আড়াই শ সদস্যের মধ্যে বণ্টন করা হয়েছে। ৫ আগস্ট প্রত্যেক সদস্যকে বরাদ্দের চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিএসইসির কেউ কথা বলতে চাননি। জায়গা বরাদ্দের বিষয়টি নিয়ে ডিএসইর অনেক সদস্যই অসন্তুষ্ট।

একটি বড় অংশের অভিযোগ, কোনো ধরনের নিয়মনীতি ছাড়াই সাব-কমিটির সিদ্ধান্তে অসমভাবে এই জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এতে কোনো কোনো সদস্য পেয়েছেন দুই হাজার ৫০ বর্গফুট জায়গা, আবার কেউ পেয়েছেন মাত্র ৮৫০ বর্গফুট। দুই হাজার বর্গফুটের বেশি জায়গা বরাদ্দ পেয়েছেন কেবল ডিএসইর প্রভাবশালী সদস্যরা। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.