আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সনাতন দৃষ্টি ভঙ্গিতে পরিচালিত বাংলাদেশের চিড়াখানাগুলো বন্ধ হোক!!!!!!!!!!!


কুকুরটি পড়ে গিযেছিল নর্দমার পানিতে। স্কুল থেকে ফিরার পথে দুই কিশোর বন্ধু এভাবেই উদ্ধার করেছে কুকুরটিকে। কিশোরদ্বয় একটি কুকুরের প্রতি যে মনুষ্যত্বের পরিচয় দিয়েছে তা থেকে আমাদের বিবেক বোধ জাগ্রত হওয়া উচিত । ক' মাস আগে আমার ভাগ্নির সাথে ঢাকা চিড়িয়াখানায় বেড়াতে গিয়ে , জন্তু -জানোয়ারগুলোর করুণ চেহারা দেখা বার বার মনে হয়েছে..........ওরা পশু , ওরা ওদের কষ্ট-যন্ত্রনার কথা আমাদের মত চিৎকার করে বলতে পারে না বলেই .. আমরা দিনে পর দিন ওদের সাথে এতো টা নির্মম ব্যবহার ও সীমাহীন অবহেলা করছি। ওদের কষ্ট টুকু পুজি করে অর্জণ করছি আমাদের শিশুদের মুখের অমূল্য হাসি।

আমাদের শিশুদের মুখের সেই নির্মল হাসির ঝলকে আমরা খেয়াল করি না . ........ এখান থেকে আমার শিশুটি কি শিক্ষা নিয়ে ঘরে ফিরছে। খাঁচা বন্দী পশুদের প্রতি বড়দের যে অমানবিক আচরণ চিড়াখানায় বেড়াতে আসা শিশুরা দেখছে............ সকলের অলক্ষ্যে তাই শিশু মানসে পাশবিক শিক্ষা হিসাবে বিকশিত হচ্ছে। আর তার প্রকাশের শুরু গৃহবন্দী অল্প বয়সী গৃহকর্মীদের আর পথ শিশুদের প্রতি আচরণের মাধ্যমে । অমানবিক সনাতন দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিচালিত বাংলাদেশের চিড়াখানাগুলো একদিকে যেমন দুনীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে , অপরদিকে সরকারের যথাযথ পৃষ্টপোষকতার অভাবে ধুকছে। আমরা যদি চিড়াখানার জন্তু-জানোয়ারগুলোর প্রতি নুন্যতম মানবিক ব্যবহার প্রদর্শণ করতে না পারি , তাহলে বর্তমান বিদ্যমান পশুগুলোকে যথাযথ পুনর্বাসণ করে , অবিলম্বে চিড়াখানাগুলো বন্ধ করে দেওয়াই শ্রেয়।


 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.