আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কমরেড চে

মানুষ আর প্রাণীর মধ্যে পার্থক্য হলো-চেতনাগত ও সংস্কৃতিগত।

৯ অক্টোবর কমরেড চে’র ৪২ তম মৃত্যুবার্ষিকী ৯ অক্টোবর কমরেড চে’র ৪২ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হবে। তিনি জন্মে ছিলেন ১৯২৪ সালের ১৪ জুন আর্জেন্টিনায়। বেঁচেছিলেন মাত্র ৪৩ বছর। তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছিল ১৯৬৭ সালের ৮ অক্টোবরের রাত শেষে ৯ অক্টোবরের পড়ন্ত রাতের ১ টা ৩০ মিনিটে।

এই কিংবদন্তি বিপ্লবীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সারা পৃথিবীব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হবে। ওদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে আমার প্রিয় এম-২ রাইফেলটা অকেজো হয়ে গেছে। তবে আমার পরাজয় এই নয় যে, বিজয় অর্জন সম্ভব নয়। এভারেস্ট বিজয়ের অভিযানেও অনেকে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেটা আজ মানুষ জয় করেছে।

ফিদেলকে বলো_ আমার মৃত্যুতে বিপ্লব পরাজিত হয়নি। বিপ্লবের মৃত্যু নেই। শোষিত মানুষের জয় অনিবার্য। পুঁজিবাদ-সাম্রাজ্যবাদ একদিন ধ্বংস হবেই। বিদায়_চে চে’ একটি নাম।

একটি বিপ্লব। যে নামের সঙ্গে বিপ্লব শব্দটির অদ্ভুদ সম্পর্ক। যে নামটি থেকে বিপ্লব শব্দটিকে আলাদা করার কোনো সুযোগ নেই। চে’ নামটি শুনলেই শরীরের কোষগুলো বিদ্রোহ করে উঠে। মুহূর্তের মধ্যে চেতনার তন্দ্রা-কারফিউ ভেঙ্গে যায়।

এ এক অদ্ভুদ অনুভূতি। অবশ্য এ অনুভূতি_ উপলব্দির জন্য চেতনা থাকা চাই। এই ক্ষণজন্মা বিপ্লবীর জন্ম আর্জেন্টিনার গোমারিও শহরে। বাবা গুয়েভারা লিঞ্চ। মা মেরিলা মেনা।

পড়াশুনার হাতেখড়ি পরিবারে। তারপর বুয়েন্স আয়ার্সের ন্যাশনাল মেডিকেল স্কুল এবং কলেজ। পড়াশুনা শেষে রক্ত বিশেষজ্ঞ ডাক্তার হন। কিন্তু এই ডাক্তারের রক্তে এবং চেতনায় ঢুকে যায় মার্ক্সবাদের মন্ত্র। যার ফলে চেতনায় ঘুরপাক খেতে থাকে শোষিত মানুষের প্রতিচ্ছবি।

সারাক্ষণ অস্থির। কিছু একটা করতে হবে এদের জন্য। তাই ছুটে যান নিরন্ন-অনাহারী মানুষের কাছে। দিনের পর দিন। মাসের পর মাস।

এভাবে পার হয়ে যায় বছর। শোষিত মানুষের মুক্তির জন্য বিপ্লবের নেশায় পাগল হয়ে ওঠেন তিনি। বন্ধু চিচিনার দেয়া ১৫ ডলার ও বন্ধু আলবার্তোকে সঙ্গে নিয়ে জরাজীর্ণ মোটর সাইকেলে চড়ে আর্জেন্টিনার ক্ষুদ্র গণ্ডি পেরিয়ে ঘুরে বেড়ান ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে। উদ্দেশ্য একটাই_ বিপ্লব। প্রত্যক্ষ করেন সেখানকার বাস্তবতা।

(প্রথম অংশ)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।