আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পর্ণোগ্রাফির আকর্ষণ



গতকাল তরুণ ব্লগার রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্রের পর্ণোগ্রাফি ও কৈশোরের ওপর পোষ্টটা পড়ে মনটা ছ্যাঁৎ করে উঠলো। এগুলো সবারই জানা, কিন্তু খড়ের গাদার পাশে থাকা আর সে গাদায় আগুন লেগেছে শোনার মধ্যে তফাৎ আছে বৈকি। আমার দু'টো ছোট ছোট ছেলে। আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। এসব তাদের সামনেও আসবে।

তারপরে যে কি হবে তা ভাবতেও সাহস পাইনা। আগেতো তাও খেলার মাঠ ছিলো। কিশোরেরা সেখানে একটা সময় কাটাতে পারতো। এখনতো তাও নেই। তাই কম্পিউটারই বিনোদনের প্রধান অবলম্বন।

তার একটা বিশাল অংশই পর্ণোগ্রাফি। আমার বন্ধু ছোটবেলায় পোল্যান্ডে থাকতো। ও সেখানে সেকেন্ড গ্রেডে পড়ার সময়কার একটা ঘটনা উল্লেখ করেছিলো। সে ও তার আরও দু’তিন জন বন্ধু স্কুলের মাঠের এক কোণা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো। এমন সময় সামনে থার্ডগ্রেডের এক ছেলে আর এক মেয়েকে দেখতে পেলো।

ছেলেটা মেয়ের বিশেষ অঙ্গ দেখতে চাইলে মেয়েটা জিজ্ঞেস করলো ‘তুমি আমাকে কি দেবে?’। ছেলেটি তার পকেট থেকে একটা পোলিশ মুদ্রা বের করে দেখালো। মেয়েটি রাজি হলে ছেলেটি আমার বন্ধুদের সামনেই তার উদ্দেশ্য পূরণ করেছিলো। আমার বন্ধুর ভাষ্য, “আমরাও দুর থেকেই যা দেখার দেখলাম। এরপর যে যার মত হেটেঁ চলে গেলো।

“ ঘটনাটা বহুকাল আগের। তখনই এত অবাধ যৌন স্বাধীনতাও ইউরোপে পর্ণোগ্রাফির প্রসার ঠেকাতে পারছেনা। বিশেষ করে চাইল্ড পর্ণোগ্রাফি নিয়ে পূর্ব ইউরোপে নাভিশ্বাস ওঠার অবস্থা। আমাদের দেশের কিশোরদের ওপর এর ভয়াবহ প্রভাবের কথা ভুক্তভোগী অভিভাবক মাত্রই জানেন। বিভিন্ন আউটডোর অ্যাক্টিভিটিজ আর সুন্দর সুন্দর বুদ্ধিদীপ্ত ঘটনার মাধ্যমে হয়তো কিশোরদের এই নেশা ঠেকানো যায়।

কিন্তু হায়! আউটডোরই না থাকলে অ্যাক্টিভিটি থাকবে কি ভাবে? কি ভয়াবহ ভবিষ্যত!

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.