আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অল্প একটু দুর থেকে ব্লগাড্ডা দেখা।

শরীরে শরীর নয়, ঠোঁটে ঠোঁট রাখাও নয়, মূহুর্তের ছোঁয়াও নয়, একটু দেখাতেই লিটার খানেক অগ্নিজলের ঘোর।

যে অতি অল্প ক'জন সামু-ব্লগারদের চিনি, তাদের কেউই ব্লগাড্ডায় যাননি। তাই রবীন্দ্র সরোবরে সময়মত পৌঁছুলেও আড্ডায় আর ঢোকা হয় নি। নীঁচু দেয়াল ঘেঁসে তাই ১০ মিনিটের পর্যবেক্ষন: ১। ছোট্ট্ করে চুল ছাঁটা, কালো ডুরে লাইক্রা/স্প্যানডেক্সের জামা পড়া একহারা একটি মেয়েকে চোখে পড়লো।

সপ্রতিভ ও সুশ্রী। মাঝে মাঝেই ছবি তুলছিল সে। ২। নোয়াপাতি ভুঁড়িওয়ালা, কাঁচা পাকা চুলের একজন ব্যাস্ত ভাবে একবার একজনের কাছে আরেকবার আরেকজনের কাছে ছুটে ছুটে যাচ্ছিলেন। ৩।

কাঁধে কালো ব্যাগ ঝোলানো, মাথার পেছনে বিরল হয়ে আসা কেশের তেহারা উত্তর চল্লিশ একজন আলাপচারিতায় মগ্ন ছিলেন। ৪। তার পাশেই কৃশকায় আরেকজন(কপালের দু কোন চুলের ক্ষেত্র আগ্রাসনে ব্যস্ত) অত্যন্ত ঢিলা ঢালা সার্ট প্যান্টালুনের ভেতরে গুঁজে হাঁটছিলেন (যেন সান্ধ্য ভ্রমনে)। কিছুক্ষন পর নোয়াপাতি কয়েকজন তরুনকে একসাথে জড়ো করলেন। ও! এ ক'জন।

আমি তো মাথা গুনেছিলাম ৯৬ জনের! অন্যেরা তাহ'লে সব দর্শনাথী! বিরবির করে পরিচিত অনুপস্থিত ব্লগারের মুন্ডুপাত করতে করতে স্থান ত্যাগ করলাম। যাকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম এ আড্ডায়। _______________________________________________ মেয়েটি আর মাঝ বয়সী তিনজন ছাড়া সবাইকে সদ্য তরুনই মনে হয়েছে। আকাশে রোদ ছিলনা। ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি ছিল।

আমার চোখের জ্যোতি ছিল নিম্নগামী, দশক ধরে। তরুনদের সবাইকে তাই এক রকমই দেখতে লাগছিল।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।