আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যত কান্ড কাঠমুন্ডুতে (ছবি ব্লগ)

...ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাচিয়া,সদাই ভাবনা, যা কিছু পায়, হারায়ে যায়, না মানে স্বান্তনা...
অনেকদিন থেকেই ইচ্ছা ছিলো নেপাল যাবার। নেপাল নামটা শুনলে যতটানা মনের মাঝে ভেসে ওঠে এভারেষ্ট, বরফ বা শেরপাদের ছবি, তার চেয়ে অনেক বেশী মনে হয় ফেলুদা-তোপসে আর জটায়ু'র এডভেঞ্চারের কাহিনী। ঈদের ছুটিতে নাইজেরিয়া থেকে এসেই একদিনের ব্যাবধানে তাই ঘুরে এলাম নেপাল। আমার নতুন কেনা ক্যানন ৪৫০ ডি দিয়ে আনাড়ি হাতে তোলা কিছু ছবি নিয়ে তাই এই পোষ্ট। ১. কাঠমুন্ডুর পথে পথে এই জাতীয় পাথরের মালার পসরা।

মালাকাইট,সিলঝেনাইট এই রকম কঠিন কঠিন নামের সব পাথরের জিনিসপত্র। একজনের সাথে তো দেখা হয়ে গেলো যে কিনা পাথরের উপরে একদম বিদেশী ডিগ্রী নিয়ে ঘুরে বেরাচ্ছে। ২. নেপালী কারুকাজ। এই মুখোশ রাতের বেলা দেখলে যে কারো খবর হয়ে যাবার কথা। ৩. কাঠমুন্ডুর পথ ঘাট।

এই রাস্তায় ও ট্রাফিক জ্যাম হয়। একবার জ্যামে পুরা দুই ঘন্টা বসে ছিলাম। ৪. কাঠমুন্ডু জুড়ে এরকম অনেক বুদ্ধস্তুপ আছে। এটার নাম ঠিক মনে নেই। তবে অনেক বড়।

এখানে গিয়ে পুজোর প্রসাদ খেলাম। দারুন খাবার। ৫. এটা হলো প্রেয়ার হুইল। এটা ঘুড়িয়ে মনে মনে যা চাওয়া হয় তাই নাকি পাওয়া যায়। আমিও একখান জিনিস চাইছি মনে মনে।

আপনাগো বলুম না ৬. কাঠমুন্ডু শহর ভর্তি মন্দির আর মন্দির। আর মন্দিরের মাঝে মাঝে এইরকম চাঁপা রাস্তা। ৭. এটা হলো পশুপতি মন্দির। কাঠমুন্ডু মায় পুরো নেপালের সবচেয়ে বড় মন্দির। রাতে এখানে জলসা বসে।

জলসা দেখে এসেছি। হাজার হাজার জটাধারী সাধুতে জায়গাটা গিজগিজ করছে। ৮. রাতের কাঠমুন্ডু শহর। এটা মার্কেট এলাকা। ৯. এই খাবারের নাম "মোমো"।

নেপালী খাবার। কোন একটা গল্পে পড়েছিলাম মনে হয় হিমালয়ের উপরের ইয়েতিরা নাকি "মোমো"'র গন্ধে পাহাড় ছেড়ে লোকালয়ে নেমে আসে। আমি ইয়েতি না। তারপরও মোমো জিনিসটা বেশ ভালোই মজা করে খেয়েছি। ১০. এটা কাঠমুন্ডু থেকে একটু দূরে, পোখারা শহরের ডেভিস ফল্স থেকে তোলা।

১১. ডেভিস ফল্সের আর একটা ফটুক। এত্তো পানি যে কই থিকা আসে!! ১২. নেপালী কুকরি। এইটা দিয়া গরু জবাই দেয়া যাইবো কিনা এই চিন্তাটাই আমার মাথায় প্রথম আসছে। ১৩. নেপাল থেকে পোখারা যাবার পথে পথের পাশে পাহাড়ী নদী। এতো স্রোতের নদীতে মাছ কেমনে থাকে!! ১৪. এই ছবিটা পোখারা থেকে নেয়া।

পাহাড়ের উপ্রে কেমন কাশবন। মনটা বড়ই কবি কবি হয়া গেলো। ১৫. সবশেষে এইগুলো হইলো জপযন্ত্র। ফেলুদার গল্পে লালমোহনবাবু এই জপযন্ত্র নিয়েই ঘুড়তেন। এই যাত্রায় অন্নপূর্ণা রেঞ্জের খুব দারুন কিছু ছবি তুলে এনেছি।

পরে কোন এক পোষ্টে দেবার প্রত্যাশা রইলো। আর ঈদে দেশে ছিলাম না বলে, সবাইকে বাসি ঈদ মোবারক আর শারদীয় শুভেচ্ছা।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।