আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঈদ পালন....তয় নামাজ পড়ি নাই...এইটাই আফসুস! ঈদ মরাবক!

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

গতকাল চান রাত ছিলো এখানে। ইফতারী করে বসে বসে প্রহর গুনছিলাম কখন চাদ দেখবো, কিন্তু চাদ আসলে উঠবে কোন দিক দিয়ে সেটাই বুঝতে পারছি না। আমরা সবাই দেশে নামাজ পড়ি পশ্চিম দিকে কারন কাবা ঘর ওদিকে। মাগার দিকে এসে নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি মনে হয় দক্ষিণ দিকে পড়ছে।

টয়লেটের মুখ উল্টা দিকে। প্রথম দিকে যখনই টয়লেট দেখেছিলাম তখনই রুমমেটরে ডেকে বলি," উহুদি নাছাড়া গো দেশে লাস্টে ধর্ম খোয়ামু কি করতে, সত্যি কইরা কন, নামাজ কুন দিক দিয়া মুখ কইরা পড়েন?" : ভাইজান যে কি বলেন, এমুন হাসির কথা আমারে জীবনেও কেউ জিগাই নাই। লাস্ট নামাজ পড়ছিলাম ম্যাট্রিক পরীক্ষার রেজাল্টের আগের দিন। তখন রেজাল্ট আর বাপের মাইর আর পুরান এক গার্ল ফ্রেন্ডের বিবাহ নিয়া টেনশিত আছিলাম! ছোলিম টাইপ জবাব পাইয়া দুইদিন টয়লেট আটকাইয়া জুম্মা বার নামাজ পইড়া শিওর হইয়া টয়লেট করলাম। ধর্ম নিয়া আমি এতি কনশাস হইলাম এইখানে লাস্ট মুরগী খাইছি মানে আল্লাহর নামে হালালকৃত জবাই কইরা গোস্ত খাইছি ৩-৪ দিন।

খাইয়া মনে হইলো রুম মেটের হাত সোনা দিয়া বান্ধাইয়া রাখি মাগার সমস্যা হইলো টার হাত বান্ধাইলে আর খাওন লাগতো না, কারন আমি রানবার পারি না! কিন্তু আসল ভুদাই হইছি একদিন বিকালে। প্রচন্ড ক্ষুধা নিয়া সোজা শহরে গেলাম একদিন ঘুরতে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে। যাইতে যাইতে হঠাৎ এক সুন্দরীরে দেইখা দুইজনেরই মনে ধরলো। দেখলাম সে ঢুকলো ম্যাকডোনাল্ডে। আমরাও ঢুকলাম তার সাথে।

ঢুইকা দেখি পাংখা, যেন বেহেশত খানা। এর মাঝে কুনায় দেখলাম লুকাল একটা পোলা, থোমাস যার সাথে মাঝে মাঝেই "কিশোরী মন" নিয়া ব্যাপক আলোচনা। বেচারা রিসেন্টলি আরবীর প্রেমে পইড়া মুসলিম হওনের ধান্ধায় আছে! যাই হোউক ওরে দেইখা যখন দেখলাম প্রাইস চার্ট তখন মাথাটাই ঘুইরা গেলো বার্গারের দাম দেইখা। রুমমেটরে কইলাম," কুনডা খামু?" : মুরুব্বী যে কি কন! আই এম লাভিং ইটের দেশের সুড়কি টানাটানি না কইরা বইসা পড়ি! দুইজনে দুইখান উইথ কোলড্রিংকস লইয়া সমানে খাইলাম বেজায় মৌজ কইরা! খাইয়া দাইয়া আরো একখান কোলড্রিংকস নিয়া বাইর হইলাম আর হাটতে হাটতে বাঙ্গালী রেস্টুরেন্টের সামনে দিয়া একখান শব্দ দেইখা মাথায় জিলিক দিলো। আমি আমার রুমমেটরে খুচা মারলাম," ঐ মিয়া আমরা যা খাইলাম, ঐডার কিমা কিসের গুস্তের?" রুমমেট হা হইয়া চাইয়া আছে! আমার চক্ষু ভিজা বাল্টিক সাগর হইয়া গেলো! যাই হোউক, শহরের অলিতে গলিতে আমাগো দুঃখের কাহিনি না কইয়া কালকার কাহিনী কই! ইফতারী করনের পর রুমমেটরে কইলাম," এই প্রথম দেশের ঈদ করমু, কালকা তো মন খারাপ কইরা থাকতে হইবো আর আপনে যে তইপ্যার বিরহের গান শুরু করছেন, মনে তো হয় অহনই মন খারাপ করি।

তা আপনের মন খারাপ কইরা বইসা থাকনের প্লান কখন থিকা!" : কথাতো মুরুব্বী মূল্যবান কইছেন! তার আগে কন রাইটে কি খাইবেন? : যেই নাম না জানা ফল দিয়া ইফতারী করাইলেন, আল্লাহ মালুম এইগুলান হালাল না হারাম! : কেন ফল কি বিসমিল্লাহ কইয়া পারতে হয় নাকি? : ইহুদি নাছাড়াগো দেশে কিছুই অসম্ভব না! : আপনেতো মুরুব্বী দেখতাছি পুরাই তাবলীগ হইয়া গেলেন! : মনের দুঃখে লুঙ্গী পইড়া মুজড়া নাচতাছি না এইডাই অনেক! : মুজড়া কি? : গুগলান! পাইয়া যাবেন! আমি বুঝলাম না ব্যাটা কি লেইখা সার্চ দিলো ৪-৫ মিনিট, কিছুক্ষন পর এ্যাডাল্ট সাউন্ড শুরু হইয়া গেলো। আর ওমনি দরজায় নক পড়লো! আমি কি করুম কি করুম কইয়া টয়লেটে ঢুকলাম, আর রুম মেট খাটের তলে ঢুইকা কয়," আমি নাই বাসায়, আমি নাই!" বাইরে থিকা আওয়াজ আইলো," ঐ মিয়ারা আমি শুভ্র, ঘরের ভিতর কি করো, ডিম পারো নাকি? বাইর হও দুরত!" আমরা দুইজনেই বাইর হইলাম। বাইরে মাঠে গিয়া বিশাল বাঙ্গালী ব্রিগেড মানে ৬-৭ জনের একটা গ্রুপ হাতে একখান ফুটবল! মাঠ খালি, শুরু হইলো লাথালাথি। আমি একখান গোল দিয়া একখান গোল ঠেকাইয়া উষ্ঠা খাইয়া সবার আগে অবসরে গেলাম। কিছুক্ষন পর আরো এক হালি বাঙ্গালী আইসা বিশাল একখান টুর্নামেন্ট খেলনের ধান্ধা করলো।

পরে দুইটিমে বিভক্ত হইয়া একেক টিমের এক হালি নাম, যেমন খেলোয়াড়-ছেলোয়াড়, সিনিয়র-জুনিয়র, বিএনসিসি-নিখিল বাংলা ইত্যাদি ইত্যাদি নাম লইয়া এতিম বলটা উপর ঝাপাইয়া পড়লো আর আমি গ্যালারীতে বইসা রেফারী করতে থাকলাম। হঠাৎ দেখি কয়েকটা সাদা সুন্দরী মানে হাতে গুনা ৩-৪ টা আইসা বসলো। আমাগো হাপাইনা প্লিয়ারগুলান একেকখান ঝিমানী থিকা বিনা শার্ক এনার্জী ড্রিংক না খাইয়া গেন্জ্ঞি খুইলা খেলতে লাগলো! আরো জোর কইরা ২০ মিনিট খেলার পর সুন্দরী কয়ডা যাওনের সাথে সাথেই সবাই মাঠের উপর টপাটপ পইড়া গেলো। ঘড়ির কাটা তখন ১২ টা! ঈদের নামাজের টাইম জাইনা রুমে আইসা রাইন্ধা বাইন্ধা শুইতে শুইতে চিন্তা করলাম কুন জায়গায় আইলাম। বোইনের কথা খুব মনে পড়লো।

হয়তো এই দিন রাতে বোন আর মা কতকিছু রাধতো আর মামতো গুলো ধুমাইয়া নতুন ইংলিশ মুভী দেখতো বাসায় আর আমি বাজারের টুকিটাকি করে বাবার কাছে হিসাব দিতাম! মিলাতে চেস্টা করলাম কোনটা বেশী আনন্দের? মানব জাতী আসলেই তার ভবিষ্যত জানে না, আর তাই সে এতটা কনফিউজড এতটা অসহায়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।