আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শত বিড়ম্বনা মাথায় নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ঢাকা ছাড়ছে নগরবাসী

zahidmedia@gmail.com

রাজধানীতে বসবাসকারী অধিকাংশ মানুষের শিকড় গ্রামে। ঈদের সময় নগরবাসী নাড়ির টানে শেকড়ের সন্ধানে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য যেমন ব্যাকুল হয়ে আছে। আপনজনদের ঘরে ফেরা নিয়ে গ্রামের আত্মীয়-স্বজনরাও থাকেন অধীর আগ্রহে। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে টানা ৫ দিনের সরকারি ছুটি। ওইদিন বিকেল থেকেই ঢাকা ছাড়তে শুরু করবে লাখ লাখ মানুষ।

অবশ্য বুধবার থেকে অনেই অগ্রীম ছুটি নিয়ে গ্রামের দিকে ছুটছেন অনেকেই। বাড়ি ফেরার জন্য বুধবার অনেকেই সকালে বের হয়ে টুকিটাকি কেনাকাটা বা অবশিষ্ট কাজ সেরেছেন। ফলে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। মতিঝিল, ফার্মগেট, নিউমার্কেট, গুলিস্তান, এলিফ্যান্ট রোড ও শাহবাগ এলাকায় গতকাল সকাল থেকেই যানজট লেগেই ছিল। দুপুরের পর থেকে এ অবস্থা মারাত্মক আকার ধারণ করে।

অসহনীয় যানজটে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন রাজধানীবাসী। দিনের শেষে ভিড় লেগে যায় রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল, সায়েদাবাদ, গাবতলী, মহাখালী বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে। এদিকে গাবতলী বাস টার্মিনালে উত্তরবঙ্গ ও দণি-পশ্চিম অঞ্চলের জেলাগুলোর বিভিন্ন বাসের যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ করেছে। ফরিদপুরের বাসিন্দা বদিউজ্জামান বলেন, রোববার তিনি আজমেরী পরিবহনে ১৪০ টাকায় ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু ফেরার পথে এখন ভাড়া চায় আড়াই শ টাকা।

বরিশালের যাত্রী জসিম উদ্দিন অভিযোগ করেন ‘সুরভী’ বাসে তাঁর কাছ থেকে ৩৫০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে। অথচ স্বাভাবিক সময়ে এ পথের ভাড়া ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। এদিকে সপ্তাহে অগ্রীম টিকিট বিক্রি শুরু হলেও হাজার হাজার যাত্রী টিকেট পায়নি। অভিযোগ উঠেছে টিকিটগুলো কালোবাজারীদের হাতে চলে গেছে। তারা সময়মতো টিকেট বিক্রি করে দ্বিগুণ।

এমনকি তিনগুণও টিকিট বিক্রি করবে। যাত্রীরাও নিরুপায় হয়ে টিকিট ক্রয় করতে বাধ্য হবে। কালোবাজারি কিংবা সিন্ডিকেট নামে একদল টিকিট গায়েব করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। নগরীর গাবতলী, সায়েদাবাদ ও মহাখালী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে যাত্রীদের দুর্ভোগের সীমা নেই। ঈদে কোনো অগ্রীম টিকিট নেই।

কোনো যাত্রী টিকিট করতে এলে তাকে বিভিন্ন বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। জনৈক বাসযাত্রী গাবতলী শ্যামলী এন্টারপ্রাইজে এসেছে দÿিণ বঙ্গে টিকিট করার জন্য। কাউন্টার থেকে জানানো হয় কল্যাণপুর কাউন্টারে যেতে। কল্যাণপুর কাউন্টারেও একই অবস্থা। পরে বিফল হয়ে যাত্রীকে খালি হাতে চলে যেতে হলো।

এদিকে শ্যামলী কাউন্টারে কোনো টিকিট নেই। কল্যাণপুর মডার্ন কাউন্টারে গিয়ে জানা গেছে অনেক আগেই তাদের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। সায়েদাবাদের ইকোনো সার্ভিসের কাউন্টারে যোগাযোগ করা হলে তারাও জানান, অগ্রীম কোনো টিকিট নেই।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।