আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কয়েক টা কথা বলার ছিল……………

জীবনটা যদি স্বপ্ন হত, স্বপ্নভঙ্গ মানেই মৃত্যু । মন্দ হত না !!!! (কারও ধর্মকে কটাক্ষ করে লিখিনি, কেউ যদি কথাগুলো নিজের মাথায় নেয় তবে সে দায় তার নিজের) জামাত ই ইসলাম এবং ছাত্রশিবির দের কাছে আমার কিছু ব্যাক্তিগত প্রশ্ন আছে । বাংলাদেশ একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ, অনেক ধর্মপ্রান মুসলমান এখানে আছেন । আপনারা আলাদাভাবে আরেকটা দল কেন চান ? টিভি তে দেখলাম কয়েকজন জামাতী কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গেছে তারা বাংলাদেশে ইসলামি শরীয়াহ মোতাবেক দেশ পরিচালনা করতে চান, ভাল কথা । এর পরের ধাপ টা কি ? অন্যান্য ধর্মালম্বীদের এ দেশ থেকে তাড়িয়ে দেবেন নাকি মেরে ফেলবেন যেটা আপনারা বা আপনার বাপ-দাদারা ৭১ এ করে গেছেন ? আর মেরে ফেলার আগে ভাববেন এত্ত সুন্দরী মেয়ে গুলো অব্যবহৃত হয়ে মরবে তার চেয়ে বরং কয়েকবার দাঁড়িওয়ালা মুসলমানদের খায়েশ মিটুক !!! এখন কথা হচ্ছে অতিভক্তি চো্রের লক্ষন ।

আপনাদের পূ্র্বপুরুষদের অতী্ত বাক্সবন্দি করার লক্ষে পূ্র্ণাংগ একখান রাজনৈ্তিক দল গঠন করলেন, আমরা সবাই জানি যে রাজনীতির ছত্রছায়ায় সকলেই ধোয়া তুলসিপাতার ন্যায় পবিত্র হয়ে যায় । আর তাও আবার ইসলাম নামধারী একটি রাজনৈতিক দল হলে তো কথায় নেই, তাইনা ??? আপনাদের চিন্তাভাবনা এত্ত ডিজিটাল !!! আর এই হাতিয়ার টিই আপনাদের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার এ পরিনত হয়েছে । ধর্ম্ মানুষের কাছে বরাবর ই একটি স্পর্শকাতর জায়গা । আর তাই নিরীহ মুসলমান গুলি আপনাদের বিশ্বাস করেছিল কারণ তারা সবাই জানে ইসলাম একটি পূ্র্নাঙ্গ জীবন বিধান । আমার পরিবার খুব ধার্মিক ।

ছোটবেলায় কখনো আমাকে গান শুনতে দেয়া হয়নি, শুনেছি “দেলোয়া্র হোসেন সাঈদী”র তাফসী্র । কখনো চিন্তা পর্যন্ত করিনি যে একজন মুসলমান কি করে এতটা নিচে নামতে পারে ! যেদিন আমি সাঈদী্র ফোনালাপ শুনলাম সেদিন আরো এক বিস্ময়এ বিস্মিত হলাম । জানতাম উনি একজন অপরাধি, খুবি ঘৃণ্য কাজ করেছেন কিন্তু ফোনালাপ টা না শুনলে আমার ধারণায় থাকতনা যে একজন মাওলানা কি কি করতে পারে !!! আপনাদের কাছে আসলে ধর্ম টা আত্বশুদ্ধি নয় বরং নিজেদের মাথা গোঁজা্র একটা প্লাটফর্ম । কেন এমন করে ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ মারেন ? আমি অস্বিকার করছিনা যে অন্য কোন দল মারেনা । সবাই মারে কিন্তু তারা ধর্মের ছাতা মাথায় ধরে মারেনা ।

ইসলামী শরীয়াহ কি মানুষ মেরে কায়েম করবেন ? ইসলামে তো মিথ্যের কোন ঠাঁই নেই, তবে আপনারা কিভাবে প্রচারনা চালাচ্ছেন যে শাহবাগে সবাই গাঁজা টানা কিংবা মধ্যরাতে নারীমাংশ লাভের আশায় ভিড় জমাচ্ছে ???? আপনাদের যদি পাকিস্তানী্দের মত ঐতিহ্যবাহী ধর্মব্যবহার এর প্রয়োজন হয় তবে পাকিস্তানের পাসপো্র্ট ভিসা করিয়ে নিন, নাকি তারা তাদের মাটিতে বাংলা ভাষাভাষীদের আশ্রয় দিতে চায়না ? আর এটা তো আপনাদের কাছে কোন সমস্যা হবে বলে মনে হচ্ছেনা । আর যাই হোক ধর্ম তো এক, আরবি বলে চালিয়ে নিতে পারবেন না ? পারার ই তো কথা, আপনারা সব বড় আলেম এলেম, কো্রানের হাফেজ বলে কথা । আমি কো্রআন কে অবমাননা করছিনা, যদিও উনাদের কো্রানের হাফেজ বললেই অনেকটা অবমাননা করার শামিল ই হয় । আমি সেটার জন্য নামাজে ক্ষমা চেয়ে নেব । আপনাদের এই বর্বরতায় বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে মুসলিম দের কে টেরোরিষ্ট হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে ।

আপনারা আমাদের মত নির্দ্বলীয় জনগনদের নাস্তিক বলে চালান । কেন ? আপনারা কোন পী্র যে আপনাদের দলে না গেলে আমরা সকল মুসলমানরা নাস্তিক হয়ে যাবো ? আপনাদের নিজের প্রতি যদি নিজের এত আস্থা তবে পুলিশে ধরলে কেন বলেন, ‘আমি কিছু করিনি স্যার,আমাকে ছেড়ে দিন’ । সাহস করে আমাদের মত বলুন দেখি “আমরা শাহবাগে গিয়েছিলাম, সকল যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবি নিয়ে” ……। রাজপথে বুক ফুলিয়ে বলুন তো দেখি যে, আপনি জামায়াতে ইসলাম ! কেন প্রকাশ্যে এলে বলেন, ‘শাহবাগের কথা বললে লালঘরে যেতে হবে ?’ সত্য এবং শাশ্বত পথ ধরে নিজেরা কখনোই হাঁটবেন না বরং ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা কিছু বোঝার আগেই তাদের ব্রেইনওয়াশ করিয়ে ধর্ম এবং দেশের বিকৃ্ত নী্তিকথা গুলো যত্ন করে মগজে প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছেন । নিপাত যাক এমন ধর্ম ব্যাবসা, আপনাদের মাথায় শুভ বুদ্ধি এবং সৎ চিন্তার উদয় হোক ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।