আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গনতন্ত্র হরনের চেষ্টা ...? দেশের সম্পদ হরনের চেষ্টা চলছে..! বুকের ভিতরে লুকিয়ে থাকা কিছু কথা।

ও আমার দেশের মাটি... তোমার পরে .... মাথা।
বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিলো > আ.লীগ সংসদ বর্জন করেছে। এমন কি একবার গনপদত্যাগ করেছে!তখনকার আ.লীগী গনতন্ত্র ছিলো পদত্যাগের মাঝে। খালেদার আহবানে নিরব ছিলো গনতন্ত্রের মানস কন্যা। আরেক বাকশাল নেতা রাজ্জাক বলিলো ইতিহাস বিএনপির বিচার করবো!!।

অতীতে সংসদ বর্জনের বিচার কি এখনো পাওয়া হয় নি? এদের লজ্জা শরম কি দিগ্মবর করে দিতে হবে? আর এখন.......? আ.লীগ ক্ষমতায় > সংসদ বর্জন করে যাচ্ছে বিএনপি? দেশনেত্রীর দেশের চিন্তা নাই! দেলওয়ার মারফত শুনতে পাইলাম তারেক কোকোর মামলা প্রত্যাহারের আহবানের বাণী। টিপাইমুখ, এশিয়ান হাইওয়ের নামে করিডোর, তেল গ্যাস নিয়ে দেশনেত্রীর ভাবনা কি? টিপাইমুখ বাঁধ, প্রতারণা মূলক এশিয়ান হাইওয়ে, তেল গ্যাস এই সব দেশীয় স্বার্থের চেয়ে তারেক কোকো'র মূল্য যে আজ অমূল্য!! গনতন্ত্র হরনের চেষ্টা চলছে- জননেত্রী হাসিনা বলেছেন আজকে সংসদে। এই গনতন্ত্র হরন যে প্রথমে জাতির পিতায় শুরু করে ছিলো!এই সত্য উচ্চারণে হয়তো অনেকের শরম করে কারন শুধু সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করিলেই গনতন্ত্র হরন হয়? গনতন্ত্র মন্দের ভালো শাসন ব্যবস্হা কিন্তু জনগণের নাম দিয়ে প্রতারণা করার ও উত্তম পন্হা। যেমন প্রায় শুনা যায় বিএনপির নেতা আ.লীগের নেতাদের কন্ঠে...... "দেশ এবং জাতি অথবা জনগণ তা মেনে নিবে না!!" জনগণ যে মেনে নিবে না এটা কি তাদের কানে কানে বলে গিয়েছে? না। না।

অথচ দুই পক্ষ-ই জনগণের কাঁন্দের উপর বন্দুক রেখে একে একে শিকার করে যাচ্ছে......গনতন্ত্রের জুজু ১.বিডিআর বিদ্রোহের সঠিক তদন্তবিহীন বিচার! আসল নায়কদের রক্ষা করার চেষ্টা কারন তারা স্বজন। মায়াকান্না দিয়ে সত্য লুকিয়ে কি হবে? গনতন্ত্রের জুজু'র ভয় পাওয়া যে লাগবেই। ২.টিপাইমুখ বাঁধ। এই দেশের কোন ক্ষতি করবে না!! ভারতীয় আশ্বাসে সন্তুষ্ট আমাদের জননেত্রী এবং মন্ত্রী, বুদ্ধিজীবিরা! অথচ বঙ্গবন্ধু কে ইন্ধিরা গান্ধী সেই ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলক চালু করার আশ্বাস দিয়ে আজ এই দেশের বৃহৎ অংশ কে মরুভূমি করেছে!! তবু ও সেই বঙ্গবন্ধুর কন্য জননেত্রী জনগণের চিন্তায় ব্যাকুল না হয়ে আশ্বাসে আশান্বিত। কিভাবে খুশি রাখা যায় মনমোহন সিং কে সেই চিন্তায় নির্ঘুম।

অথচ টিপাইমুখ পরিদর্শনে গিয়ে আমাদের প্রতিনিধি দলের নেতারা হেলিক্পটারের হেগে মুতে শেষ একজন নাকি বমি করতে করতে মা'র নাম পর্যন্ত ভুলে গেছে! আর দেশের স্বার্থ আশ্বাসের উপর ছেড়ে দিয়ে এসেছে! পানিসম্পদ মন্ত্রী ঠিকই বলেছে... "ভারতের টিপাইমুখ বাঁধে লাভবান হবে বাংলাদেশ" : রমেশ চন্দ্র সেন ৩.তেল গ্যাস গনতন্ত্র লালিত পালিত করে। আবার সেই তেল গ্যাস গনতান্ত্রিক পুঁজিবাদ, গনতন্ত্রের কথা ভুলে গিয়ে জান্তা লালন পালন করে! সবই সম্ভব গনতন্ত্রে। ঐ যে শেষ কথা বলে কোন কথা নাই...। গনতন্ত্র মানুষ কে অন্যায়ের সাথে বসবাস করতে শেখায়। শুধু শেখায় না কখনো কখনো বাধ্য করে।

ভোগ বিলাসের জন্য.. কেউ গা ভাসিয়ে দিচ্ছে ধান্দার(দালালী/কমিশন) টাকায় নৌকা চালিয়ে..., দেশের অসহায় অবহেলিত মানুষ ভয়ে ডরে থাকে পেশীর জোরে..। বিপ্লবীরা যা কিছু করে দেশের জন্য বা চেষ্টা করে তা নানা সূত্রের গ্যাড়াকলের চাপে পড়ে!! সবই বিচিত্র মাস'কে মাস দেশে হরতাল চালিয়েছে কত অসহায় মানুষ দুই নেত্রীর গনতন্ত্র রক্ষার মিশনে গত হয়েছে, বাপ মা'র বুক খালি করে। তাতে কি? নেত্রীদের বুক যে খালি হয় নাই! সন্তানের মায়া-ই মজে সরকারের কোষাগারের টাকায় ওয়াশিংটন, ফ্লোরিডা, লন্ডন হয়ে বিচরণ করেছে পৃথিবী! আবার আরেক নেত্রী দেশের স্বার্থহানীর বিনিময়ে দরকষা কষি করে ছেলেপুলেদের মুক্তির জন্য!! আমাদের হলুদিয়া পাখি সাংবাদিকেরা এত গভীরে যায় না কি দরকার যাওয়ার যদি টাকাতে বিকিয়ে দেয়া যায় সম্পাদকীয় নামের পাতা। আজকাল হরতালের বিরুধীতা চলে টিভিতে পত্রিকায় ব্লগে!! অথচ ভাবি দেশের স্বার্থের জন্য দল নিরপেক্ষ একটা সংগঠনের ৬ ঘন্টার হরতাল আজ হঠকারী। তাহলে নেত্রীর বছর ব্যাপি হরতালের হুমকি, মাস ব্যাপি হরতাল কি? জোর যার মুল্লুক তার? গলাবাজি যার যত বেশী সেই চেতনাবাদী।

গলা নাই তাই আনুরা সুশিক্ষিত হয়ে ও দেশের স্বার্থ কম বুঝে। আর কালোকুর্তার তৈলতেলে বদনের নেতার হুন্কারে চেতনা উঠ বস করে নেত্রীর প্রয়োজনে। ৪.এশিয়ান হাইওয়ে নিয়ে দেশের মানুষের ভুল ধারনা রয়েছে। অথবা অনেকেই ভাবে প্রতিবাদ জানিয়ে কি হবে? শেখ হাসিনা তো বলেছে তার সরকার জুজু'র ভয় কে তুচ্ছ গেয়ান করিতে ও রাজি নয়!! এশিয়ান হাইওয়ে নিয়ে আমাদের ব্লগারেরা ও লুকোচুরি করে! যা অন্তত আমাদের অনেক বামপন্হি নেতারা ও করে না!! এশিয়ান হাইওয়ে কোথায় হতে এসে কোথায় গেলো তাতে কোন মাথা ব্যথার কি দরকার! তবে এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত হতে হবে! (প্রমান পরে দিতেছি) ঐ রকম আর কি পড় লেখা যাই হোক ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ই বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ বিশ্ব বিদ্যালয়! এখানকার শিক্ষকরা রাজনৈতিক সচেতন যতটুকু একাডেমিক অসচেতন ততটুকু। দেশের স্বার্থে নিরব থাকে! নেত্রীদ্বয়ের স্বার্থে হুমড়ি খেয়ে পড়ে।

কালোব্যাজ, কালো পতাকা আরো কত কি অথচ দেশের স্বার্থে পোষা প্রাণী কুকুর ছানার মতো আলগা দুধে তুষ্ট। এখন ছাত্রজনতার গনতান্ত্রিক অধিকারের চর্চা যেথায় সেথায় হয় না! পৌষ মাস যে গেলো ..... দেশের অভাবী মানুষ রক্তহানী করে, ঘামে ভেজা অর্থের বিনিময়ে কিছু নেত্রীদ্বয়ের পোষা ভন্ড পশু লালন পালন করছে। যাই হোক এশিয়ান হাইওয়ের বিপক্ষে বা এশিয়ান হাইওয়ে চায় না বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক দল আমার জানামতে নাই। আমার বিশ্বাস বাংলাদেশের সব মানুষ চায় এশিয়ান হাইওয়ের সাথে যুক্ত হতে। অথচ সুকৌশলে জননেত্রী জুজু'র মাধ্যমে জাতি কে বুঝাতে চায় যে তারা ছাড়া অন্য সব দল এশিয়ান হাইওয়ের বিরুধী!! হাঁ দেশের মানুষ এবং অনেক রাজনৈতিক দল আপনাদের প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ের রুটের বিরুধী।

কিন্তু আপনারা সত্য না বলে অথবা প্রধান বিরুধী দল কে অন্য ইস্যুতে ব্যস্ত রেখে আপনাদের সেই ১৯৯৬ সালের ট্রানজিট পরিকল্পনার রুট বর্তমান এশিয়ান হাইওয়ে সংযোজন করিতে চান। দেশের মানুষ এত বোকা যে জুজুতে ভয়ে পেয়ে যাবে? স্বার্থ বিরুধী রুটের প্রতি সংসদীয় স্হায়ী কমিটির সুপারিশ এইটা-ই প্রমান করিতেছে যে হয় কুত্তায় লেজ নাড়াইতাছে নয়তো লেজে কুত্তারে পথ দেখাইতাছে। বিশ্ব ব্যাংক বা আইএমএফের পরিকল্পনার জন্য দেশের বৃহৎ স্বার্থ বিসর্জন দেয়া নিশ্চয় দিন বদল নয়! তবে তা বাস্তবায়নের দ্রুততা ডিজিটালিক গতি-ই প্রমান করে প্রথম ৮ মাসে। জয় বাংলা। নিচে কিছু বক্তব্য দিলাম আমাদের নেতা নেত্রীদের..... এবং আমার প্রশ্ন।

"প্রস্তাবিত এশিয়ান হাইওয়ে বাংলাদেশ হয়ে আবার ভারতীয় ভূখণ্ডে যাবে বলে স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ অংশে মহাসড়কের নিয়ন্ত্রণ ঢাকার হাতেই থাকবে। " >> বাংলাদেশের অংশ বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণে থাকাই স্বাভাবিক। নিশ্চয় ভারত চায় নি যে তারা নিয়ন্ত্রণ করবে! অথবা তারা পরে চাপ প্রয়োগ করবে। তিনি বলেন, "যে দলের (আওয়ামী লীগ) নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে, তাদের দেশপ্রেম এতো ঠুনকো নয় যে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে না।

" >> স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার নামে জেনে শুনে দেশের স্বার্থহানী করার মধ্য পার্থক্য? ভারতীয় স্বার্থপন্হি চুক্তি করার জন্য আপনারা কেন এত মরিয়া? তাহলে ঠুনকো প্রেম? যেমন... টিপাইমুখ বাঁধে দেশের ক্ষতি হবে না! নিশ্চয় ফারাক্কার কারনে কোন ক্ষতি হয় নি? তারা একই ধরনের আশ্বাস কি বঙ্গবন্ধু কে দিয়ে ছিলো? প্রধানমন্ত্রী বলেন, এশিয়ান হাইওয়ে একটি আন্তর্জাতিক রুট। এশিয়ান হাইওয়ে হলে ভারত সব কিছু নিয়ে যাবে, এ জুজুর ভয়ে দরজা বন্ধ রাখা যায় না। তিনি বলেন, এশিয়ান হাইওয়েতে যুক্ত না হলে বাংলাদেশ বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। >> এশিয়ান হাইওয়ের রুট সিটি টু সিটি হওয়ার কথা। গত সরকার এবং কেয়ারটেকার সরকার সে অনুযায় চেষ্টা করেছে।

যা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। কিন্তু আপনাদের কোন চেষ্টা নাই!! তবে ভারত প্রেমের জুজু আছে। বর্তমান বাংলাদেশ কি বিশ্ব থেকে বিছিন্ন? এখনো অনেক দেশ চুক্তি করে নি। কিন্তু আপনারা এত মরিয়া কেন? "এশিয়ান হাইওয়েকে 'ট্রানজিট' বলে যে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে- তা নিয়ে মুজিবুল হকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, "যারা করছেন, তাদের এ প্রশ্নটি করলে ভালো হতো। এশিয়ান হাইওয়ে হলে ভারত সব কিছু নিয়ে যাবে, ট্রানজিট হলে গেলো গেলো- এ সব ভয়ে আমরা ভীত নই।

জুজুর ভয় দেখিয়ে দরজা বন্ধ করে রাখব-এ নীতিতে আমরা বিশ্বাসী নই। " ( ঢাকা, সেপ্টেম্বর ০৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম ) >> এখানে আপনার জন্য আপনার দুই মন্ত্রীর এক গভর্নরের বক্তব্য তুলে ধরলাম.... তাহলে মিথ্যাবাদী কে?? আপনি না আপনার মন্ত্রীরা? ক. বৃহস্পতিবার আখাউড়া সীমান্তে বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় প্রথম ইট রপ্তানির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "ট্র্যানজিট নিয়ে কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু সেটা এমন সমস্যা না যে তার জন্য ট্র্যানজিট দেওয়া যাবে না। " ( এই পোর্ট আমার, ওই পোর্ট তোমার বলে কিছু নেই : ফারুক খান। বিডিনিউজ আগষ্ট ২০,২০০৯ ) খ. যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন ভারতকে ট্র্যানজিট দেওয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন।

ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী বুধবার সচিবালয়ে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ মনোভাবের কথা জানান। ভারতকে সড়ক অথবা রেল পথে ট্র্যানজিট দেওয়া হচ্ছে কি-না, এ প্রশ্নের জবাবে আবুল হোসেন বলেন, "এটা তো লাভজনক। ভারতকে ট্র্যানজিট দেওয়া হলে আমরাই লাভবান হবো। তাহলে আমরা এটা করবো না কেন? ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, "বাংলাদেশের রেলখাতের উন্নয়ন এবং ট্র্যানজিটের বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করা হয়েছে।

" - ঢাকা, জুন০৩ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম) গ."দীর্ঘদিন ধরে ট্রানজিট ইস্যু নিয়ে বিতর্ক চলছে। এ ব্যাপারে আমার ব্যাক্তিগত অভিমত হলো প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে ট্রানজিট ইস্যুটি রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে না দেখে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা উচিৎ। " নিরাপত্তার অজুহাতে অযথা এ বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক করা উচিৎ নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি। ( নিরাপত্তার অজুহাতে ট্রানজিট নিয়ে বিতর্ক ঠিক নয়: গভর্নর। বিডিনিউজ ৮ জুলাই২০০৯।

>> অথচ সে ভারত নেপালের সাথে ৪০ কিলোমিটারের ট্রানজিট দেয় নি! সেই নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে। তাহলে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করা লাগে না!! কিন্তু আপনাকে নিয়োগ দেয়া সরকারের প্রধানমন্ত্রী কিভাবে ভারতের সাথে সন্ত্রাস বিরুধী চুক্তি করতে মরিয়া? কিভাবে সম্ভব? কে মিথ্যেবাদী? রাশেদ খান মেনন অনেক বড় দেশপ্রেমিক মানুষ! সন্দেহ নাই(করা উচিত) নিচের মন্তব্যটি পড়ুন.. এশিয়ান হাইওয়ে বিষয়ে মেনন বলেন, "রুট যেটিই হোক আমরা এশিয়ান হাইওয়েতে সংযুক্তির পক্ষে। ভারত থেকে এসে ভারতে যে রুটটি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে সেটিকে বিরোধী দলগুলো তাকে ভারতকে কড়িডোর দেয়া হচ্ছে বলে এর বিরোধীতা করছে। এ ব্যাপারে মেননের বক্তব্য জানতে চাইলে বলেন এসব কুযুক্তি। কোথায় থেকে এসে কোথায় গেল গেল এটা বড় কথা নয়।

বড় কথা হলো এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযুক্তি। এই হাইওয়েটি ভারত থেকে এসে ভারত দিয়ে চলে গেলে আমাদের ক্ষতিবৃদ্ধির কী আছে?" --- (আমাদের সময়। । ১১ সেপ্টেম্বর,২০০৯। ।

শুক্রবার। । ) আরো অনেক মন্তব্য ছিলো যা জননেত্রীর দেশপ্রেম এবং মন্ত্রীদের দেশপ্রেম নিয়ে দেশের মানুষের সন্দেহ জাগা স্বাভাবিক। আর জুজু কেন আপনি পাইবেন জননেত্রী জুজু তো তাদেরই পাওয়ার কথা... বেনাপোলে দুই বাংলাদেশিকে পিটিয়ে মেরেছে বিএসএফ "২৪ ঘণ্টায় বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফ পিটিয়ে দুই বাংলাদেশি যুবককে হত্যা করেছে। শনিবার ভোরে বড়আঁচড়া সীমান্তে বিএসএফ পিটিয়ে আর ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা করে গরু ব্যবসায়ী রুবেলকে।

জানা যায়, রুবেল ভোরে গরু কেনার টাকা দিয়ে ফেরার পথে হরিদাসপুর ক্যাম্পের বিএসএফ তাকে ধাওয়া করে আটক করে। পরে নির্মমভাবে রুবেলকে হত্যা করে তার লাশ বড়আঁচড়া সীমান্তের তালতলায় ফেলে রাখে। গ্রামবাসীদের কাছে খবর পেয়ে বিডিআর পুলিশ যৌথভাবে লাশ উদ্ধার করে। এর আগে শুক্রবার ভোরে একইভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় দ্বিবা সীমান্তে আলী হোসেনকে। সেও একজন গরু ব্যবসায়ী।

আলী হোসেনের আত্মীয়দের অভিযোগ, বিএসএফ তাকে পিটিয়ে মেরেছে" ( স্টাফ রিপোর্টার যশোর যায়যায় দিন ২৮ জুন,২০০৯) এমন সংবাদ প্রতিদিন পত্রিকার পাতায় আসতেছে তবু আপনার জুজু'র ভয় পান না! কারন গদি ফিরে পেতে সাহায্যই সব ভুলিয়ে দিয়েছে? গতকাল(১৫ সেপ্টেম্বর ,২০০৯)ফুলবাড়ী সীমান্তে দুই বাংলাদেশী কে হত্যা করে... Click This Link "বিডিআরের ডিজির 'ঔদ্ধত্যে'র শাস্তি দাবি দুই সাংসদের!" সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাংসদ মির্জা আজম ও তাদের শরিক জাতীয় পার্টির সাংসদ মুজিবুল হক চুন্নু এই শাস্তি দাবি করেন। অথচ একই দিন ভারতীয় বিএসএফ দুই জন বাংলাদেশী কে সীমান্তে গুলি করে হত্যা করে। তা নিয়ে স্হায়ী কমিটির মাথা ব্যাথা নেই! বিএসএফের শাস্তি হবে কেন? কারন মীর্জা আযম যে এই বিএসএফের স্নেহে প্রায় দুইটা বছর কাটিয়েছে। এ হলো আমাদের দেশ প্রেমিক এমপি মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী। তাহলে জুজু' কেন পাবো না? গনতন্ত্র হরনের চিন্তা কেন আপনার মাথায় ঘুরপাক করবে না? চোর-ই ভয় পায় ছায়া দেখে।

পরাধীন সেনাক্যাম্প সজ্জিত সিকিমের চেয়ে গনতন্ত্রহীন থাকা কি ভালো ছিলো না? ভারত সিকিমে কাশ্মিরে নিত্য নতুন সেনাক্যাম্প গড়ে আর তাদের-ই রাষ্ট্রদূত আমাদের পার্বত্য চট্রগ্রামের শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত করার আহবান জানায়!!! কোন সাহসে? কাশ্মিরীদের ধর্ষন করে সেক্যুলার চর্চা করে? পিনাক কে? আমরা কি ব্রিটিশ পরবর্তি ভারত শাসিত বাংলাদেশে আছি? না হলে পিনাক কিভাবে আমাদের দেশীয় ব্যাপারে নাক দেয়??
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।