গেরিলা কথাবার্তা
মেট্রোপলিটন চা: দুই
আড্ডার পিরিচে চা ঢালতে ঢালতে
একজন উপমিত করলো পৃথিবীর তাবত বিষয়
কিন্তু তোমার চোখ বিতর্কিত।
মেট্রোপলিটন চায়ে চুমুক দিতেই তোমার উষ্ণতায়
কেন যেন ডুব দিতে থাকল তবু সারাটা শহর।
সেদিন খুব বিতর্কিত ভাষায় কথা বলেছে তোমার চোখ।
সন্ধ্যা গড়িয়ে সূর্যাস্তের সাথে দুলতে দূলতে যখন প্রতিদিন
বেজে ওঠে পিরিচে পিরিচে ঘণ্টা, একটি বিতর্কের প্রয়োজনে
চায়েরা ক্লান্ত হয়ে পড়ে তখন বাষ্প ছুড়েই, আর ভেঙে পড়ে
বিকেলের আসর সময়ের ত্রস্ততায়।
তুমি এসে একদিন বিতর্কটা ভেঙে দাওনা কেন!
তুমি জানোই না
তোমার উৎকণ্ঠার মিউজিয়ামে ঢুকে সবকিছু অন্ধ হয়ে যায়
কী আশ্চর্য মোমের মতো আলো হৃদয়ে তোমার
লেপে পুছে জমিয়ে রাখছো খেলনাগুলো যেন বা জীবন
অন্যতর কিছু নয়, ভালবাসা ছাড়া
তোমার স্পর্শে ছড়িয়ে পড়ে তার মিষ্টি মৌ
তুমি সংবাদপত্র পড়লে
লাইনগুলোতে তোমার চোখ কী আদর দিয়ে যায়
তুমি জানোই না আমি তখন সংবাদপত্র হয়ে যাই।
আমার ডানাটি
শহরে মানুষের বাসাগুলো করুণ ও বোকা
কোন জানালা থাকে না, থাকলেও একটি শাদা পর্দায় ঢেকে দেয় ওটা
সম্ভবত শহরের মানুষেরা উড়তে ভালবাসে না
তাদের প্রতিবেশি হয়ে থেকে থেকে
আমার পাখিটিও তাই এখন অন্ধ হয়ে যাচ্ছে
আমার ডানাটি ভেঙে যাচ্ছে আস্তে আস্তে
রূপা
জানালা দিয়ে দেখা মেয়েটির চোখগুলো অপরূপ, আমি ভুলতে পারি না
প্রতিদিন বিকেলে হাঁটতে বেরুলে তার সাথে দেখা হয়ে যায় অলক্ষ্যে
যেন শহরের এক খণ্ড চাঁদ, বোকা রাস্তাটিরে নিরন্তর জোছনায় ডুবিয়ে রাখে
রিকসায় রাত করে বাড়ি ফিরলে সেও উঠে পড়ে আমার সাথে, গল্প জমায়।
গল্প শুনে শুনে আমি মলিন হলে বড়ো আদরে হেসে ওঠে রূপা।
দু:খ আমার পাশের বাড়ির ছোট বোন। আমি তারে রূপা বলে ডাকি।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।