আমি সিনেমা টা বেশ কয়েক বার দেখেছি। অনেকেই হয়ত দেখেছেন।
সিনেমা টা মুঘোল বাদশা হুমাঊনের সুযগ্য পুত্র বীর যোদ্ধা জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর ও
তার স্ত্রী হিন্দু রাজপুত যোধা কে নিয়ে নির্মিত।
বাদশা হুমাঊন সপ্ন দেখেছিলেন ভারতবর্ষে মুঘোল সম্রাজ্জ্য প্রতিষ্ঠা
করতে আর সেই সপ্ন পুরন করেছিলেন সু্যগ্য পুত্র জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ আকবর।
হিন্দু সম্প্রদায়ই ভালবেসে তাকে আকবর নাম দিয়েছিল।
তারপর আকবর ও যোধা সৃষ্টি করেছিলেন হিন্দুস্তানের এক কিংবদন্তির ইতিহাস, আকবর
একজন মুসলিম সম্রাট হয়েও হিন্দু প্রধান রাষ্ট্রে মুঘোল সম্রাজ্জ্য কে করেছেন গৌরাবান্নিত।
উনার পুথিগত কোন শিক্ষায় ছিল না, এমনকি অক্ষর জ্ঞানও ছিল না! তবুও
সবসময় উনার যুগোপযোগী উদার ও সঠিক সিধান্ত,কখনো শিশুর মত কোমলতা, মহানুভবতা,সততা,
উদারতা,মানুষের প্রতি অপার ভালোবাসা,বদান্যতা, সরলতা, শুধু তাই নয় উনার
দৃড় চেতা, পর্বত সম অটলতা,কখনো বজ্জ্রের মত কঠিনতা তাকে এক পরিপুর্ন ব্যাক্তিত্ত দিয়েছিল।
সত্যি বলতে, আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিপুর্ন ব্যক্তিত্ত বলতে যেটা বিশ্বাস করি ও বুঝি,
আমার কাছে মনে হয়েছে তার সবকিছুই উণার মধ্যে সঠিক মাত্রায় ছিল।
তিনি শুধু একজন মহান সম্রাট ই ছিলেন না, উনি ছিলেন একজন অনুকরনীয় আদর্শ।
উনার সহধর্মিণী যোধাও কোন অংশে কম ছিলেন না! রুপে, গুনে , বিচার বিবেচনায় তিনিও ছিলেন
অনন্যা।
তিনি ছিলেন একজন পুর্ন ব্যাক্তিত্তের পরিপুর্নতা।
তিনি আকবর কে আরও বেশি পরিপুর্নতা দিয়েছিলেন ঝর্নার মত ভালবাসা দিয়ে,একজন বিশস্ত বন্ধুর মত ভালবাসায় সিক্ত সুচিন্তিত পরামর্শ দিয়ে।
যাহা আকবরকে করেছিল আরও বেশি উদার, মহান ও পরিপুর্ন।
মহান আল্লাহ যোধা ও আকবর কে জান্নাত নছিব করুন। যেন যুগ যুগ ধরে তাদের মত লাখো লাখো ছায়া মানবের জন্ম হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।