আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লাল হিজল

আমার ভিতর তুমি থাকো আমি কোথায় রই, আমি না থাকিলে তোমার থাকার জায়গা কই?

তবুও যদি বলিস তুই যাই দেখবি তোর সম্মুখে পথ নাই, তখন আমি একটু ছোঁব হাত বাড়িয়ে জড়াব তোর বিদায় দুটি পায়। যাত্রাভঙ্গ আমার খুব প্রিয় কবিতা। সব সময় ওকে একথা বলতাম। কিন্তু পা দুটো ছোঁয়ার আগেই সে বিদায় নিল। ভালোবাসা আর অজস্র স্বপ্ন এক নিমিষেই ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল।

ওদের অভিজাত পাড়ায় জ্যোৎস্না ম্লান। পূর্ণিমার চাঁদটাকে সে প্রায়ই দেখতে পেত না। আলোকজ্জ্বল বিল্ডিংয়ের ভীড়ে রুপালি চাঁদ কখনোই ওর দৃষ্টিগোচর হয় না। রু জানে না, চাঁদের আলোয় তাকে কতটা মায়াময় লাগে। ও শুধু জানে সোডিয়াম আলোয় নিজেকে রক্তশূন্য লাগে।

রু কখনোই ঝিঁঝিঁর ডাক শোনে না। মাঝরাতে ও শোনে নাইটগার্ডের হুইসেল। বৃষ্টির পানিতে পা ভেজালে মুখ বাঁকিয়ে বলতো, 'কাঁদা, যেয়ো না'। ও ভিজত দোতলা ডুপ্লেক্স বিল্ডিংয়ের পরিস্কার ঝকঝকে ছাদে। 'আজি ঝরঝর মুখর বাদল দিনে' ও কখনোই শোনেনি।

বৃষ্টির দিনে সে হয়তো এমিনেম বা লিংকিন পার্কের নতুন গান খোঁজে। রু কি জানে চাঁদের আলো তাকে কতটা অপূর্ব লাগে? বৃষ্টির দু-তিন ফোঁটা মুখে পড়লে তার ভুবনভোলানো হাসিটা কেমন লাগে? ও তো জানে না। ও আজও অরুন্ধতী চেনে না, চেনে না জারুল, চেনে না ছাতিম ফুলের মিষ্টি গন্ধ। কে চেনাবে ওকে? হায়! রু হয়তো কোনদিনও জানবে না ওর প্রতীক্ষায় আমি আজীবন আছি। অনেকবার বৃষ্টিভেজা শ্রাবনের ২১টি কদমফুল ওকে দিতে চেয়েছি, পরিনি।

আজও এই ব্যস্ত শহরে লাল হিজল খুঁজে পাইনি। ওর পছন্দের নীল জামদানি আর পরাই হবে না।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।