আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল এর আইপিওর পুরো অর্থ যাবে ঋণ পরিশোধে

তোমারে বন্দনা করি স্বপ্ন-সহচরী লো আমার অনাগত প্রিয়া, আমার পাওয়ার বুকে না-পাওয়ারতৃষ্ণা-জাগানিয়া! তোমারে বন্দনা করি…. হে আমার মানস-রঙ্গিণী, অনন্ত-যৌবনা বালা, চিরন্তনবাসনা-সঙ্গিনী!

ঢাকা, সেপ্টেম্বর ০১: ঋণ পরিশোধের লক্ষে তালিকাভুক্ত হতে চাওয়া কোম্পানি নিয়ে সমালোচনা থাকলেও অনুমোদনে তা থেমে নেই। তেমনই প্যারামাইন্ট টেক্সটাইল কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত টাকার প্রায় সম্পূর্ণ ব্যবহার করছে ঋণ পরিশোধে। কিন্তু তারপরেও থেকে যাচ্ছে বড় অংকের ঋণ। তাই ঋণ পরিশোধের লক্ষে তালিকাভুক্ত এমন কোম্পানিতে বিনিয়োগের আগে বিনিয়োগকারীদের বিচার বিশ্লেষনের আহবান বাজার সংশ্লিষ্টদের। ৫৫ কোটি টাকার প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল পুঁজিবাজার থেকে প্রিমিয়ামসহ ৮৪ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।

যার মধ্যে ৭৩ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করা হবে ও ৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয় হবে মূলধনের কাজে। আর বাকি ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা আইপিওতে ব্যয় হবে। এক্ষেত্রে বেশিরভাগ কোম্পানিতে দেখা যায় তালিকাভুক্তির আগে ১৫-২০ শতাংশ হারে সুদ দিয়ে ব্যবসায় পরিচালনা করে যে মুনাফা অর্জন করে সেই একই পরিমাণ থেকে যায় পুঁজিবাজার থেকে সুদবিহীন টাকা উত্তোলন করে। এক্ষেত্রে ঋণ পরিশোধ করে ফেলার কারণে সুদজনিত ব্যয় কমে আয়ের পরিমান বৃদ্ধি না পাওয়ায় হতাশায় পড়তে হয়। যার কারণে ঋণ পরিশোধের লক্ষে যেসব কোম্পানি টাকা উত্তোলন করতে চায় তাদের নিয়ে সন্দিহান অনেকের।

এজন্য ডিএসই’র সাবেক প্রেসিডেন্ট রকিবুর রহমান এইসব কোম্পানিকে আইপিও এর মাধ্যমে টাকা তোলার অনুমোদন না দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সময় জোড় আহবান করেছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে। এদিকে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলন করে ৭৩ কোটি টাকার ঋণ পরিশোধ করলেও মোট ঋণের পরিমান আরো অনেক। প্রসপেক্টাস থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি কোম্পানিটি দীর্ঘমেয়াদি ৬৪ কোটি ৭৭ লাখ ও স্বল্পমেয়াদি ৮৯ কোটি ৯৪ লাখ (মোট ১৫৪ কোটি ৭২ লাখ) টাকা ঋণ গ্রহণ করেছে বিভিন্ন মাধ্যমে। যার কারণে উত্তোলিত অর্থের ৭৩ কোটি টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করলেও বাকি থেকে যাচ্ছে তার চেয়ে আরো বেশি। ১৮.৩১ টাকা শেয়ার প্রতি সম্পদের (এনএভি) প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল কোম্পানি ২৮ মূল্যে (প্রিমিয়ামসহ ১৮ টাকা) তালিকাভুক্তির কারণে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়াবে ২১.৭২ টাকা করে।

উদাহরণ স্বরূপ বলতে গেলে কোম্পানিটি যদি তৎক্ষণাৎ বিলুপ্ত হয় তাহলে আইপিও পরবর্তী শেয়ারহোল্ডাররা শেয়ার প্রতি ২১.৭২ টাকা পাবেন ২৮ টাকা বিনিয়োগ করে। আর আইপিও পূর্ববর্তী শেয়ারহোল্ডাররা পাবেন ২১.৭২ টাকা করে তাদের ১৮.৩১ টাকার সম্পদের বিপরীতে। যেখানে আইপিও পরবর্তী শেয়ারহোল্ডাররা লোকসান গুণবেন ৬.২৮ টাকা আর পূর্ববর্তীরা লাভবান হবেন ৩.৪১ টাকা করে। একটি কোম্পানির শেয়ার দর নির্ধারনের ক্ষেত্রে তার সাথে প্রিমিয়াম নির্ধারনে গুরুত্ব দেওয়া হয় এনএভি’র পাশাপাশি বিগত কয়েক বছরের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস), সুনাম ইত্যাদি। এক্ষেত্রে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল কোম্পানিটির শেয়ার দর নির্ধারনে ব্যতিক্রম হয়নি।

কোম্পানিটির উন্নয়ন, সুনাম, আয় ভালো হওয়ায় ১৮ টাকার প্রিমিয়াম পেয়েছেন। কোম্পানি আইন ১৯৯৪ সালের অধীনে ২০০৬ সালে প্রাইভেট কোম্পানি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল কোম্পানিটি। পরে ২০১০ সালে পাবিলক কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়। কোম্পানিটির রেজিস্টার অফিস গুলশানের নাভানা টাওয়ারে (লেভেল-৭)।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।