আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃষ্টির সাথে অভিসার

সৃজনশীল সাহিত্যের শৈল্পিক প্রয়াসে নিমগ্ন একজন প্রকাশক

এই নাকি বর্ষা! বৃষ্টি এই আছে তো এই নাই! এবার সে যেন বড্ডো অভিমানি। শত সেধেও তার মন পাওয়া দায়। দিন কি রাত, মন মর্জি মতো তার আসা যাওয়া! আমরা কেউ কেউ ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ভিজি বৃষ্টিতে। অবশ্য অনিচ্ছায় বৃষ্টিতে ভেজা আসলে তো ভেজা নয়, সে হলো ভিজে যাওয়া। কেউ যদিও ভিজছেন প্রকাশ্য দিবালোকে,কিন্তু সে কেবল ভেজাই।

অভিসার সে হতোই পারে না। এতো লোকচক্ষুর পাহারায় কি হয় অভিসায়! কাল মাঝরাতে গিয়েছিলাম অভিসারে! সত্যি সত্যি। এ যেন সত্যি অভিসার! রাত তখন ১.৩০। বৃষ্টির ডাকেই ঘুম ভাঙ্গলো। বুঝলাম ঝুম বৃষ্টি নেমেছে আমার পাড়ায়।

কি একটু ভাবলাম দু’দন্ড. তারপর পা টিপে টিপে সোজা ছাদে! সত্যি বলছি সে এক সাংঘাতিক অনুভূতি! যেন প্রথম অভিসারের আলোড়ন! দুরু দুরু বক্ষে অপেক্ষমান প্রিয়ার সান্নিধ্যের অভিযাত্রা। তা নয়তো কি? কেউ দেখলে আর রক্ষে আছে! খোলা ছাদে বসে পড়লাম পদ্মাসনে। না, না কোন ধ্যানে নয়, ভোগে! দ্রবীভূত হবার আলোড়ন ভোগে। কেবল মনে হচ্ছিল এই বৃষ্টি কেবল আমার জন্য। লোকচক্ষুর বাইরে কেবল আমরা দুজন, একে বিলীন হব অন্যে, দ্রবীভূত হওয়ার শেষ সীমানায়...! কিন্তু বিধিবাম! দৈত্বসত্তার একক মিলনের চরম মূহুর্তে ঘটল ট্র্যাজিডি! কেউ একজন হেঁকে উঠলো কে,কে? ঘাড় ফিরিয়ে দেখি পাশের বাড়ির জানালায় একজন কৌতুহলি দর্শক বিস্ময়ে দেখছে আমাকে।

নাহ্ নাহ্ রোমাঞ্চিত হবেন না। উনি কোন রমনী নন, আমারই বয়সী রাত জাগা এক তরুন মাত্র (মেয়ে নয় সে আমার জন্মগত দূভাগ্য!) ব্যাস্ আর হয় অভিসার? ঘাড় ফিরিয়ে দেখি ততক্ষণে লজ্জায় আড়ষ্ঠ কুমারী কন্যা বৃষ্টি আমার কাছ থেকে সহস্র হাত দূরে!! মাঝরাতেও শান্তি নাই! মুহুর্তে মনে হলো ঐ লোক নির্ঘাত আমায় ভাবছে চোর,পাগল কিংবা আঁতেল! প্রথম দুটো হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই আর শেষটির নেই যোগ্যতা। আঁতেল হতে মনের জোর লাগে! সে আমার কই? ঐ মন নিয়েই তো যত সংশয়! রাতদিন এই শরীরটাকে যতটা টের পাই, মনকে তেমন পাই কোথায়? ও বস্তু আছে তো আদৌ? এই যন্ত্রমানবের এতো বাড়াবাড়ি কি মানায়? সুতরাং সোজা বিছানায়...

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।