আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাস্য উৎপত্তি

www.choturmatrik.com/blogs/আকাশ-অম্বর
১ নিঃশব্দে হাত তুললো আদি-মানব। সন্ধ্যাকালীন সূর্যের প্রতিফলিত আলোয় আলোকোজ্জ্বল সেই লোমশ বলিষ্ঠ হাতখানি আচমকা থেমে যাওয়ার আদেশ দিচ্ছে তার পিছু পিছু সন্তর্পণে অগ্রসরমান দলটিকে। তীক্ষ্ণ নীরব উত্তেজনা। জবুথুবু হয়ে থাকা ভীত-সন্ত্রস্ত ও বিভ্রান্ত অন্য সদস্যরা টের না পেলেও একটু দূরের ঐ কাঁটা-ঝোপের মৃদু কম্পন আদি-মানবের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ চোখকে ফাঁকি দিতে পারেনি। শ্বাপদসংকুল এই গিরিপথ দিয়ে এই নিয়ে কতবারই না পার করেছে সে নিজ-গোত্রের ভাগ্যবান কতজনকে! নিয়ে গেছে ঐ আকাঙ্ক্ষিত স্বর্গরাজ্যে যেখানে নাকি দাউদাউ করে জ্বলে এক শক্তিমান্‌ সত্ত্বা! শুকনো পাতা-কাষ্ঠ ছুড়ে দিলে নাকি আরও বেড়ে উঠে আয়তনে! হয়ে উঠে লেলিহান।

কি উত্তাপ ওখানে! কি পরম শান্তি! ফিরে এসে কতই না গল্প শুনিয়েছে সে অন্যদের। ওদের চক্‌চকে চোখে জ্বালিয়েছে ঐ শক্তির প্রতিরূপ। জাগিয়ে তুলেছে উদগ্র আকাঙ্ক্ষা। উদ্বুদ্ধ করেছে এই অভিপ্রয়াণের প্রয়াস। সে জানে, বেঁচে থাকার জন্য এর বিকল্প নেই।

সে বুঝে গেছে, জীবনে উত্তাপের সন্ধান করতে হয়। শীতল অবস্থায় বাঁচা যায় না। এবার বাতাসে বিপদের ঘ্রাণ স্পষ্ট। কাঁটা-ঝোপের মৃদু কম্পনও আর অস্পষ্ট নয়। হালকা দীর্ঘশ্বাস ফেললো আদি-মানব! আজও কি সে একাই বেঁচে ফিরবে? সবাই তো আর ভাগ্যবান হয় না! আশার আলো দেখিয়ে আর কতজনকে সে ঐ আরাধ্য লেলিহান শক্তির খোরাক বানাবে? না, এবার সেটা হতে দেয়া যায় না।

পোড় খাওয়া কঠিন মুখে সঞ্চিত শীতল বিন্দু-বিন্দু ঘাম মুছে সে পাশেই পরে থাকা বেশ বড় এক পাথরের চাকতি তুলে নেয়, আর আঘাতদানের ভয় প্রদর্শনের অভিপ্রায়ে মুখবিকৃতি করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে অজানা লক্ষ্যবস্তুর দিকে। ঠিক এই সময়েই। হ্যাঁ, ঠিক এই সময়েই হঠাৎ ঝোপের ভেতর থেকে আকস্মিকভাবে দৃশ্যমান হলো এক নিরীহ কিশোর! সন্ধ্যালগ্নের এই হিম্‌হিম্‌ শীতলতা, নাকি ভীত-উত্তেজনায় মৃদু কাঁপছে সে? ছোট্ট হাতে ধরে রাখা ছোট্ট এক পাথরের হুমকি সত্ত্বেও শান্ত-সৌম্য সেই অবয়ব দেখে হকচকিয়ে উঠে আদি-মানব। আরে! এ তো কোন বিপদ নয়! এ তো সেই, যাকে এই অভিপ্রয়াণে অন্তর্ভুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলো সে। এ যে বন্ধু, এ যে সখা, এ যে মিত্র! ঠিক এই মুহূর্তে, ঠিক এই উপলদ্ধির ফলে, তার শক্ত-কঠিন ভীতিকর মুখাকৃতির সেই ছায়া মাঝপথেই থেমে গেলো।

মিত্রকে স্বীকৃতি জানাতে তার কঠিন মুখ-পেশীগুলো হয়ে গেলো কিঞ্চিত শিথিল। আর সবিস্ময়ে হতবাক সেই আগন্তুক কিশোর এই প্রথমবারের মতন দেখলো এক অস্বাভাবিক দৃশ্য। তার চিরচেনা দীর্ঘকায় বলিষ্ঠ এই দলনেতার মুখে এ কেমন অভিব্যক্তি! ২ হ্যাঁ, ধারণা করা হচ্ছে যে লক্ষ লক্ষ বছর আগের এইরকম কোন এক দৃশ্যপটেই হয়তো জগত-সংসার দেখেছিলো অবিস্মরণীয় এই মৃদুহাসি (smile), এবং ক্রমান্বয়ে রূপান্তরিত উচ্চহাসি/অট্টহাসি (laughter)! তাই কোন এক সম্ভাব্য বিপদজনক অস্বাভাবিকতা (potentially dangerous anomaly) থেকে উদ্ভূত প্রত্যাশার আকস্মিক লঘুকরণই (deflation of expectation) মানব-প্রকৃতিতে ‘হাসি’ নামক এক অদ্ভুত আচরণের উৎপত্তি ঘটিয়েছে – এটা মোটামুটিভাবে বলা যায় কি? দেখা যাক, মনুষ্য-আহৃত-জ্ঞান কি বলছে। ৩ রামগরুড়ের ছানা/হাসতে তাদের মানা, হাসির কথা শুনলে বলে, “হাসব না-না, না-না!” হাসি। যে সমস্ত চারিত্রিক বৈশিষ্টাবলী আমাদের সত্যিকার অর্থেই ‘মানুষ’ হিসেবে স্বতন্ত্র করে তোলে, তাদের মধ্যে এই অদ্ভুত শাব্দিক বিস্ফোরণের অভিব্যক্তিটিই বোধকরি সর্বাপেক্ষা বিভ্রান্তিকর এবং হেঁয়ালীপূর্ণ।

হ্যাঁ, এই প্রকারের অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় বিভিন্নপ্রকারের ঠাট্টা, তামাশা, রসিকতা, হাস্যরস, রসবোধ এমনকি শারীরিকভাবে স্পর্শ করার (সুড়সুড়ি, কাতুকুতু ইত্যাদি) মাধ্যমেও। হাসতে না জানলে আমাদের বোধহয় ঐ ‘রামগরুড়ের ছানা’ হয়েই থাকতে হত! মানবসভ্যতার ইতিহাসে এক অনন্য-সাধারণ ভাষা হচ্ছে এই ‘হাসি’। বিবর্তনের বিভিন্ন ধাপে পৃথিবীর সম্পূর্ণ অন্যপ্রান্তে, যোগাযোগহীন দুটো সভ্যতার মধ্যে ভাষাগত বিশাল পার্থক্য পরিলক্ষিত হলেও, অদ্ভুতভাবে এই ‘হাসি’ কিন্তু সেভাবে বিচিত্রভাবে বিবর্তিত হয়নি। যদিও এটা নাকি প্রমাণ করে না যে হাসি মানব-চরিত্রের এক সহজাত/অন্তর্জাত ব্যাপার। একটি শিশুর মুখে তার জন্মের দ্বিতীয় মাসেই দেখা দেয় মৃদুহাসির (smile) অভিব্যক্তি।

যদিও এটাকে অনেক সময়ই প্রতিবর্তী-ক্রিয়া (reflex action) হিসেবে দেখা হয়, কিন্তু অচিরেই এটা সমাজ-সম্পর্কীয় হয়ে দাঁড়ায়। আর জন্মের প্রায় চার-মাস পরেই এই পর্যায় থেকে উত্থিত হয়ে উচ্চস্বরের বিস্ফোরিত শ্বাসপ্রশ্বাস-রীতির আচরণ (laughter) এক স্বতন্ত্র অভিব্যক্তির সূচনা ঘটায়। যদিও এক গবেষণায় এটাই নাকি দেখা গেছে যে এক বছরের কমবয়সী বোনোবো শিম্পাঞ্জী আর মানবশিশুকে সুড়সুড়ি দেয়ার ফলে সৃষ্ট হাসির কণ্ঠনিঃসৃত ধ্বনির spectrographic pattern নাকি প্রায় একই। কিন্তু বৈশ্বিক-ভাষা হলেও এক গবেষণায় সনোগ্রাম এ্যনালাইসিস করে এটাই নাকি দেখা গেছে যে আমরা কথা বলার সময় স্বরতন্ত্রীতে যে regular systematic pattern তৈরী হয়, হাসির সময় সেই pattern হয়ে যায় একেবারেই নিয়মবহির্ভূত ও অনিয়মিত। যেন এক স্বেচ্ছাচারী বিশৃঙ্খল অর্থহীন আচরণ! Sonogram of the five Spanish vowels Sonogram of a laughter episode কিন্তু কেন এই ‘হাসি’? আর কেনই বা এই শাব্দিক বিস্ফোরণের পুনরাবৃত্তি? উদ্বেগ, দুশ্চিন্তা, অনিশ্চয়তাবোধ, মানসিক/আবেগগত/স্নায়বিক চাপ থেকে উদ্ভূত কষ্ট/বেদনা লাঘবে জাদুটোনার মত কার্যকর এই ‘হাসি’ মানবজীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও একে কিন্তু কখনই সন্তোষজনকভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়নি।

‘হাস্যকর তাহাই যাহা দেখিয়া হাসি পায়’ অথবা ‘আমরা তখনই হাসি যখন কোন হাস্যকর বস্তুর সম্মুখীন হই’ এই জাতীয় সংজ্ঞা বোধহয় কখনই যুক্তিসংগত নয় তথাকথিত প্রগতিশীলদের কাছে! তাই যখন ‘রিলিফ থিউরীর’ (relief theory) মাধ্যমে সিগমুন্ড ফ্রয়েড আমাদের বোঝাতে চান যে মানবপ্রকৃতির সেই জান্তব আদিম সহজপ্রকৃতি (Id) এবং সমাজ-সংস্কৃতির প্রভাবে ‘সভ্য’ ও ‘মার্জিত’ রুচিবোধের (Ego এবং Super-Ego) টানাপোড়েনে সৃষ্ট জটলা এবং অবদমিত আবেগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে সুকৌশলে পলায়ন করার যে কোন পন্থাতেই (যেমন, যৌন এবং বৈরভাবের কৌতুক) আমরা হাসি, তখন কিছুটা হলেও এই যুক্তি আমাদের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায়, আমরা মেনে নিতে চাই। ফ্রয়েড আরও বলছেন, খুব মানসিক অথবা শারীরিক বেদনা/কষ্ট/উদ্বেগ থেকে কোনক্রমে রেহাই পেলে আমরা Id’তে দমিয়ে রাখা ঐ বিপুল অবাঞ্ছিত শক্তিভাণ্ডারকে আবেগ-অনুভূতির নির্গমন পথ দেখিয়ে দেই হাসির মাধ্যমে, হালকা করি নিজেকে। আবার জার্মানীর সেই হতাশাপ্রবণ দার্শনিক সোপেনহাওয়ার কিন্তু হাসি’কে সংজ্ঞায়িত করতে যেয়ে বলছেন যে, ‘হাসি’ হচ্ছে ‘যুক্তি’ নামক কঠোর, শ্রান্তিক্লান্তিহীন, পীড়াদায়ক এক গৃহশিক্ষিকার বিপক্ষে মানুষের লড়াইয়ে সদা অকুতোভয় এক মিত্র! মানুষ নাকি তখনই হাসে যখন যুক্তিবাদিতা পরাজিত হয়, কাণ্ডজ্ঞানহীন অযৌক্তিকতা যুক্তি ছাপিয়ে কর্তৃত্ব করে (যেমন, আমরা যখন কোন ননসেন্স জোক শুনে হাসি)। কি যুক্তিবাদী সংজ্ঞা! যাই হোক, আইরিশ কবি অস্‌কার ওয়াইল্ডও এই ব্যাখ্যা মেনে নিয়েছিলেন হয়তো! বন্দিদশায় রাণী ভিক্টোরিয়াকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছিলেন, ‘রাণী যদি তার দণ্ডিত অপরাধীদের সাথে এই রকম আচরণ করেই থাকেন, তবে তো তিনি তাদের ধরে রাখারই যোগ্য নন!’ ফ্রয়েড যেটাই বলে থাকুক না কেন, একজন ইথোলজীষ্টের (প্রাণী-আচরণবিদ) কাছে হাসি নামক এই গৎবাঁধা ঘোষধ্বনিরূপের উচ্চারণ কিন্তু এই কথাটাই জোর গলায় বলতে চায় – যে হাস্যরত প্রাণীটি সমাজবদ্ধ অবস্থায় সমাজের অন্য সদস্যদের প্রতি কোন না কোন ব্যাপারে যোগাযোগের চেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু হাসির ক্ষেত্রে সেই যোগাযোগের কারণটা কি হতে পারে? হাসির মাধ্যমে আমরা নাকি সচেতন/অসচেতনভাবে গোত্র/সমাজের অন্য সদস্যদের এটাই জানাই যে – এইখানে যেই অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করা গিয়েছিলো, সেটার পরিণতি নিতান্তই তুচ্ছ (trivial consequence) এবং তোমরা অযথাই উদ্‌গ্রীব ও উদ্বেলিত হয়ে তোমাদের মূল্যবান সময় ও শক্তি এই ব্যাপারটার পিছে নষ্ট কোরো না।

এটাই 'false alarm' theory নামে পরিচিত। আর তখন যে বললাম, গোত্র/সমাজের অন্য সদস্যদের জানাচ্ছি এই 'false alarm' এর ব্যাপারে – তো বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এই অন্য সদস্যরা আসলে নিজ পরিবারের সদস্য যাদের সাথে একই জিন শেয়ার করে থাকি, কারণ তাদেরকে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটা জানানো খুব জরুরী! তাই আপনজনদের মধ্যে হাসির প্রবণতা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পরে। নিকটাত্মীয়দের মধ্যে হাসি তাই এতটাই সংক্রামক! যে একই কারণে আমরা অপরিচিতজনদের মধ্যে সহজে হাসতে চাই না, মোটামুটিভাবে যতক্ষণ না পর্যন্ত তাকে আপন করতে পারছি। আমরা যেন বলতে চাই যে, যদিও আমি জানি এখানে একটা 'false alarm' এর আবির্ভাব হয়েছে, কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তো আমি তোমাদের দেব না, তুমি আমার কে! আর এই হাসির উৎপত্তির ব্যাপারে যে কথাটা আগেই বলেছি, দুটো শর্ত মোটামুটি মেনে চলে – কোন ব্যাপারে ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি পাওয়া এক অজানা কৌতূহল/প্রত্যাশার ক্রমবর্ধমান চাপ/উত্তেজনা এবং সেই ঘটনাপ্রবাহের আকস্মিক বাঁক পরিবর্তন (sudden twist)। কিন্তু এই বাঁক পরিবর্তন অবশ্যই হতে হবে তুচ্ছ, নিরর্থক (রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়া কেউ কলার খোসায় পা ফেলে আছাড় খেলে আমরা হয়তো হাসবো।

কিন্তু পরক্ষনেই যদি ফুটপাতে তার মাথা থেকে রক্ত বের হতে দেখি, তখন নিশ্চয়ই ব্যাপারটা অন্যদিকে গড়াবে)। তাই কোন এক সম্ভাব্য বিপদজনক অস্বাভাবিকতা (potentially dangerous anomaly) থেকে উদ্ভূত প্রত্যাশার আকস্মিক লঘুকরণই (deflation of expectation) মানব-প্রকৃতিতে ‘হাসি’ নামক এক অদ্ভুত আচরণের উৎপত্তি ঘটিয়েছে – এই কথাটাই 'false alarm' theory বলতে চায়। এবার জানতে ইচ্ছে হচ্ছে মানব-মস্তিষ্কের কোন অংশ এই হাস্যকর আচরণের জন্য দায়ী। সত্যিকার অর্থে, মস্তিষ্কের কোন নির্দিষ্ট জায়গায় আঙ্গুল দিয়ে দেখানো যাবে না যে এই অংশটিই হাসির জন্য দায়ী। তবে আধুনিক নিউরোফিজিওলজী এটাই জানাচ্ছে যে হাসির উৎপত্তি নাকি মস্তিষ্কের ventromedial prefrontal cortex এর সক্রিয়করণে সংঘটিত হয়, যেখানে এক rewarding activity’র পর endorphin নামক পলিপেপটাইডের উৎপাদন হয়।

Rewarding activity’র ব্যাপারে বলতে হয় যে মস্তিষ্কে উদ্দীপনা (stimuli) সৃষ্টির জন্য দায়ী reward center গুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে যেটা কিনা বিভিন্ন বিচিত্র প্রীতিকর অনুভূতির জন্ম দেয়। যাই হোক, আবার এটাও নাকি বলা হচ্ছে যে মস্তিষ্কের limbic system এর amygdala আর hippocampus ও নাকি হাসির সাথে সম্পর্কযুক্ত। আর এই limbic system কিন্তু বেশ শক্তভাবেই prefrontal cortex এর সাথে সংযুক্ত। কিন্তু এটাই কি সব? হাসি নিয়ে তবে কি আত্মতুষ্ট হতে পারি এখন? নিজ কক্ষের একাকী অট্টহাসির কি হবে তাহলে? কাকে জানাচ্ছি মূল্যবান তথ্য? কিভাবেই বা খুলে দিচ্ছি মানসিক চাপের পপ-আপ ভাল্‌ব? প্রকৃতির নিঁখাদ কিন্তু অর্থহীন অসামঞ্জস্যতা দেখে উচ্চহাসির রহস্য কে বলবে? মানব-ইতিহাসের হানাহানির মূঢ়তা দেখে কে থামাবে সশব্দ হাসি? মানব-আচরণ, শৃঙ্গার, প্রজননের রীতি দেখে স্বয়ং মহাকালের মুখেও কি খেলে না এক নীরব মৃদুহাসি! হাস্‌তে হাস্‌তে তাই অনেকের মতো বলতে ইচ্ছে করে - Gift of laughter defies analysis. To track it to its source is to make it disappear.
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।