আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মাত্র 14.5 KBPS হতে সর্বচ্চো 256 KBPS এর মধ্যে ক্যাবল টিভির মতই উপভোগ করুন ৭৭ টি দেশ, ৮০০ এর অধিক সম্পূর্ণ ফ্রি লাইভ অনলাইন টেলিভিশন চ্যানেলস!

আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
রাশিয়ান ডিটিভির একটি বিজ্ঞাপন সেই ১৯৯৮ সালের কথা। তখন যখন প্রথম কম্পিউটার সমন্ধে ধারণা নেই তো এর সাথে ইন্টারনেটের ব্যাবহারের কথাও চলে আসে। ঐ সময়ে ক্লাসের স্যারগণ বলতেন এক সময় মানুষ বিভিন্ন যোগাযোগ, কেনাকাটা, বিনোদন, টিভি, মুভি সহ সিংহভাগ কাজই কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই করতে পারবে। তখন কথাগুলো অবিশ্বাস্য লাগত! এই লেখায় ইন্টারনেটে লাইভ টিভি চ্যানেল দেখার উপায় এবং ইন্টারনেট নিয়ে আলোচনা করা হবে। তখন ঐ ১১ বছর আগে একটি সিডির সর্বচ্চো ডাটা ভলিউম ছিল ৬৫০ মেগাবাইটস।

এটা মূলত MPEGAV ফরম্যাটের সফ্টওয়্যার। দেখা গেল একটি সিডিতে কোন মুভি বা ভিডিও ডাটা স্বাভাবিক গতিতে চললে ৭২ মিনিট লাগে শেষ হতে। তাই হিসেব করে দেখা গেল যে প্রতি মিনিটে ১০ মেগাবাইটের ডাটা রান করে। যা প্রতি সেকেন্ডে লাগে কমপক্ষেও 256 KBPS ডাটা। কিন্তু ঐ সময়ে কোন ইন্টারনেট গ্রাহকের পক্ষে এ রকম স্পীড পাওয়া ছিল স্বপ্নের মতন এক অর্থে আকাশ কুসুম কল্পনা।

কারণ ঐ সময় বাংলাদেশের প্রথম আই.এস.পি ISN এর সর্বচ্চো ক্ষমতা ছিল মাত্র 64 KBPS। তাদের সহ অরো কয়েকটি যেমন ব্র্যাক, বিডিকম, প্রশিকা, সাইটেকো(গ্রামীণ), বেক্সিমকোর বি.ও.এল তাদেরও কারোরই স্পীড 128 KBPS এর বেশী ছিল না। তারা মূলত ভিস্যাটের মাধ্যমে সার্ভিস দিত। শুধু বিটিটিবি কেই মাসিক ৭০০০ মার্কিন ডলার ট্যাক্স দিতে হত। তার উপর মূল হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়শিয়া হতে স্যাটেলাইট সহ ব্যান্ডউইধের ভাড়াতো ছিলই।

সে কারণে ৩ টি ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ব্যাবহারের রেট ছিল। যেমন সকাল ৮টা হতে সন্ধ্যা ৬টা ১৫% ভ্যাট সহ পরত ২.৮৮ টাকা/মিনিট, সন্ধ্যা ৬ হতে রাত ১২টা পর্যন্ত ভ্যাট সহ ২.৩০ টাকা এবং রাত ১২টা হতে সকাল ৮টা ১.১৫ টাকা। অর্থাৎ দৈনিক কেউ যদি গড়ে ১ ঘন্টা করেও নেট ব্যাবহার করত তো তাকে মাসে গড়ে ১৮০০-২২০০ টাকা বিল দিতে হত এবং তার সাথে প্রতিবার বিটিটিবির ল্যান্ড লাইন টেলিফোনের কল খরচ যূক্ত হত। আর এ কারণে ফোন লাইনও ব্যাস্ত থাকত। তবে ঐ সময়ে এত লাইভ ইন্টারনেট টিভি চ্যানেল ছিল না।

যে কয়টা ছিল বেশীর ভাগই পে-চ্যানেল। সে যাই হৌক প্রযূক্তির উন্নয়নে তথা সফট্ওয়্যার ডেভলপের কারণে MPEGAV হতে অনেকটা শর্টকার্ট হয়ে Flash Format Video ডাটা চালু হয়েছে। আগে যেখানে ১০ মেগাবাইট লাগত এক মিনিট ভিডিও দেখার জন্য এখন বিভিন্ন ফ্ল্যাশ ফর্মাটে ২.৫-৩.৫ মেগাবাইটস হলেও ১ মিনিটের ভিডিও দেখা যায়। সেক্ষেত্রে পূর্বের 256 KBPS এর স্থলে ৮৬ KBPS স্পীড হলেই শতাধিকের উপর বিভিন্ন দেশের লাইভ অনলাইন টিভি চ্যানেল সমূহ দেখা যায়। তবে চমকপ্রদ ব্যাপার হচ্ছে বেশ কিছু রাশিয়ান অনলাইন লাইভ টিভি চ্যানেল সহ আরো কয়েকটি দেশের টিভি কোম্পানী গুলো এমন ভিডিও ডাটা ফরম্যাট বের করেছে যেখানে নেট স্পীড মাত্র 116 kbps তথা 14.5 KBPS হলেই তা ক্যাবল টিভির মতই নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে দেখা যায়।

খবর, গান-মিউজিক, জেনারেল, চিল্ড্রেন, এন্টারটেইনম্যান্ট, স্পোর্টস, মূভি ইত্যাদি নানা ক্যাটাগরির চ্যানেল দেখা যায়। বিশ্বের ৭৭টি দেশের সরকারী-বেসরকারী ৮০০টিরও অধিক চ্যানেল দেখা যায় http://www.ontvtime.com এর সৌজন্যে। বিশ্বাস না হলে আপনারা ট্রাই করুন। [বিঃদ্র-আমি মনে করি ২০০৫ সালে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে সংযূক্ত হওয়ার পর বর্তমানে বাংলাদেশে কোন ব্লগারের নেট স্পীডই 16 KBPS এর নীচে নয়। ধন্যবাদ সেই সকল রাশিয়ান সহ অন্য কয়েকটি দেশের টিভি চ্যানেল গুলোকে।

যদি বাংলাদেশের সরকার বর্তমান সাবমেরিন ক্যাবলের নিজেদের জন্য 3 GBPSব্যান্ডউইধ রেখে দিয়ে বাকী 17 GBPS জনগণের জন্য ছেড়ে দেয় তো ৩০-৫০ লক্ষ নেট ব্যাবহারকারী গড়ে সর্বনিম্ন 32 KBPSহতে সর্বোচ্চ 128 KBPS স্পীড পাবে। এর সাথে মায়ানমার সহ আরো কয়েকটি সাবমেরিন ক্যাবলের সাথে বাংলাদেশ যেন যূক্ত হতে পারে সেই উদ্যোগ এখন থেকেই সরকারের নেওয়া উচিত। এ সমন্ধে আমার একটি আর্টিকেল আছে Click This Link ]
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.