আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

১/১১ এর পট পরিবর্তনে কূটনীতিকদের 'ভূমিকা' ছিল না: মেইকে

আমি কিছুই লিখব না।

বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ফখরুদ্দীন আহমদ নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশংসা করেছেন বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্ক মেইকে। নবম সংসদ নির্বাচনের প্রশংসা করে এটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে সহায়ক হয়েছে বলেও মনে করেন মেইকে। জার্মান দূত রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে 'মিট দ্য প্রেস' অনুষ্ঠানে বলেন, বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলের গণতান্ত্রিক কাঠামোগত সংস্কার এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাংলাদেশে স্থিতিশীল গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন করেছে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে গত জাতীয় নির্বাচন ইতিবাচক অবদান রেখেছে।

তবে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি দেশে জরুরি অবস্থা জারির পেছনে কূটনীতিকদের কোনও ধরনের 'ভূমিকা' ছিল না দাবি করে মেইকে বলেন, "জরুরি অবস্থা জারির পর আমরা তা সমর্থন করেছি মাত্র। "ওই সময় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো পরিবেশ না থাকায় এর চেয়ে ভালো কোনো সমাধান ছিল না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি সদস্য দেশ মনে করছিল, তখন নির্বাচন হলে খারাপ কিছু ঘটতে পারত। " এ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, "জরুরি অবস্থা জারির প্রেক্ষাপটে আমাদের শুধু এটুকুই ভূমিকা ছিলো- আমরা এ ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ ও অবস্থানের কথা জানিয়েছিলাম। " ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা ছিল।

এর আগেই ১১ জানুয়ারি জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। ওই সময় ফ্রাঙ্ক মেইকে বাংলাদেশে ইইউ প্রেসিডেন্সির প্রতিনিধির দায়িত্ব পালন করছিলেন। এমন এক সময় জার্মান দূতের এই বক্তব্য পাওয়া গেলো যখন ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলগুলোর কেউ কেউ ১/১১ এর পট পরিবর্তনের নায়কদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি তুলেছেন। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে মেইকে বলেন, এ ব্যাপারে তার দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্যান্য দেশের মতামত হলো-সব যুদ্ধাপরাধীরই বিচার হওয়া উচিত, তারা যেখানেই থাকুক না কেন। বিদায়ী জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য এই মুহূর্তে 'ইতিবাচক' রাজনৈতিক সংকেত প্রয়োজন।

বাংলাদেশকে এখনো 'বন্যা, দারিদ্র্য, দুর্নীতি, বারবার লোডশেডিং এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার দেশ' হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। জার্মান বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ বিপুল সম্ভাবনাময় একটি দেশ। তবে এজন্য 'ইতিবাচক' পদক্ষেপ নিতে হবে। জার্মানিতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পকে একটি সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।