আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সূর্যগ্রহন দেখা হলো না, টেলিটকের নতুন অফারের বিলবোর্ড দেখেই ফিরে আসতে হলো...



গত পরশু ছোটভাই, গল্পকার শাকিল ফারুকের ফোন। ভাই, কাল আপনাদের এলাকায় আইতাছি। আপনাদের এলাকার কোন একটা সংগঠন শতব্দীর শেষ পূর্ণসূর্যগ্রহন দেখাইবো। দেখতে আমু। আমি শাকিলকে একটা নয় একাধিক গ্রীণসিগন্যাল দিলাম।

আসো। এমন একটা ভাব করলাম হুম আমারও এই বিষয়ে ব্যাপক আগ্রহ। কিন্তু এইসব শতাব্দির শেষ প্রথম এসব কোনো বিষয়ে আমার তেমন আগ্রহ নেই। কারন আমার মনে হয় এগুলো শতাব্দির শেষ প্রথম বললেও এগুলো পাঁচ দশ বছরে বেশ কয়েকবার হয়। তবে এটা পত্রিকাতে পড়ে শেষ পর্যন্ত কিছু আগ্রহ জন্মালো।

যাই হোক গতকাল প্রায় মধ্যরাতে শাকিল ফারুকের আগমন। তবে যেহেতু শাকিল কোথাও একা যায়না তার লেখার প্রয়োজনে আরো দুয়েকজনকে নিয়ে ঘুরে। এতে তার লেখার বৈচিত্র বাড়ে বলে সে মনে করে। তাই তার সাথে আগমন তরুণ কবি পিয়াস মজিদ এবং তরুণ সাংবাদিক আপেল মাহমুদ। তিনজন আর আমি ব্যাপক উত্তেজনা নিয়ে রাতভর বসে আছি একটা দিনের অপেক্ষায়।

সূর্যগ্রহন হবে আমরা দেখবো। যতটা দেখার আনন্দ তারচে বেশি দেখে মানুষকে কীভাবে বলবো সেই আনন্দে বিভোর আমরা। সারা রাত না ঘুমানোর প্ল্যান করে শেষরাতে তিনজন ব্যাপক ঘুমে অস্থির। যাক তারপরেও মোবাইল এলার্মের বদ্যানতায় জাগলাম। ওঠেই হুড়োহুড়ি করে ওঠে গেলাম নির্দিষ্ট স্থানে।

গিয়ে হতাশ। কেউ নেই। হায় হায়। সবাই কী দেখে চলে গেলো? হতাশ মনে চলে গেলাম। যাক।

সূর্যগ্রহনের জন্য তো আর খাদ্যগ্রহন থেমে থাকতে পারেনা। তাই চলে গেলাম হোটেলে। গিয়ে খাদ্যগ্রহন করে ফেরার পথে দেখলাম লোকজন জমছে। আমাদেরও কিছু আশা জমা হলো। আমরাও তাদের কাতারে শরিক হলাম।

আর অপেক্ষায় রইলাম। কিন্তু যে মেঘের ঘনঘটা তাতে আমাদের চেহারায়ও মেঘের আনাগোনা লক্ষ্য করা গেলো। শাকিলের চেহারাতো ব্যাপক অন্ধকার। কিন্তু তারপরও অপেক্ষায় ছিলাম আকাশে সূর্য ওঠবে এবং শাকিলের হাসি ফুটবে। হাসিফুটবে এখানে আগত সকলের।

স্কুল থেকে জোর করে নিয়ে আসা ছাত্রীগুলোর। তাদের শিক্ষকদের। দুই জোড়া দম্পতির। এদের একজোড়া বড় ভাই সবুজ ভাইয়ের পরিবারেরও। কিন্তু সকল আশায় ছাই ঢেলে মেঘও কাটলো না।

সূর্যও ওঠলো না। দেখা হলোনা সূর্যগ্রহনও। তবে তারপরও আগত সকলে এক্সরে পেপারে তৈরি চশমা আর অনুমানের উপরে ভিত্তি করে সূর্যগ্রহন অনুভব করল, এই যে অন্ধকার হচ্ছে এখন বোধ হয় চলছে। এ্যাই এ্যাই আমি একটু দেখেছিসহ নানা কথাবার্তায় টের পাওয়া গেলো তাদের অনুভবের। তাদের দেখদেখি আমরাও গিয়ে আকাশের দিকে তাকালাম কিছুই নেই।

সামনে শুধু টেলিটকের নতুন অফার সমৃদ্ধ একটা বিশাল বিলবোর্ড। ৬৬ পয়সার হার্ট ব্রেকিং অফার। যা দেখে আমাদের হার্ট কিছুটা জোড়া লাগলো। আর জোড়া লাগলো কিছু সুন্দরী মেয়েদের দেখতে পেরে। যাক একটা কিছু তো হলো।

আজ না আসলে এই অফারটাও জানতে পারতাম না। সূর্যগ্রহণ তো ছুতো। তারপরও অনেকক্ষন অপেক্ষা করে চলে এলাম। যেই মেঘ, সেই কদু। কোনো ফল নাই।

টেলিটকের অফারটা ছাড়া। তবে শেষ পর্যন্তু শাকিল ফারুক হতাশা কাটলো না সে বারবার বলতে লাগলো, সূর্য আমাদের গ্রহন করলো না। সূর্য আমাদের গ্রহন করলো না। বুঝলাম এখান থেকে শাকিলও কিছু একটা নিয়ে যাচ্ছে। একটা শিরোনাম।

কোনো সন্দেহ নাই এই শিরোনামে দুয়েকদিনের মধ্যে শাকিল ব্লগে একটা পোষ্ট দেবেই। কারন লেখকরা কখনো খালি হাতে ফেরেনা। ছবি : ১. সেই একমাত্রপ্রাপ্তি দানকারি বিলেবার্ড। ২. তিন কমরেড শাকিল ফারুক, পিয়াস মজিদ এবং আপেল মাহমুদ ( ডান থেকে) ৩. স্কুল থেকে জোড় করে নিয়ে আসা ছাত্রীরা এবং কতিপয় সুন্দরী তরুণী।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।