আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ সন্ধ্যাটা মরণের......

"বাঙ্গালী জাতির গৌরবময় ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এবং জাতীয় সংস্কৃতির জন্য অপমানজনক কোনকিছু এই ব্লগে লেখা যাবে না। "শিহরণে সত্তায় তুমি, হে আমার জন্মভূমি"

একটা ধারালো ছুরি অথবা অগুণতি ঘুমের ঔষধ যে কোন একটার আশ্রয় নেবার বড় সাধ জাগে পাগলা হাওয়ার বিকেলে। নিদেনপক্ষে কোন হাইরাইজ বিল্ডিং এর ছাদের কার্নিশ দিয়ে নামিয়ে দেয়া যেত ক্রমচলমান বিষণ্নতার সিকি আধুলি তাহলেও মন শান্ত হতো। এ কান্নাকে রুথের বড় অপছন্দ। মধ্য তিরিশে এই শত মানুষের মাঝে একা হয়ে যাওয়া, কোন প্রিয় মানুষ ফোন রিসিভ না করা, দিনের পর দিন ওকে উপেক্ষা করে সময় না দেয়া রুথকে অপ্রকৃতষ্থ করে তোলে।

ইচ্ছে করে ভীষণ ধার কোন কিছু দিয়ে একটানে সব শেষ করে দিতে। আবেগের থরথর এ কম্পন অপর পক্ষে বিরক্তির পারদ বাড়াতেই সাহায্য করে। এত বছরেও রুথ কর্পোরেট হলো না, কর্পোরেট মানে সবকিছুতে বাণিজ্য, ঘরে একজন তো বাইরে একজন, কর্পোরেট মানে তুমি ধারাবহিকভাবে মারা যাচ্ছো সেই ছবিকে সিরিয়ালের মতো ধারণ করে "মৃত্যুকে লাইভ" টেলিকাস্ট করা কিংবা স্থির চিত্র বানানো। রুথ কেনাটাই পারেনি। ঘরে বাইরে সর্বত্র শুধু নিজের ফিটনেসহীনতা তার দু'চোখে দৌড়ানো স্বপ্নের সামনে টেনে দিয়েছে ঘন কালো পর্দা।

রুথকে "সে" বলেছিলো "আই'ল কল ইউ লেটার"; সেই লেটার আর আসেনি। রুথ অপেক্ষা করেছে। এখনো রুথ অপেক্ষা করছে ধারালো ছুরি হাতে - ভাবছে সে ফোনে রুথকে বারণ করবে এমন বিধ্বংসী না হতে। অথচ গহীন মনে রুথ জানে "রুথের থাকা না থাকাতে তার কিছু যায় আসে না"। তবু সাদামাটা রুথ "ভালোবাসার" সম্ভাবনা নিয়ে চোখের জলে নিজেকে ভাসিয়ে বোকা মানুষের দলে নিজেকে ভিড়িয়ে মৃতবত সামনে চলে অসম্ভব "ভারী" বেঁচে থাকাকে সঙ্গী করে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।