আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

যুদ্ধাপারাধীদের বিচার ও নিজামির আস্ফালন

Every emotion have a feelings. But every feelings have no emotion.

প্রথম আলো পত্রিকাতে (Click This Link)একটা খবর পড়লাম। জামাতি নেতা মাউলানা হারামি... থুক্কু নিজামি বলছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাদ দিয়া টিপাইমুখ বাঁধ নিয়া মাথা ঘামাতে। এই মাউলানারা গত ৬ মাসে অনেক খেলা খেলেছেন বা খেলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সফলতা তাদের নেই। তাই তারা বা তাদের দোসররা মিলে টিপাইমুখের কথা বলে সরকারকে এবং জনগনকে বিভ্রান্ত করার একটা চেষ্টা করছে।

যুদ্ধাপরাধী বলে জনগন যাদেরকে চিনে, তারা অধিকাংশই জামাতি। মালানা নিজামী নিজে একজন চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী তিনি নিজেকে এবং তার অনুসারীদের বাচানোর জন্য কথাটি বলেছেন বলে আমার ধারনা। তিনি আরো বলেছেন যে সরকার প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে খুশি করতে নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছে। কিন্তু কেন? ২৯ ডিসেম্বর মানুষ এই বিচারের পক্ষে রায় দিয়েছে, এমন নয় কি?? আমিতো মনে করি বাংলাদেশের ১৫ কোটি জনগন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য রায় দিয়েছে। মাউলানা নিজামি আরো বলেছেন যে বঙ্গবন্ধু নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে গেছেন।

তাহলে কেন পুনরায় বিচারের দাবি উঠবে আর যদি সত্যিই তিনি বিচার করে থাকেন তাহলে তার কোন প্রমান বর্তমান প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হচ্ছে না? জামাতিদের উচিত বিচার হয়েছে এমন প্রমান জনগনকে দেখানো। নাকি শুধু গা বাচানোর জন্যই নিজামী সাহেব এই বক্তব্য দিয়েছেন? এবং তাদের দোসরদেরকেও দেখি তাদের এই আপপ্রচারের সাথে যোগ দিতে। ইনাদের অহংবোধ এত বেশি হয়ে গেছে যে ইনারা বলেন এখন নাকি বিচার করা সম্ভব না। আবার তিনি আরো বলেছেন ৩৮ বছর পর যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করতে হলে সরকারকে নাকি মিথ্যা সাক্ষি সাজাতে হবে কিন্তু কেন? আমরা যারা স্বাধীনতা পরবর্তী প্রজন্ম তারা আজো স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানতে পারিনি কিন্তু যাদের সাহসী ভূমিকায় আমাদের এই দেশ স্বাধীন হল তারা কি চুপ করে থাকবেন? না তারা চুপ বসে নেই, বা থাকবেন না। যারা জীবন বাজী রেখে যুদ্ধ করেছেন অস্র হাতে, তারা এখন সাক্ষি না দিয়ে শুধু দেখতে থাকবে ঐ হায়েনাদের আস্ফালন এমনটি হতে পারে না।

দেশে এখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার জন্য আইন তৈরি করছে সরকার। অন্যদিকে বিচার যাতে না হয় তার জন্য অনেক বেড়াজাল তৈরি করা হচ্ছে। এই বেড়াজাল ভেঙ্গে বিচার কাজ যখন শুরু হবে, তখন অপরাধিদেরকে নির্দোষ বানানোর জন্য অনেকেই উঠে পড়ে লাগবে। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ আদৌ হবে কিনা তা এখনই সংশয় দেখা দিয়েছে। ভারত টিপাইমুখ বাঁধ বানাবে এবং সেটা আমদের জন্য কতটূকু ক্ষতিকর তা গবেষনার অধিকার রাখে।

কিন্তু টিপাইমুখ বাধ আর যুদ্ধাপরাধী বিচার সম্পূর্ন দুটি ভিন্ন বিষয় মাউলানা নিজামী তার বক্তব্যে দুইট বিষয়কে এক করার চেষ্টা করেছেন, কেন করেছেন তা আমি বা আমরা বুঝি। এই বিচার করলে মাউলানা হারামি... থুক্কু নিজামির ক্ষতিটা কি, যেখানে দেশের ৯০% মানুষ এই বিচার চায়। এই বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজামি নিজের দোষ শিকার করেছেন... তাই নয় কি??? তিনি তো নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন তাহলে যুদ্ধাপারাধীদের বিচার নিয়ে তার এত ভয় কেন? টিপাইমুখ বাঁধ নির্মানের বিষয়টা দেখবে আমাদের পানি সম্পদ এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। আর বিচারের কার্য দেখবে আইন মন্ত্রনালয় এবং মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়... তাইলে দুটাকে এক করে দেখা এবং মাউলানার বক্তব্য শুনে ঘটনাটা এমন নয় কি... ঠাকুর ঘরে কেরে, আমি কলা খাই না!!!!!!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.