আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এখানে রোদ্দুর, ওখানে বৃষ্টি...

তবু তুই রয়েছিস বলে, ঘাসফুলে জল দোলে...
(লেখাটা লেখেছে আমার জান) ওর প্রতি আমার রাগটা একটুও কমেনি। যে মানুষটা সব সময় বলতো, তুমি কোনো চিন্তা করোনা। আমরা অন্যদের মতো পালিয়ে কিছু করবোনা। আমরা যা করার সবার সামনে জানিয়ে শুনিয়ে ও দেখিয়েই করবো। সেই মানুষটাই কী জানি কি ভয়ে আমাকে নিয়ে চলে এলো এই দূরে... সবার অজানায়... ওর ভাষায় অন্যদের মতো করে।

যেদিন ওর দূর্বল অথচ দৃঢ় হাতদুটি ধরে আমি চলে এলাম তার দুইদিন আগে আমাকে দেখতে এসেছিলো। বরপক্ষ পছন্দও করেছিলো। কিন্তু কেন জানিনা, আমার মা তাদেরকে সরাসরি না করে দিলো। অথচ বেশ কয়েকদিন ধরে মা-ই কেবল বিয়ে বিয়ে করছিলেন আমার জন্য। সেদিন রাতেই আমি ওর কাছে সব বললাম।

সব শুনার পর ওর কন্ঠটা একেবারে অন্যরকম হয়ে গেলো। আমাকে বললো সকালেই দেখা করতে। সকালে অনেক বাধা পারি দিয়ে আমি ওর সাথে দেখা করতে এলাম। এসে দেখি ওর চোখ মুখ লাল হয়ে আছে। জিজ্ঞেস করলাম অসুখ করেছে কিনা।

বললো, না অসুখ করেনি। ওর আচরণ আমার কাছে খুব অস্বাভাবিক লাগছিলো। মনে হচ্ছিলো, ও আমাকে কিছু বলতে চায়। আমি এটা ধরে নিয়েই বললাম, কেন আসতে বলেছো? ও বলে, এমনিই! আমি তো থ! এমনিই তুমি আমাকে ডেকে এনেছো! কিচ্ছু বলার জন্য না! আমার মেজাজটা তখন এতো খারাপ লেগেছিলো... মন চাচ্ছিলো ওর চুলগুলো টেনে ছিঁড়ে ফেলি। একবার ধরেওছিলাম মাথায়... তখন জোরাজোরি করতে গিয়ে নাকের উপরে একটা খামছিও লেগেছে আমার স্যারের।

কারো সাথে দেখা হলে ওনার নাকের বাম পাশে একটু খেয়াল করে দেইখেন... ও সিরিয়াসলি কিছু বলছেনা। আবার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে, কী যেন ও বলতে চায়। এক সময় ও বলতে লাগলো। যা বললো তাতে তো আমার অবস্থা খারাপ! ভেবেছিলাম দুষ্টুমি করছে হয়তো। কিন্তু আমার ভাবনা ভুল প্রমানিত হলো যখন ও প্রথমবার আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে হুহু করে কেদে উঠলো! সত্যি বলছি ও শব্দ করে কেঁদে ফেলেছিলো! ও আমাকে বললো, জানি- তুমি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসো।

আর এ জন্যই তোমাকে বলছি- তুমি পরশু সকাল দশটায় এখানে আসবে। এবং অবশ্যই একেবারে। যদি ভাগ্যে থাকে, তাহলে আবার ফিরবো আমরা। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী ওকে বলা যায়। আমি চুপচাপ ওর কথা শুনছিলাম।

বলছিলাম না কিছু। এক পর্যায়ে ও আমাকে বললো, আমি এক দুই তিন পর্যন্ত গুণবো। এর মধ্যে তুমি হ্যঁ বা না বলবে। ব্যস... এটুকু বলেই ও গুণা শুরু করলো। কিছু ভাবার সময়ও ও আমাকে দিলোনা।

অবশ্য আমার আলাদা করে ভাবার কিছু ছিলোও না কখনো। ওর ডাকে আমি হ্যাঁ বললাম। ও প্রথম দিনেই দ্বিতীয়বারের মতো জড়িয়ে ধরলো আমাকে। অনেকবার চেয়েও যা আমি ওর কাছে পাইনি, তা-ই ও আমাকে দিলো। একেবারে বিনামেঘে বৃষ্টির মতো! না না, বিনাসূর্যে রোদ..! ওর সাথে আমি চলে এলাম।

কোথায় এলাম আমি তা জানতাম না। ও জানতো। প্রথমদিন সম্ভবত ওর এক বন্ধুর বড় বোনের বাসায়। সে বাসায়-ই আমার স্বপ্নের বাসর এলো। কিন্তু স্বপ্নের মতো করে নয়... দ্বিতীয়দিন সারাদিন ও আমাকে নিয়ে ঘুরে বেরালো।

আমিও ঘুরলাম আমার প্রাণের স্বামীর হাত ধরে। যে হাতটা ও আমাকে ধরতেই দিতোনা। সেই হাত নিয়েই আমি সারাদিন খেললাম... ভাবতেই শিহরণ জাগে, ওর হাতদুটো এখন আমারও!! সারাদিন ঘুরে বেরানোর গল্পটা এক সপ্তাহ পরে বলবো... এরও আগে একটু কষ্টের কথা বলবো। আমার কষ্টের কথা না। আপনাদের এই ব্লগার বন্ধুর কষ্টের কথা... তবে আজ এখানেই শেষ করছি।

বেশি বড় লেখা নাকি বেশি পড়া হয়না... কথাটা আমাকে আপনাদের নীলতারাই বলেছে। আমি অবশ্য বিশ্বাস করিনি!! আমাকে ঠকানোর জন্য ও যা বলতে পারে সেগুলোর কথাও আরেকদিন বলবো... *পুনশ্চ: আমি আপনাদের সকলের কাছে আমাদের জন্য দোয়া চাচ্ছি। *
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.