আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টিপাইমুখের বলি ল্যাম্পপোস্ট এর আশিষ-প্রিন্সকে বাঁচাতে আওয়াজ তুলুন

যে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী কবি ও কেরানী প্রকাশ্য পথে হত্যার প্রতিশোধ চায়না আমি তাদের ঘৃণা করি

ল্যাম্পপোষ্ট কোন দলীয় রাজনীতি করে কিনা- জানিনা। ল্যাম্পপোষ্টের "মূর্খ" ছেলেমেয়েদের সম্পর্কে যতটুকু জানা যায়, ওরা রোদে পুড়ে বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য মানুষের কাছে ভিক্ষে করে টাকা সংগ্রহ করে, রাত জেগে স্যালাইন বানায়, ছায়ানট ভবনের জন্য তহবিল সংগ্রহে আবৃত্তি করে, টিএসসি'র দেয়ালে পা দুলিয়ে বসে গান গায়,ছাত্ররা আক্রান্ত হলে ঝাঁপিয়ে পড়ে, বস্তি পুড়ে গেলে সাহায্য নিয়ে হাজির হয়। অনেকেই যখন দোদুল্যমানতায় ভোগে, ওরা তখন মাথা গুঁজে নিজেদের কাজ করে যায়, ওদের কোন "ওপরের নির্দেশ" দরকার করে না। ভারতীয় হাইকমিশনের সামনে দুঃসাহসে শ্লোগান দেয়। যে বোকা ছেলে-মেয়েরা রাজনীতিতে দেশপ্রেম নামক ঢিলা-কুলুপের ক্ষেত্রফল জানেনা- তাদের কে বাঁচাবে! হ্যাঁ, আজ তাদের বাঁচা-মরার প্রশ্ন।

ভারতীয় দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করার কারণে তাদের গ্রেফতারকৃত আশীষ ও প্রিন্সকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে রিমান্ড কি জিনিস সেটা যারা না ভুগেছেন তারা অনুভব করতে পারবেন না। প্রথম আলো দেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদপত্র। তারা যখন এই সংগঠনকে "নিষিদ্ধঘোষিত" আর একটি সংগঠনের শাখা বা অনুসারী বলে ট্যাগিং করেছে, তখন এর পরে কি ঘটতে যাচ্ছে সেটা সহজেই অনুমেয়। কাউকে দিয়ে কথা বলানোর জন্য রিমান্ড এক ভয়ংকর ব্যবস্থা।

হয়ত আমরা দেখব দেশের জন্য মিছিল করা এই ছেলেগুলো নেই হয়ে গেছে! যে কাজ সরকারের করা উচিৎ সেই কাজ এই আত্মত্যাগী ছেলেগুলো করার কারণে যদি তাদের মৃত্যু ঘটে তাহলে টিপাইমুখের প্রতিরোধের আগে আমাদের সাহসী সন্তানদের জীবীত ফেরৎ চাই। ল্যাম্পাপোস্টের আশীষদের নিয়ে প্রথম আলোর চক্রান্তটা বুঝতে বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। আমরা চাইব আশীষ ও প্রিন্সকে যেন ক্রসফায়ার করা না হয়। আপনারা সবাই যদি সরব হোন তাতে হয়তো বাংলাদেশে বিপ্লব হয়ে যাবে না। হয়ত আমরা টিপাইমুখে বাঁধ দেওয়া ঠেকাতে পারব না।

কিন্তু দুইটা টগবগে তরুণতো বেঁচে থাকতে পারবে। খুনের দেশে বিপ্লবের চেয়ে মানুষ বাঁচানো কম গুরুত্বপূর্ণ না। আসুন আমরা এই দুটি ছেলের মুক্তির জন্য আওয়াজ তুলি। আমরা ফুলবাড়িতে, কানসাটে এরকম নাম না জানা অনেক ল্যাম্পপোস্ট কর্মীকে দেখেছি। তাদের আত্মত্যাগ দেখেছি।

আর কত আত্মত্যাগ করে এই মাটিকে সুফলা রাখতে হবে? আর কত জীবন অকাতরে বিসর্জন দিয়ে শ্বাস নেওয়ার বাতাস পেতে হবে? আর কত আশিষ প্রিন্সকে বাক স্বাধীনতার জন্য বলি হতে হবে? আর কত রক্ত বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে যাপিত জীবনকে পবিত্র করতে হবে?

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.