আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

উজবুকের বাচ্চাদের সংবাদ প্রতিদিন দেখি

অতি দক্ষ মিথ্যুক না হলে সত্যবাদিতা উৎকৃষ্ট পন্থা

সকাল থেকে মেজাজ খারাপ, দীপুমনি পিনাকের বক্তব্যকে কুৎনৈতিক শিষ্ঠাচারবহির্ভুত বলেছে এটা নিয়ে সরকার টালমাটাল অবস্থায় আছে। একজন কোনো একটি সভায় বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষদের সামনে তাদের শিক্ষার মান এবং যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললো, সেটা অশোভন এবং কুৎসিত একটা আচরণ। এটা দেশের মানুষ করলেও অশোভন এবং একজন কুৎনৈতিক এমন অশোভন আচরণ করবার পরও তাকে সম্মান করতে গিয়ে রাষ্ট্র যখন নতজানু হয়ে যায়, তখন সেটা আমার জাতিয়তাবোধকে আক্রান্ত করে। আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির পূত্র, তবে বাবার সদগুনগুলো জীনবাহিত হয়ে তার ভেতরে আসে নি, তার বক্তব্য রীতিমতো বিবমিষা জাগায় ইদানিং, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিষয়ে তার বক্তব্য যেমন অরাজনৈতিক, পান্ডাসুলভ হয়েছিলো, এবার তার বক্তব্য হয়েছে তিন ঠেঙ্গে ছাগলের মতো। অতীতে অনেক দেশের রাষ্ট্রদুত বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ব্যপারে এমন মন্তব্য করেছে- কিংবা দীপুমনির এমন বলা উচিত হয় নি জাতীয় ক্ষতের প্রলেপ বোধ হয় আমাদের মুখে চুনকালির মতো লেগে থাকবে ভবিষ্যতে।

দীপুমনিকে হয়তো আগামি মাসেই প্রধানমন্ত্রী অফিসে ডেকে নিয়ে নিজের বক্তব্যকে আরও সংযত করবার নির্দেশ দেওয়া হবে , কিংবা এই নির্দেশ হয়তো পৌঁছে গেছে দীপুমনির কাছে। অতীতে যারা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মন্তব্য করেছে কিংবা রাজনীতির লক্ষ্য কেমন হবে এসব নিয়ে বক্তব্য দিয়েছে, সেটা দিয়েছে কারণ আমরা আমাদের হোগার কাপড় তুলে পোঁদ মারতে দিয়েছিলাম তাদের। হোগা খোলা রেখে যদি কুৎনৈতিক শিষ্ঠাচার না মেনে কেউ হোগা মারে তাহলে সেটাতে আহত হওয়া অনুচিত মানি কিন্তু রাজনৈতিকদের হোগা এত বেশী অসার, মারবার পরেও খোঁজ হয় না, যখন পত্রিকায় ছবি ছাপা হয় তখন তাদের হুঁশ হয়, আরে যা শালা মুফতে আমার হোগা মেরে গেলো, বুঝতেই পারলাম না। তারপর তারা পেপারের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করে, হোগা মেরেছে মেরেছে, আমি তো বুঝতেই পারি নি কিছু, ব্যাথাও পাই নি, কিন্তু আমার হোগা মারা গেলে তোমার হোগা জ্বলে কেনো? শালা রাষ্ট্রদ্রোহী তোমার পেপারে সরকারী বিজ্ঞাপন যাওয়া বন্ধ। সরকারের এমন উজবুক আচরণের কোনো হেতু নেই।

তাদের লজ্জা কিংবা হায়া নামক বোধ অনুপস্থিত, তাদের জাতীয়তাবোধের অনুপস্থিতি এটা নিশ্চিত করে না যে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের এই বোধগুলো অনুপস্থিত। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ল্যাম্পপোষ্ট নামের একটা সংগঠন ভারতীয় দুতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করে, ল্যাম্পপোষ্ট নামক কাগুজে সংগঠনের পেছনে যারাই থাকুক না কেনো, তাদের অবস্থান ধর্মঘট কিংবা অন্য সবকিছু হওয়া উচিত ছিলো বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সামনে, ভারতীয় দুতাবাসের সামনে বসে বিক্ষোভ কোনো কাজের কথা নয়, তবে এই বিক্ষোভের কারণে পিটিয়ে চামড়া ছিলে ফেলা ও রক্তাক্ত করে প্রতিবাদ বিক্ষোভদমন দেখে মনে হলো আমরা এখন বসবাস করছি লালগড়ে, সেখানে মাওবাদী তৎপরতা বেড়েছে, বেড়েছে স্পেশ্যাল ফোর্সের আনাগোনা, কিন্তু আমরা বাঞ্চোত বাঙ্গালীরা কবে সৈয়দ আশরাফুলের হোগায় লাথি দিয়ে বলতে পারবো , খাঙ্কির পোলা অনেক আওয়াজ দিছো, এইবার একটা কথা কও, যদি আগে কেউ কুৎনৈতিক শিষ্টাচার লঙ্ঘন করে থাকে, তবে এটাকে বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত কুৎনৈতিক আচরণ মেনে নিতে হবে? এবং এই বিষয়টা নিয়ে সরকারের ভেতরে যারা উদ্বিগ্ন ভারতের সাথে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যাবে এমন বিবেচনায়, ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে গিয়ে কেউ কি বলে আসবে, এরপর তারা যেনো রাজনৈতিক দলের গুন্ডা না একজন অন্তত সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান সম্প্ন্ন কাউকে বাংলাদেশে কুটনৈতিক হিসেবে পাঠায়। এরা যদি পুলিশ এবং রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বলয়ে না থাকতো তবে অন্তত এমন অশোভন আচরণের জন্য তাকে চটকানা মারবার কিংবা হোগায় লাথি মারবার মানুষের অভাব হবে না।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।