আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ফল্পঃ বাংলা ভইন আর নামের দৃষ্টিকটু বানানের ধারা বর্ণনা

দিনে চাকরী করি আর ব্লগাই।

[বাংলা ভইনের সাথে আমার কুন সম্পর্ক নাই। বাংলা ভইনরে কষ্টও দিতে চাই না। কিন্তু, আমার কাজিন আমাকে এই পোস্ট দেখিয়ে দেয়ার পর আমি হাসতে হাসতে শেষ। ত, অতি সামান্য একটা ফল্প লিখলাম, এই ফল্পে কিছু কিছু জায়গায় আমার কাজিনেরও ভূমিকা ছিল।

] ত আমাগো বাংলা ভইন যখন ছিল ছোট, মানে ক্লাস টু তে, তখন তার স্কুলের হেড স্যার ছিল মতিন_মিয়া। ত, সেই মতিন_মিয়া ছিল খুবই রাগী। সে আমাদের বাংলা ভইনের পরতিভা বুঝতে পারে নাই। বাংলা ভইন ক্লাস টু এর পরীক্ষায় প্রশ্নের উত্তর না দিয়া বিভিন্ন চাপাবাজী মেরে আসত। পরপর তিন সেমিস্টার একই কাহিনী।

এটার যে কী মূল্য সেটা মতিন_মিয়া বুঝল না। মতিন _মিয়া তার পিতামাতা রে তলব করল আর হুমকি দিল যে বাংলা ভইনকে বহিষ্কার করা হইবেক। ত বাংলা ভইনের পিতামাতা খুবই ভাল আর সাধাসিধা মানুষ। তারা বড়ই টেনশনে পড়ল দেখে মতিন_মিয়া তাদেরকে একটা ম্যাডামের ভিজিটিং কার্ড দিলেন। “মিস কামরূপকামাখ্যা, হিমালয়ের ৭৬১ নম্বর গুহা (উপর থেকে গুনতে হবে) , ৩৫ নম্বর ধ্যানরত ব্যক্তি (বাম দিক থেকে ৩৬ নম্বর)।

” এই ম্যাডাম নাকি বাংলার বিশাল মহারথী। বাংলায় সিদ্ধি লাভের আশায় উনি হিমালয়ের গোপন গুহায় আজকে ৫৬ বছর ৫৬ মিনিট ধরে ধ্যান করছেন। আগামী পূর্ণিমায় তার ধ্যান ভাঙবে। ত সেই ম্যাডামই শুধু পারেন বাংলা ভইনের বাংলার হালুয়া অবস্থাকে রসমালাই বানাতে। এইটা শুনে বাংলা ভইনের পিতামাতা বাংলা ভইনের বাংলায় ভাল রেজাল্টের আশা ছেড়েই দিলেন।

কারণ, হিমালয়ের ৭৬১ নম্বর গুহা তারা কখনও খুঁজে পাবেন বলে বিশ্বাস করেন না। যাই হোক, বাংলা ভইনের তখন জেদ চেপে গেছে। সে অনেক টাকা দাম দিয়ে একটা বই কিনল। সে বই হল দুনিয়ার সকল জ্ঞানের ভাণ্ডার, বইয়ের নাম “সামহোয়েরইনব্লগ” । এখান থেকে অনেক মনিষীর লিখিত জ্ঞান লাভ করে সে সেই ম্যাডামকে তলবের জন্য টেলিপ্যাথির প্র্যাকটিস শুরু করল।

পুরা হড়ড় অবস্থা। অবশেষে এক আমাবস্যা পরে তার সাধনা সমাপ্ত হল। তার ম্যাডাম এসে হাজির। এরপর শুরু হল তার ট্রেইনিং। মানে, এটাও পুরা হড়ড় অবস্থা।

মানে, প্রইদিন প্ল্যানচেটে বড় বড় লেখক যেমন, ম্যাডামের বড় খালা, মতিন_মিয়ার দূর সম্পর্কের শালা ইত্যাদি বড় বড় লেখকের সাথে মত বিনিময় করা শুরু হল। বাংলা ভইনে বাংলা জ্ঞান তখন নদীনালা খালবিল ছাড়িয়ে বিদেশ ঘুরে আবার দেশে এসে পৌঁছে গেছে। এরপর থেকে ক্লাস থ্রীতে উঠে দেখা গেল বাংলা ভইনের কীর্তি। সে এখন আর প্রশ্নের উত্তর দেয় না, উত্তরের জায়গায় লেখক সমালোচনা লিখে। এই সব দেখে মতিন_মিয়া বড়ই বিরক্ত।

এইটা নিয়ে সে বাংলা ভইনকে ধমক দিলে বাংলা ভইন উলটা “মতিন_মিয়া” নাম উচ্চারণে (_) থাকলে শুনতে খারাপ লাগে বলে গুজব ছড়িয়ে দেয়। বেচারা মতিন_মিয়া আজাইরা ঝামেলাতে বড়ই বিরক্ত হ্যে পদত্যাগ করে। যদিও জাতি তাকে আশা করহিল, কারণ, তার প্রতি অবিচারটাই বোধহয় সবার চেয়ে বেশি চোখে পড়েছিল। যাক, কামেল সাধনায় বাংলা ভইন লেখকদের গুষ্টি উদ্ধার করে এখন পর্যন্ত বাংলায় হায়েস্ট মার্কস পেয়ে এসেছে। এখন বাংলা ভইন এইটে উঠছে।

সে আর লেখক সমালোচনা করার জন্য লেখক পায় না। সবাইকেই সে দুই হাত দেখে নিছে। ত, কী করবে ভাবতে ভাবতে তার খেয়াল হল সেই পুরানো বইটা। সকল জ্ঞানের ভাণ্ডার, “সামহোয়েরইনব্লগ ” । ঐখানে অনেক মনিষীর নাম দেখে এবার সে উৎসাহিত হয়ে উঠল।

ভাবল লেখক নাই ত কী, এইবার মনিষী সাইজ করা হউক। ত যেই ভাবা সেই কাজ। সে ঝাপায়া পড়ল বিখ্যাত আর জ্ঞানী মনিষীদের উপর। তাদের শৈল্পিক নামের(!! সবারটা না কিন্তু) দফারফা করে সে একটা দৃষ্টিকটু বানানের লিস্ট দিল। এর রক্তাক্ত প্রতিবাদ করায় আশাড়ের ফুল কে ব্লক মারল, শবাক কে ব্লক মারল, আরও কাকে যেন মারল।

শুধু সেইখানেই শেষ না, মাঝখান দিয়ে আংড়েজীতে কাকে যেন ঝাড়িও দিল। পরে তিন চারজন বুহায়া বলল, অনেক হইছে, এইবার সবার কাছে ক্ষমা চাও। তাইলে তোমারেও আমরা আমাদের মতন একজন মনিষী মেনে নিব। ত, সে ভাবল, “সাইজ ত করেই দিছি, আমি ত দেখিইয়েই দিছি যে ম্যাডাম আর আমার সামনে দুনিয়ার কেউ দাঁড়াতে পারবে না, তাইলে না হয় ক্ষমা চেয়েই নেই। ” কিন্তু, কিন্তু এবং কিন্তু, সেই ক্ষমা চাওয়ার মাঝেও ক্ষমা চাওয়া শেষে সে সেই পুরানো দৃষ্টিকটু নামের তালিকা ঢুকিয়ে দিল।

এক মহান বিদ্বুষী ঝেরী প্রথম আবিষ্কার করে ফেলেন যে, বাংলা ভইন এইখানেও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়। এরপর জনগণ সোচ্চার হল। আর, এদেরই মাঝে দুইজন এই ফল্প লিখতে বসল। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নাকি সেই লিস্ট মুছে দেয়া হয়েছে। মাঝখান দিয়ে একটা ছোট্ট ঘটনা বলি।

বাংলা ভইনের ডাক নাম হল “ মাংকি ”। ত বহুকাল পড়ে তার ম্যাডাম মিস থেকে মিসেস হয়েছেন। বাংলা ভইন তাদের বাসায় বেড়াতে আসলে তার হাজবেন্ড বাংলা ভইনকে জিজ্ঞাসা করলেন, “ তোমার ম্যাডাম কী করে? ” বাংলা ভইন বলল, “ ম্যাডাম, হাশেম কে আদর করতেছে। ” শুনে ম্যাডামের হাজবেন্ডের আক্কেল গুরুম। হাশেম তাদের পাশের বাসার নতুন প্রতিবেশী।

তার সাথে এই কাজ। ছিঃ ছিঃ। ভদ্রলোক তখনই কষ্ট পেয়ে ঘর ছাড়লেন। মনে দুঃখে হিমালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা করলেন। মিসেস কামরুপকামাখ্যার ত আর দুঃখের শেষ নাই।

তিনি কাঁদতে কাঁদতে পাগলপারা। ত, যাই হোক, একদিন উনি বাংলাভইনের সাথে শপিং করতে যেয়ে উনার হাজবেন্ডের দেখা পান। উনি হিমালয় থেকে এসেছেন গতকালই। তিনি ম্যাডামকে খুব একটা ঝাড়ি দিলেন, বললেন, মাংকি সব ঘটনার সাক্ষী। ত, মাংকি তথা বাংলা ভইনকে ভালভাবে জিজ্ঞাসা করে যা জানা গেল, তা হল, ম্যাডাম আসলে বড়ই ভদ্র মহিলা।

উনি হাশেম না বরং হাশেমের দুই বছর বয়সী বাচ্চা ছেলে কাশেমকে আদর করতেছিলান। কিন্তু, বাংলা ভইনের কাছে কাশেম নামটা দৃষ্টিকটু হওয়াতে উনি কাশেমের জায়পগায় হাশেমের নাম বলেন। [সকল চরিত্র কাল্পনিক। ]

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।