আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের দুইজন ভবিষ্যত চলচ্চিত্রকারের সত্যিকারের ফেসবুক কথোপোকথন

sorry vai চলচ্চিত্রকার ২: good morning valo acish? tor vetor ja jege uthche tar shathe akta jinish jog kora dorkar sheta holo shomaj o rajniti shochetonota jar ovab ache tor ata kub joruri r pashapashi porashona diverse sector a knowledge gather kora ata shangbadikotay o dorkar akjon purnango manush hobar jonnou joruri adike aktu nojor de dost চলচ্চিত্রকার ২: hm. but amar asole bd somporke temon kono feelings nai ফিলিংস হবেওনা কোনদিন। আমি শুধু গল্প ভালবাসি। সাফল্যের গল্প, অনুপ্রেরণার গল্প। আর আমি আসলে ইউরোপিয়ান কালচারটা এশিয়ান কালচারের চেয়ে বেশি প্রেফার করি। যাকগে, পার্সোনাল ব্র্যাণ্ডিং এর একটা নতুন ধারা আছে।

সেটা হচ্ছে সিঙ্গেল স্পেশিয়ালাইজেশন। রজার এবার্টের নাম শুনছ নাই? বিশ্বের গ্রেটেস্ট মুভি ক্রিটিক। উনি যদি দুনিয়ার আর কোন বিষয় নাও বুঝে তবুও উনার ভ্যালু এবং এক্সপার্টিজ কিছুমাত্র কমবে না। মূলত ইউরোপিয়ান কমিউনিটিতে এই ধরনের সিঙ্গেল বিশেষজ্ঞতার পরিমাণ বেশি। বিডিতে কম।

বিডির পাবলিক সব একলগে হইতে চায়। এটা আমার ভাল লাগেনা। আমার কথা হচ্ছে আমি যদি নাপিত হয় তবে আমি ওয়ান অফ দ্যা গ্রেটেস্ট নাপিত হতে চাই। অন্য কোন ব্যাপারে আমার নলেজ এবং ইনভলভমেন্ট জিরো থাকলেও আমার আপত্তি নেই। যেমন: জন পল ডিজোরিয়া।

যাকগে, এটা আসলে আমার ব্যক্তিগত প্রেফারেন্স। আমি জাস্ট স্বপ্ন, অনুপ্রেরণা এ বিষয়গুলো নিয়েই পুরোপুরি থাকতে চাই। অন্য কোন দিকে যেতে চাই না। আর এ বিষয়গুলোতে ইউরোপিয়ানরা অনেক এগিয়ে। সেল্ফ-হেল্প ইন্ডাস্ট্রিকে ওরা এত বেশি দূর নিয়ে গেছে যে সারা জীবন স্টাডি করেও মানুষ শেষ করতে পারবে না।

আমি চাই আমার ব্র্যাণ্ডিং ওটাই হোক। যেমন: অ্যান্থনি রবিনস। আর ব্রিটিশ শিক্ষাবিদ ‘কেন রবিনসন’ আমাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করে। উনি ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে নাইট উপাধি পেয়েছেন শিক্ষা ক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য। উনার মূল বক্তব্য কি জানছ? ‘স্কুল ও একাডেমিক শিক্ষা মানুষের সৃজনশীলতাকে ধ্বংস করে’ হুম, এটাই সত্য।

বিশ্বাস না হলে গুগলে সার্চ দিয়ে দেখ। পুনশ্চ: এটা আমার ব্যক্তিগত প্রেফারেন্স। আমি চাই না কেউ আমাকে বিশ্বাস করুক জোর করে। কারও ভাল লাগলে আমার কথা শুনবে, না লাগলে শুনবে না। বাংলাদেশের একজন লোকও যদি কেন রবিনসনের কথা বিশ্বাস না করে তবে তার কিছু যায় আসে না।

চলচ্চিত্রকার ১: তোর কথায় লজিক আছে। লজিকের একটা বড় দূর্বল পয়েন্টও আছে। সেটা হল, তুই যতগুলো উদাহরন টানলি তার মধ্যে একজনও ফিল্ম মেকার ছিলেন না। তুই যদি ভাল সিনেমাটোগ্রাফার হতে চাস তাহলে ঠিক আছে, ভাল এডিটর হলে ঠিক আছে। কিন্তু ভাল ডিরেক্টর হতে চাইলে ঠিক নেই।

ভাল ডিরেক্টর একজন ভাল লেখকও বটে। সাহিত্যিক লেখেন কলমে, আর ডিরেক্টর সেলুলয়েডে। আমাদের সত্যজিত বাবু কিন্তু একজন শক্তিমান লেখকও ছিলেন। জেমস কেমেরুনও কিন্তু রাইটার হিসেবে অনেক ভাল। যে ভাল লিখতে পারে সে ভাল গল্পও বলতে পারে কাগজে ও পর্দায়।

আর আইডিয়া ফর্মেশন হয় জানা থেকেই। কেমেরুনের অ্যামিস্টাড দেখলেই বোঝা যায় যে কতটা রাজনীতি ও ইতিহাস সচেতন উনি। রিডলি স্কট এর গ্লাডিয়েটর এর স্ক্রিপ্ট কিন্তু এমনি তৈরী হয়নি। আর আমির খানের লাগান এর স্ক্রিপ্ট আর থ্রি ইডিয়ট এর সমাজ সচেতন ডায়লগ কিস্তু শুথু মটিভেশন থেকে আসেনি। এগুলো সবই সচেতন মনের অব্যাক্ত কথা।

যাই হোক, জানার কোন বিকল্প নাই। হুমায়ূন আহমেদ এত জানতেন বলেই সমসাময়িক আর কেউ ধারে কাছে আসতে পারেনি। সুনীল শমরেশ কিন্তু সমাজ ও রাজনীতির কাছে দায়বদ্ধ। আর মটিভেশন কেন, কার জন্য‌? নিশ্চয় সমাজে এত শোষন বলেই আমাদের এশিয়ানদের এত মটিভেশন লাগে্। তোর ইউরোপিয়ানদের এতটা লাগেনা, কারন এদের শোষন কম।

আমরা স্বজাতীকে যতটা শোষন করি পৃথিবীর আর কেউ করেনা। তাই আমদের সাহিত্য এত বেশী হাহাকার পূর্ণ। আমাদের সিনেমাগুলো নিশ্চয় ইউরোপের কথা বলবেনা, আামদের চলচ্চিত্র আমাদের কথাই বলবে, আমাদের ভাষায়। তবেই আমরা বলতে পারব যে আমরা সফল। আমরা কিছু করতে পেরেছি।

সত্যজিতের হীরক রাজার দেশে আরেকবার দেখিস, দেখে আরেকবার ভাবিস যে আমাদের চলচ্চিত্রের ভাষাটা কি হওয়া উচিত, আমদের কাছে আমাদের মানুষের কাছে চাওটা কোথায়। আমরা একই মঞ্চে কাজ করব কাধে কাধ মিলিয়ে। তাই আমাদের পরস্পরের ভাবনার জায়গা গুলোও বোঝার দরকার আছে। আমরা আমিন্টাড বানাব, তবে সেটা আমাদের এশিয়ান এমিস্টাড, ইউরোপিয়ান নয়, আমরা এভাটার বানাব, সেই এভাটারে এশিয়ান মানুষের জয়টাকেই দেখাব। ইউরোপ আমাদের প্রেরণার জায়গা হতে পারে, অনুকরনের নয়।

রবীঠাকুর কিন্তু পশ্চিম থেকে অনেক নিয়েছেন, কিন্তু সব শেষে যে বধূয়ার কথা বলেছেন সে কিন্তু আমাদের চিরচেনা বাংলার বধুর কথাই। এটা তর্ক না, বিতর্ক। ভাল লাগল। এভাবেই ভাবনাগুলো শাণিত হবে। পুনশ্চ: ইতিহাস আমাদেরকে জানায় আমরা কে, আর রাজনীতি শেখায় আমাদের ভূমিকা কি।

পেছনে ইতিহাসের গহীন থেকে আমরা আলো সংগ্রহ করি আর সে আলো দিয়ে আমরা রাজনীতি নামক উটের পিঠে দীর্ঘ মরুময় পথ চলি। রাজনীতি মানেই তো সংবিধার আর গণতন্ত্র নিয়ে সুদীর্ঘ বিতর্ক নয়, আমরা যেভাবে জোস্নার সৌন্দর্য দেখব, কিভাবে ফুলের ঘ্রাণ নেব এটাও রাজনীতিই ঠিক করে দেয়। আমাদের অজস্র মানুষ চাদ দেখে বিমোহিত হতে পারেনা। কারন রাজনীতি তাদের সে আকাঙ্খা কেড়ে নিয়েছে চির দাসত্নের শিকলে বেধে রেখে। আমরা যত বেশী রাজনীতি ও সমাজ সচেতন হবো তত বেশী সংখ্যক মানুষ জোস্নার সৌ্স্দর্যের ভাগ পাবে।

আমরা লাঙল নিয়ে মাঠে নামলে সেটাও রাজনীতি, আমরা ক্যামেরার ট্রিগারে চিত্রের বুলেট ছুড়লে সেটাও রাজনীতি। রাজনীতি খালি পণ্টনে গিয়ে করলেই হয়না, একটা ক্যারভাসে একটা মোনালিসাও কিন্তু একটা সুন্দরের রাজনীতি! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.