এগুলো ২০০২-২০০৩ সালের হবে। পুরাতন ডায়রীতে পাওয়া। বেশির ভাগই অসম্পূর্ণ।
১।
মানুষগুলো লাইনে দাড়িয়ে থাকে স্থির,
আলোর শিখা হাতে উঠে আসে স্থবির কবর;
তবুও নড়েনা মানুষগুলো, এলোমেলো অস্থির
পথে হেঁটে হেঁটে আসে নিপুন গর্ত-
তারপর একের পর এক ফুরিয়ে যেতে থাকে,
মুছে যেতে থাকে তার ধূলোর পথের পায়ের চিহ্ন।
২।
শষ্যের ক্ষেত জুড়ে পরে আছে মৃতের দল,
মাকড়শার জালে বুনা জীবনের অদ্ভুত কৌশল;
পথের মাঝে হারিয়েছে পথ দীর্ঘ সঙ্গম শেষে
হারাবার পর সে আবার হারাতে চায় বারবার ফিরে এসে।
৩।
আমি চায়া দেখি আমার বুকের মাঝে
নিরুদ্দেশ ঢেউ, ঢেউ আমার সারা শরীরে উথাল পাথাল।
সোনার নাও ভাসায়ে আসে না তো চতুর নাবিক!
ডাকেনাতো এখনো সেই সন্ধ্যার ডাহুক!
বড়ো বেশি অবেলায় স্নান শেষে
সবুজ আঙিনায় নাড়ে বুকের মলাট;
সেলিমের বাপ তামুক টানে গোয়ালে বসে
সেও চায়া থাকে, বুঝিনা কি দেখে সে অমন করে!
নদীর পানি ছুঁয়ে ছুঁয়ে আমি স্নান করি
মাটির কলসে জল ভরি ডুবে ডুবে
কাতারে কাতারে মানুষ চায়া থাকে
আমারে গিলে গিলে খায় চউক্ষের মাঝে,
মাটির কলস ভেঙ্গে ফেলতে চায় খেজুরের রস....
৪।
এই যে এখানে,
পেন্সিলে আঁকা ছবি,
লেখা কত চিঠি!
গল্প, উপন্যাস, কবিতাগুলি!
সবকিছু মুছে ফেলার এমন একটা
ইরেজার কি আছে তোমার?
নিঃশব্দে বুকের গহীনে
নিষিদ্ধ নিঃশ্বাস,
পুরোনো স্বপ্নের অবয়ব,
মুছে ফেলা অশ্রুর সিক্ততা,
দ্বগ্ধ দীর্ঘশ্বাস কী মুছতে পারো?
নিঃশ্বাসে শরীরের ঘ্রাণ,
ঠোঁটে লেগে থাকা ঠোঁটের ছাপ,
ভেঙ্গে যাওয়া অতীতের শব
পরে থাকা পথে পায়ের চিহ্ন
কি করে মুছবে তুমি?
আমার নিঃশ্বাস ছুঁয়ে বলো -
কতোটা বিষণ্ণতা বুকে পুষে রাখো তুমি?
কতোটা অপূর্ণতায় তুমি ওমন উদাস?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।