আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডে-লাইট সেভিং আর ২০৫ মে.ওয়াট বিদ্যুত সাশ্রয়ের মূলা ঝুলিয়ে আর কতদিন?

বাংলাদেশ ব্লগারস এসোসিয়েশন সদস্য নং: ১০ । facebook.com/milton3d

বিদ্যুত লোডশেডিং সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে। ঘড়ির কাঁটা একঘন্টা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মহেন্দ্রক্ষণের সেই টিভি উপস্থাপকের ঠোঁটের বাঁকা হাসি দেখে আর বকবকানি শুনে মনে করেছিলাম, যাক এবার আমরা কি না কি পাবো!! হয়ত বিশাল কিছু অর্জন করে ফেলবো। কিন্তু আসল অর্জন কি হলো? এয়ারকন্ডিশন্ড রুমে বসে, একদিনে বিদ্যুত সাশ্রয়ের হিসাব শুনাতে এবং শুনতে ভালই লাগে। কিন্তু দেশের বাস্তব চিত্র পুরো আলাদা।

একঘন্টা পরপর বিদ্যুত লোডশেডিং করে একদিনে ২০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত সাশ্রয়ের খবর ধুয়ে পানি খেয়ে জনগন কি করবে? ঢাকা শহরের বেশীভাগ অফিস আদালতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকটি বাতি জ্বালিয়ে রাখতে হয়। কারণ অফিসের ভিতরে সূর্যের আলোর অপর্যাপ্ততা এবং কোন কোন অফিসে ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন। সচিবালয়ের কথাই উদাহরন হিসেবে দেখা যায়, সেখানে এমনও রুম রয়েছে যেখানে ভর দুপুরেও বিদ্যুত বাতি না জ্বালালে ঘুটঘুটে অন্ধকার হয়ে থাকে। এই ঘড়ির কাঁটা আগানো, ডে-লাইট সেভিং আর বিদ্যুত সাশ্রয়ের সাংবাদিক সম্বেলনের মূলা জনগনের সামনে না ঝুলিয়ে সরকারের উচিত ছিল বিদ্যুত অপব্যাবহারের জন্য কঠোর আইন ও তার প্রয়োগ করা। ঘড়ির কাঁটা আগানোর দিন থেকেই তো রাজধানীতে এক ঘন্টা পর পর বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে।

তীব্র গরমে মানুষের জীবন হাসফাঁস। কলকারখানার কাজ হচ্ছে ব্যাহত। এই নিয়ে কোন মিডিয়াতে কোন খবর নেই। ঝুলছে মূলা, আর আমরা জনগন ওটার দিকে তাকিয়ে আছি আর ছুটছি ঐ মূলা ধরার জন্য। দৌড়াচ্ছি আর দৌড়াচ্ছি।

আহা কি সুখ!!!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।