আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মনের দুঃখে মইনের আমেরিকা যাত্রা

ফেসবুক আইডি:নাই

২০০৭-এর ১১ জানুয়ারিতে জরুরি আইন জারি করে দীর্ঘ ২ বছর ধরে রাজনীতি দমনের মূল নায়ক সদ্য সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল মইন উ আহমেদকে পুনর্বাসনে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি নিয়োগের লক্ষ্যে পদটি খালি করা হলেও সেখানে জেনারেল মইনকে নিয়োগের সম্ভাবনা দিন দিনই ক্ষীণ হয়ে আসছে। গত ১৫ জুন সেনাপ্রধান জেনারেল মইন চাকরি থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের স্টাফ রোডের একটি বাসায় উঠেছেন। এ মাসের তৃতীয় সপ্তায় তার যুক্তরাষ্ট্র যাবার কথা। সেখানে তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনরা বসবাস করেন। জরুরি আইনের ২ বছরে ‘জাগো বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনও গড়ে তোলা হয়েছিল নিউইয়র্ক ও লন্ডনে।

ইতিমধ্যেই সেসব বন্ধ হয়ে গেছে। মইনের বিদায়ে সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছে। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারিতে দেশে জরুরি আইন জারি করে প্রচলিত রাজনীতির বদলে নতুন ধরনের রাজনীতি চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন জেনারেল মইন। বিগত ৩৬ বছরে কিছু হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। এ নিয়ে দেশী-বিদেশী থিংক ট্যাংকদের আবির্ভাব ঘটে।

পলিটিক্যাল সায়েন্স এসোসিয়েশন নামে ঢাকা শেরাটনে আয়োজন করা হয়েছিল আন্তর্জাতিক সেমিনার। এতে দুটি প্রধান নিবন্ধ পাঠ করা হয়। এতে জেনারেল মইন নিজেই একটি নিবন্ধ উপস্থাপন করে নতুন ধরনের রাজনীতির কথা বলেছিলেন। অপর প্রধান নিবন্ধটি উপস্থাপন করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী রাজনীতি বিজ্ঞানী অধ্যাপক জিল্লুর রহমান খান। উল্লেখ্য, জিল্লুর রহমান খান বাংলাদেশের রাজনীতির রহস্যপুরুষ জাসদের নেপথ্য প্রতিষ্ঠাতা সিরাজুল আলম খানের সঙ্গে যৌথভাবে একটি পুস্তক রচনা করেন।

মইনের নতুন রাজনীতির সঙ্গে সিরাজুল আলম খানের উৎসাহ ছিল । শেরাটন সেমিনারে লক্ষ্য করা গিয়েছিল যে, তাতে অংশগ্রহণকারী তরুণ ছাত্র নেতাদের অধিকাংশই ছিলেন ডাকসু নেতা। কিছু যুব নেতাকেও দেখা গিয়েছিল। এই সেমিনারে সংগঠক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আতাউর রহমান। এই সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৫শ টাকা করে আমন্ত্রণপত্র কিনে তাতে যোগ দিতেও উৎসাহের শেষ ছিল না।

আওয়ামী লীগের প্রায় একডজন কেন্দ্রীয় নেতা কতিপয় সেনা প্রভাবিত সরকারের সময় নির্যাতনের শিকার হলেও তারা মুখ খুলেও খামোশ হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের মুখপাত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম মইনকে রাষ্ট্রদূত করার পক্ষেই বক্তব্য রেখেছেন। এখন দেখার বিষয় আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে কিনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.