আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পুরানগুলাক তো ম্যালা দেইখলং তো এবার নয়া মাইনষক...



কুড়িগ্রাম পৌরসভা নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের লবিং... দোয়া প্রার্থনা-শুভেচ্ছা বিনিময়... ক্যাবল টিভিতে শুভেচ্ছা বিজ্ঞাপন... পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনের সময়ও। পৌর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা না হলেও প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোতে আলোচনা শুরু হয়েছে। দলীয় প্রতীক দিয়ে নির্বাচন না হলেও দলের আশীর্বাদ পেতে ইতিমধ্যে মেয়র প্রার্থীরা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে লবিং করছেন। সেই সাথে নির্বাচনে প্রার্থীতার আভাস ঈঙ্গিত দিয়ে নতুন প্রার্থীরা দোয়া-আশীর্বাদ চাচ্ছেন।

আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব সম্পর্ক নতুন করে ঝালাই করে নিচ্ছেন অনেক প্রার্থী। কুড়িগ্রাম পৌরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে, দোয়া প্রার্থনা করে দেয়ালে দেয়ালে রঙ্গিন পোষ্টারও শোভা পাচ্ছে। ডিশ চ্যানেলে মেয়র প্রার্থী ঘোষনা দিয়ে দোয়া চাইছেন কেউ কেউ। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে ১ জুন। তবে তফশিল ঘোষনার আগ পর্যন্ত বর্তমান মেয়র ও কাউন্সিলরগণ দায়িত্ব পালন করবেন।

নির্বাচন কমিশনও আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে পৌর নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। পৌর পরিষদও গুছিয়ে ফেলছে তাদের কাজকর্ম। চলছে বিদায়ের প্রস্তুতি। জানাগেছে, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় কুড়িগ্রাম পৌরসভা। প্রথম পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সৈয়দ মনসুর আলী টুংকু।

সৈয়দ মনসুর আলী ১৯৭৪ থেকে ১৯৭৭, ১৯৮৪ থেকে ১৯৮৮ এবং ১৯৮৮ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত এই তিন মেয়াদে পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আব্দুস সালাম ২ বার ও কাজিউল ইসলাম ১বার পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মোঃ আবু বকর সিদ্দিক ২০০৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ৩৭ বছরে কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৬ বার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তত্বাবধায়ক সরকার পৌরসভার চেয়ারম্যান পদ বিলুপ্ত করে মেয়র হিসেবে ঘোষনা দেয় ২০০৮ সালে।

নির্বাচনে জনপ্রিয়তা, আঞ্চলিকতা এবং রাজনৈতিক কর্মকান্ডের উপর প্রার্থীর জয়লাভ নির্ভর করলেও ২০০৪ সালের নির্বাচনে প্রার্থীর জয়পরাজয় রাজনৈতিক ব্যানার মূখ্য হয়ে পড়ে। ঐ নির্বাচনের সময় সরকারে ছিল ৪ দলীয় জোট। নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পৌর বিএনপি’র সভাপতি আবুবকর সিদ্দিক বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। আওয়ামীলীগের আব্দুল জলিল দ্বিতীয় হন। অর্থাৎ দুই বড় রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সীমাবদ্ধ ছিল।

আঞ্চলিকতা খুব একটা কাজে আসেনি। এবারের মেয়র নির্বাচনেও জয়পরাজয় রাজনৈতিক দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। এজন্য মেয়র নির্বাচনে প্রার্থীরা দলীয় সমর্থনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। দলীয় মনোনয়ন পাবার আশায় স্থানীয় নেতাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং করছেন। দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে জেতার সম্ভবনা বেশি থাকলেও এবারে সাধারণ অনেক ভোটার নতুন কাউকে মেয়র হিসেবে প্রত্যাশা করে।

বিশেষ করে সম্ভাব্য তরুণ প্রার্থীর দিকে আগ্রহ বাড়ছে ভোটার দের। এতে করে পৌর নির্বাচনের ফলাফলে নতুন মাত্রা যোগ হতে পারে। পৌরবাজারের ব্যবসায়ী আলতাব, কলেজ মোড়ের এরশাদুল, ভ্যান চালক ওবায়দুল জানান, ভাই পুরানগুলাক তো ম্যালা দেইখলং। এবার নয়া মাইনষক ভোট দিবার চাই। পৌরসভার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অলক সরকার, কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও আওয়ামীলীগ নেতা মজিদুল ইসলাম সর্দার, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলাল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান চাঁদ, আওয়ামীলীগ নেতা পৌর কাউন্সিলর রোস্তম আলী তোতা, জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক আতাউর রহমান বিপ্লব এছাড়াও আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পৌর নির্বাচনে অংশ নেবেন সাবেক চেয়ারম্যান কাজিউল ইসলাম।

বিএনপি থেকে কুড়িগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি পৌর মেয়র আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, প্রাক্তন জাপা সভাপতি ও চেম্বার সভাপতি চৌধুরী সফিকুল ইসলাম এবং জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম নুরুর নাম আলোচিত হচ্ছে। জাতীয় পার্টি থেকে জেলা জাপার সম্পাদক আবদার হোসেন বুলু, পৌর জাপা সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও আলী আশরাফ মিলনের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়াও মটর মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুস সাবের ও তার ভাই সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার সিরাজুল ইসলাম টুকু, ভাওয়াইয়া গবেষক ও শিল্পী খ.ম আলী সম্রাট, এ্যাডভোকেট খাজা গোলাম মুর্শিদ পিন্টু, কুসাক্রী সংসদের সাধারণ সম্পাদক সাংস্কৃতিক কর্মী সাখোওয়াত হোসেন বিপুল মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.