আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এবার শরৎচন্দ্র

জানতে ও জানাতে ভাল লাগে

১. লেখক শরৎন্দ্রের সাথে আমরা পরিচিত। বিদূষক পত্রিকার পন্ডিত শরৎন্দ্রের কথাও হয়ত অনেকেই শুনে থাকব। দু'জন সমসাময়িক ছিলেন। পরস্পরকে জানতেন। কিন্তু দেখা হয়নি।

একবার এক সাহিত্য আসরে দু'জনের দেখা হলো। প্রথম দেখায় লেখক শরৎচন্দ্র একটু রসিকতা করার লোভ সংবরণ করতে পারলেন না। পন্ডিত শরৎচন্দ্রের উদ্দেশ্যে উচ্ছসিত কন্ঠে বললেন, 'ওহ্, আপনিই তাহলে বিদূষক শরৎচন্দ্র! কী সৌভাগ্য আমার আপনার সাথে সাক্ষাৎ ঘটল। ' উত্তরে নির্বিকার পন্ডিত শরৎচন্দ্র বললেন,'ঠিকই ধরেছেন। এ অধীন শরৎচন্দ্র পন্ডিত।

আপনি নিশ্চয়ই চরিত্রহীন শরৎচন্দ্র?' উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠল। ২. পন্ডিত শরৎচন্দ্রকে যে কেউ প্রশ্ন করলে তিনি স্বতঃস্ফুর্ত উত্তর দিতে পারতেন। একদিন এক ব্যক্তি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, 'আপনি পন্ডিত উপাধিটা পেলেন কোথায়?' 'কী জানতে চাইছ তুমি?' তিনি জিজ্ঞেস করলেন। 'আজ্ঞে, আপনার উপাধি পন্ডিত হলো কী করে?' পন্ডিত মশায় অতঃপর সহাস্যে বললেন, 'আরে মূর্খ, এও বুঝ না? আচ্ছা বলতো, বস্তু খন্ড খন্ড হয়ে গেলে ওটাকে কী বলে? 'আজ্ঞে, খন্ডিত বস্তু। ' লোকটি উত্তর দিল।

এবারে পন্ডিত মশায় বললেন, 'বস্তুর খন্ড অবস্থার রূপ খন্ডিত আর যে সবকিছুকে পন্ড করে দেয়, সে হচ্ছে পন্ডিত। বুঝেছ হে?'

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.